somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প - হবেই ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উৎসর্গ - প্রিয় ব্লগার মহামহোপাধ্যায় ।

আবিরের সমস্যা গুলো নিম্মরুপ -

১ ) আবিরের ক্লাস নাইন পড়ূয়া বোনকে ইউসুইপ্যা খুব জালাচ্ছে ।

২ ) তোর চ ও রি ন কে অয়(তোর চাকরি হয় না কেন )? রতইন্যা পাইয়ি , জামাইল্যা পাইয়ি ....
রাতে ভাত খাওয়ার সময় মার চাকরি বিষয়ক ঘ্যান ঘ্যান । এ সময়
মার সাথে আবিরের কুলুক - কুলুক খেলতে ইচ্ছে হয় ।

৩ ) টাকা নাই , প্রেমিকা নাই , বন্ধু নাই এবং নাই , ইত্যাদি ইত্যাদি ।

সমস্যারা মাথায় চাগিয়ে উঠলেই আবির মনে মনে বলে '' এবার হবেই ''! রবির এই স্লোগানটা তার বেশ লাগে। কর্পোরেট কোম্পানিগুলো সবসময় জীবন খুড়ে খুড়ে চিরসত্য বের করে আনছে। আবিরের চমৎকার লাগে ব্যাপারটা।তাছাড়া ছোটবেলা হতে ওই শব্দটার সাথে তার একটা সখ্যতা আছে। ভাল লাগার সেটাও একটা কারণ ।

- আব্বু আরে ফুটবল কিনি দ ও না ?
- ফুটবল খেলিবিদে তুই ? তোর ডইক্কা ( মত ) পোয়া !! হাসতে হাসতে আবিরের বাবার চোখে পানি চলে আসত ।

হা , ছোটবেলায় আবির খুব হ্যাংলা ছিল , বেতের মত চিকন হাত - পা।বেড়াতে আসা আত্মীয়স্বজন রা আবিরের মাকে বলত -
'' কি আবির র মা ! পোয়ারে ন খাও য়াও ! ইল্ল্যা ম্যারা ( চিকন ) কেনে অয় , অবুক ! ( পোলারে খাওয়ান না ! এমন চিকন ক্যামনে হয় ! ) আবিরের মা বলত - ইতারে পোছার ল ও না , ন কে খায় ! ( অরে জিগান , খায় না ক্যান ) ঘরত খানার অভাব আছে না !

আসলে আবিরের খেতে ইচ্ছে করত না । ফলে শক্তিও ছিল না তেমন,চিকন বলে স্কুলে তার নাম ফেটেছিল ম্যারাডোনা , কেউ কেউ বলত -ম্যারাইয়া !! এসব নিয়ে আবিরের কোন চিন্তা ছিল না ,তবে কারো সাথে ঝগড়া বাধলে খারাপ লাগত , মারবে কি উল্টো যে কারো হাতের হালকা ধাক্কায় - মক্কায় উড়ে যাওয়ার উপক্রম হত। মার বেশি পড়লে আবিরের শোয়ারজনেগার হতে ইচ্ছে হত।উফ! লোকটার কি বডি কি ফডি ! '' বেশি খাব , জিম করব , শোয়ারজনেগার হব , তারপর একেকটা কে ...। ''- আবির প্রায়ই একেকজনকে সাইজ করার দৃশ্য কল্পনায় দেখতে পেত , দেখে হাসত , ভাবত একদিন এমন হবেই , তারপর ব্যাপারটা ভুলে যেত ।

দুর্ভাগ্য , আবিরকে হ্যাংলাদশায় রেখে বাবা গেল মরে , সে তখন ক্লাস সিক্সে । শুরু হল সংসারে টানাটানি , একটা স্কুলে চাকরি নিল মা,ভাল খাবে কি তখন খাবার জুটতেই হিমশিম ! '' ও মাই গড ! তোদের এ সিচুয়েশন ! - পাড়ার ছেলে ও স্কুলের ফার্স্ট বয় ছিল রতন , ওদের অবস্থা দেখে প্রায়ই ইংরেজি ঝাড়ত।এই রতন কে ভালবাসত সিদ্দিক স্যার , প্রি - টেস্টের খাতায় উনার ভালবাসার নমুনা
দেখে অবাক হয়েছিল সে । একটা দশ নাম্বার এর প্রশ্নের উত্তরে খুব খেটে রেফারেন্স সহ ৯ পয়েন্ট লিখে আবির পেয়েছিল ৬ আর রতন ৬ পয়েন্ট লিখে পেয়েছিল ৯ ! আবির সেটা নিয়াও মাথা ঘামায়নি্‌ কারণ আবির জানত বোর্ডে এর ফায়সালা হবেই ! কোন বাপ - ভাই আছে ওখানে যে রতন কে নাম্বার দেবে ! বিধিবাম , এস এস সি পরিক্ষাতেও রতন বেশি জিপিএ পেল , আবার চাকরিও পায় আগে , শালায় বহু ধাপ এগিয়ে !

হাতের ঘড়ি দ্যাখে আবির , সময় যেন কাটে না, এত মানুষ তবু একা একা লাগে! আবির এখন একটা কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে এসেছে।এ কয় মাসে প্রায় শখানেক চাকরির ইন্টারভিউ দেয়া হয়ে গেছে।পাওয়ার নাম নাই,সমানে টাকার শ্রাদ্ধ। এটুকু হলেও ভাল ছিল,কাটা গায়ে নুনের ছিটা পড়ার জন্য বোধ হয় মাঝে মাঝে রতনের দেখা মেলে। শালার শকুনি আই ঠিক ঠিক মার্ক করে ফেলে। ''হেই ম্যান ! হেই আবির !! কিরে এখনো বুঝি ঘুরছিস ? তুই গাধাই রয়ে গেলি রে ! চাকরি পেতে হলে হ্যান্ড সাম লুক থাকতে হয়, চটপট হতে হয় ইয়ার ! ওহ জানিস ! ২-৩ মাস পর স্যালারি আরো ৫ হাজার বাড়বে - পাক্কা ৫০ হাজার ! চেঞ্জ কর নিজেকে , বুঝলি! আন্টির কথা ভাবলে খারাপই লাগে রে !

কিছু একটা কর !

নাউট্টা কডিয়ার ! তোর ডইক্কা ( মত ) চ্যানল পাইলে আই ও ( আমিও ) ...... আবির ঠিক করেছে খালি চাকরিটা পাওয়া টা বাকি ,একদিন ঘ্যাচ করে শালা রতনের পেটে সিধা ছুরি চালিয়ে দেবে ,বেরিয়ে পড়বে নাড়িভুড়ি ..... হাহাহা , শালা নাড়িভুড়ি নিয়ে এইবার সাকসেসফুল চাকরি কর!এ জন্য একটা ছুরি কেনা হয়েছে,সেটা আবিরের বিছানার তোষকের নিচে রাখা।

ইন্টারভিউ বোর্ডে একসময় আবিরের ডাক পড়ে। রুমে ঢুকতে ঢুকতে আবিরের মনে পড়ল আজ ত সেভ করা হয়নি ! মুখে ব্রন ও আছে ! ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্য ৪ জন । সালামের উত্তরে আবিরকে বসতে বলা হল। তাদের চোখের দিকে তাকিয়ে আবির দেখতে পেল ৪ জনের মধ্যে ৩ জনেরই চোখের ভাষা '' ন অইব ফাল্লার ! ''( ফাল্লার = মনে হয় )। ইন্টারভিউ দিতে দিতে আবির এখন এই সব লোকদের চোখের ভাষার হাফেজ হয়ে গেছে। যে কারণেই হোক আবির বিসমিল্লাতেই ডিলিট। এখন খালি ফর্মালিটি। শালার ৫০০ টাকা লস! -মনে মনে আবির ভাবে। বাকি ১ জন লোক কেবল তার দিকে সহানুভূতিশীল দয়ালু চোখে তাকিয়ে আছে । মনে মনে আবির তার নাম দিল '' দয়াল বাবা ফাল্লার ''! প্রথম প্রশ্ন টা তার তরফ হতে এল -
তোমার শার্টের কলার উল্টানো কেন ?
ধুশ শালা ! এই কারণেই ত চাকরি টা গেল ! মনে মনে নিজেকে একচোট গাল দিল আবির । একটূ নার্ভাস ও হলো। কিন্তু ইন্টারভিউ বোর্ড যেহেতু মুখে ত তার ছাপ পড়তে দেয়া যাবে না !

- ইটস মাই স্টাইল স্যার ! শার্টের দিকে না তাকিয়ে লোকটার চোখে চোখ রেখে বলল আবির । ডেলিভারিটার স্মার্টনেসে সে নিজেই ভেতরে ভেতরে চমকে গেল ।

- ফাইন ! '' ন অইব ফাল্লার ! '' পক্ষের একজন মুগ্ধতায় শব্দটা ছেড়ে দেয়।
বাকিরাও তার দিকে তাকিয়ে চোখে চোখে সায় দেয় । নড়েচড়ে বসে আবির ও কেননা তাদের চোখের ভাষা এখন - '' অইব ফাল্লার ! ''
মুগ্ধওয়ালা এবার প্রশ্ন করে - নিউটনের বাবার নাম কি ?

নিউটনের কথা বলতেই আবিরের ম্যাট্রিক আর ইন্টার এর ফিজিক্স বই এর কথা মনে পড়ে ...শাহজাহান তপন ....... ইসহাক নুরুন্নবি.......... জামাল স্যার বাবুল স্যার এর নোট ....গতিসুত্র .. সরল দোলক .......... আপেক্ষিকতত্ত্ব ... ইন্টারে ফিজিক্স পরিক্ষার আগের দিন মার হার্ট এটাক ... পরিক্ষা খারাপ হওয়া ........... জিপিএ কম .. আবিরের মনমেঘের জমা রাগ নিউটনের উপর বজ্র ফেলে। ' ছোদানির পোয়া নিউটন আরে বহুত জালাইয়ুস' - কষে গাল দিতে পেরে আবিরের এতদিনের উত্তেজিত স্নায়ু তৃপ্তিজনিত ক্লান্তিতে হঠাৎ শিথিল হয়ে পড়ে ।

চাকরিটা নিউটনের আব্বুকে দিয়ে দিয়েন, স্যার ! - ৪ জোড়া চোখে বিস্ময় একে দিয়ে আবির রাস্তায় বেরোয়। ঘড়ি দেখে। বাজে কয়টা ?নাহ ! আজ টিউশনি বাদ ..এদিক - সেদিক ঘুরাঘুরি ।এভাবে সময় কাটায় । তারপর ঘরে ফিরে । রাত দশটা তখন ।ঘরে ঢুকতেই কেমন যেন গুমোট ভাবের আচ , হয়েছে কি কিছু ? আবির মার মুখের দিকে তাকায় । মুখটা এমন কেন ?কিছুক্ষন আগে কাঁদার স্পষ্ট ইঙ্গিত সেখানে।

- কি অইয়িদে ( কি হয়েছে ) মা ? মাকে জিজ্ঞেস করে আবির ।

মা নিশ্চুপ ।

কি অইয়িদে ? ন কই বা ?
- কি আর অইবুদে অউররের পোয়া ! যা ওইবার ইবা ওইয়িদে এরি !( যা হবার তা হয়েছে )

এ কথা বলে আবিরের মা একটু থামে , তারপর আবার বলতে শুরু করে
- তর বইনেরে ইউসুইপ্যা আজিয়া তুলি লই গিয়িল । ( তোর বোনকে ইউসুপ তুলে নিয়ে গিয়েছিল । ) খানিক্ষণ আগে আনি দিয়ি গেয়ি ( কিছুক্ষন আগে এনে দিয়ে গেছে ) । এবার আবিরের মা চোখের পানি সমেত বিলাপ শুরু করে ,তোর ডইক্কা পোয়া থাইকতে আর তুন আই জো চ অরি করি খঅন পড়ে ,এদ্দুর গহুর ( ছেলে ) অইওস ( হইছস ) আই জো ও উগগা ( একটা) চ অরি জোগাড় করিন ন পারস ! ( তোর মত ছেলে থাকতে আমাকে এখনো চাকরি করে খাওয়া লাগে ) খোদারে খোদা ! এন ডইক্কা পোয়া আর পেডত অইয়াইলা কিল্লাই ( আল্লাহ ! এমন ছেলে তুমি আমার পেটে ক্যামনে হওয়াইলা ) !! তুই আজিয়া চ অরি পাইলে এই অবস্থা ন অইত ( তুই চাকরি পাইলে এই অবস্থা হইত না )! বউত আগে এই পাড়া ছাড়ি যাইতাম গই ! ( অনেক আগে এই পাড়া ছেড়ে চলে যেতাম )
তার বিলাপ ক্রমশ উচ্চ ও জোরালো হতে শুরু করে , বিপদ দেখে আবির ঘরের জানালা সব বন্ধ করে দেয়।

- এইল্লা করি কান্দন পড়ে না ! ( এমন করে কাঁদা লাগে নাকি ! ) ! আবির মাকে ভৎসনা করে জিজ্ঞেস করে -ইতিনি কডে( সে কই ) ?
- ইতির রুমত ! আবিরের মা নাকের ফোস ফোঁস করতে করতে জবাব দেয় । আবির বোনের রুমে যায় , গিয়ে দেখে বালিশে গোজা একটা মুখ,চুলগুলো সব ছড়ানো ।আবিরের বোনের মাথায় হাত রাখতে ইচ্ছে হল,কিন্তু কি ভেবে আবার নিজের রুমে চলে এল ।

বিছানায় হাত - পা এলাতেই আবির পেটে প্রচন্ড খিদে অনুভব করে। পেটে আজ তেমন কিছু পড়ে নি ! শালার খিদা !! শুয়ে শুয়ে আবিরের তোষকের নিচে রাখা ছুরিটার কথা স্মরণ হয় , তারপর সেটা বের করে আনে। ছুরিটার ফলা দুদিকেই চকচকে। এবার চোখের মণি দুটো নিজের শরীরে স্থির হয়। সে আর আগের মত ম্যারা নেই, এ ক বছরে বেশ মেদ - মাংস জমেছে।ওজন এখন ৭৮ , উচ্চতা ৫ ফুট ৯ ।এত বড় শরীর , তবু কেন কাজে আসে না ? ইউসুপ ও তার মত , সেইম। কিন্তু ছুরিটা যদি ইউসুপের পেটে ঢুকিয়ে দেয়া হয়, তখন সে কি করবে ?

কন্ডে যাদ্দে এত রাইতত ( এত রাতে কই যাস ) ? - মার শঙ্কিত জিজ্ঞাসাকে আমলে না নিয়ে আবির হাটতে থাকে ।এ সময় রাস্তার মোড়ের টং দোকানে ইউসুপ আড্ডা দেয়। হ্যা , অন্যান্য দিনের মত আজ ও সে আড্ডা দিচ্ছে ,পা ছড়িয়ে বসে আছে বেঞ্চে , পাশে দাঁড়িয়ে তার ৪ -৫ জন চেলা।

আবিরকে দেখে ইউসুপ সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করল - বদ্দা গম ( ভাল ) আছন নি ? ( বড় ভাই ভাল আছেন ? )
- গম আছি ! আবির বলে । তার ডান প্যান্টের পকেটে ছুরি , ডান হাত ও ছুরির বাটে ধরে রাখা আঙ্গুলগুলো সর্প আক্রোশে কিলবিল করছে। আবির খুব হাল্কা চালে ইউসুপের মুখোমুখি দাঁড়ায় । তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চেলাগুলো ও নড়ে উঠে , আবিরের সামনে আসে , এক অব্যক্ত অসংযত ভাব তাদের হাতের পেশী উস্কে দিতে চায়। ইউসুপের চোখের নীরব ইঙ্গিতে তারা শান্ত এবং ইউসুপ - বেঞ্চের এলানো পা মাটিতে রাখে , শিকারী ব্যাধের - ঠিক এই দৃষ্টিতে দেখে এবং গালের মাংসকে ঠোঁটের ঠেলায় উপরে পাঠিয়ে বলে - বদ্দা ডাক দি ( পাশে ) বইয়ুন ( বসেন ) । অডে নুরুইইয়া ! বদ্দারে চা দে !

আবিরের সেল ফোন বেজে উঠে এমন সময় ।

- ওয়া মাস্টর সাব ! আই ফরিদর বাপ কইদ্দে ( বলতেছি ) !অনে কালিয়া আর অফিসত আইয়েরে টিয়া লই যাইয়ুন ( কাল অফিসে এসে টাকা নিয়ে যাইয়েন ) । ফরিদেরে অনের তুন আর ফরান ন পড়িব ! ( ফরিদকে আপনার আর পড়ানো লাগবে না )
' অয় ! আই ইত্তার আইত ( আমি এখনই আসতেছি) , টিয়া ইত্তার লাগিবুদে আর তুন ( আমার এখনি টাকা লাগবে ) 'বলে আবির লাইন টা কেটে দেয় । তারপর ইউসুপের দিকে তাকায় । দ্যাখে - সে তাকিয়ে , চেলারাও ।

' চা ন খাইয়ুম !! ইতার চা ফোয়াদ ( স্বাদ ) ন লাগে ' - বলে আবির রাস্তামুখো পা বাড়ায়।এই ফরিদ ঢিলাচোদাকে পাস করানোর জন্য আবির কি না করেছে! ফকিন্নির বাচ্চারা মাসের অর্ধেকে বেতন দেবে , আর এখন বলে কাল থেকে আসবেন না !ফরিদ্দারে ! আই আইত ! ( আমি আসতেছি ) তোরে ছুরি ডাইরেক্ট গল্লাই ন দিলে আর নাম আবির ন!

ফরিদ ! আই আইত ...... আই আইত ... হাঁটতে থাকে আবিরের পা দুটো , একসময় কর্ণফুলী ব্রিজের মাঝামাঝিতে থামে । মৃদুমন্দ সমীর গাইছে গান , প্রাণজুড়ানো কিন্তু শ্বাসরোধী , চেতনা লুপ্ত হতে চায়। মাথার উপর চাঁদ ; গোল , স্পষ্ট , ঐ দেখা যায় বুড়ি - দুইছে চাদের ওলান , টিপ টিপ করে পড়ছে দুধ - নদীতে , ব্রিজে , আবিরে।এখন সব চাঁদের মত সাদা। আবিরের রাগ হয় , হাতে নেয় ছুরি এবং ওলানে নিক্ষেপিত। কিন্তু ব্যর্থ - লজ্জায় ছুরিটা শুন্যে বুক লুকোয়।

নটির মত হাসে নদী - খিলখিল , অন্তঃস্রোতে উম্মোচিত তার সেয়ানা গতর । আবিরের আর সহ্য হয় না - 'তরে আজিয়া আই চাই লইয়ুম ' বলে নদীবক্ষে ঝাপ দেয়।

'তরে আজিয়া আই চাই লইয়ুম ' = তোকে আজকে দেখে নেব ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:১১
৫৩টি মন্তব্য ৫২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×