অনেকদিন পর ফেসবুকে পদচারণ। বিচারহীনতা আর কিছু ফ্রাঙ্কেনস্টাইন এর অবাধ বিচরণ আমার সোনার বাংলাকে ব্ল্যাক মাম্বার অভয়ারণ্য আর প্রস্তর যুগে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। সাবেক এসএসএফ সদস্য মেজর সিনহাকে হত্যার মাধ্যমে প্রমাণ করে দিলো এদেশ ১৫কোটির মধ্যে কিছু পলিটিক্যাল জারজ হুলিগান ছাড়া একজন নাগরিকের জন্যেও নিরাপদ নয়। আর স্টালিনের রাশিয়ার চেয়েও অস্তিত্ব সংকটে প্রতিটি নাগরিক। জারজ, ভয়ংকরতম বিষধর মামবা, সাম্প্রদায়িক বিভাজনের প্রতিভূ, ওসি প্রদীপ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েকশো মানুষকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে। তাকে আবার ব্যর্থ রাষ্ট্র সর্বোচ্চ পদক পর্যন্ত দিয়েছে। একটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা কতটা নির্লজ্জ হলে এটা সম্ভব??!!এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র অবশ্যই রয়েছে। সামান্য ওসির পক্ষে এধরণের কাজ কোনদিন কোনভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু সামান্য মেট্রিক পাশ ওসির পক্ষে কোনদিন ইতিহাস জানা সম্ভব নয়। ওতো শুধু খুন করাই শিখেছে।
৩০০০-৩৫০০ বছরের প্রাচীনতম সভ্য রাষ্ট্র থেকে আজ অবধি কাউকে মোল হিসেবে ব্যবহার করে বাঁচিয়ে রাখা হয়নি। প্রদীপের ফাঁসি তখনই নিশ্চিত হয়ে গেছে, যখন সে গুলির নির্দেশ দিয়েছে। জারজ, অমানুষ, সাম্প্রদায়িক, নিকৃষ্টতম, বিষাক্ততম ব্ল্যাক মাম্বাটি মৃত্যু নিশ্চিতের জন্য লাশটিকে মুখে, বুকে, পেটে লাত্থিয়েছে। এটা সমগ্র মানবজাতির বিরুদ্ধে অপরাধ। ওকে হাজারবার ফাঁসি দিলেও ওর পাপমোচন হবেনা। দুইপায়ে উটবেঁধে হাজারবার দ্বিখন্ডিত করে হত্যা করলেও ওর পাপমোচন হবেনা। ওসি প্রদীপ আমার প্রাণের সেকুলার, উদারনৈতিক জনগণের রাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিভূ।
যাদের সামান্যতম সামরিক জ্ঞান আছে তারা বুঝবেন, একজন তরুণ সাবেক মেজর(স্বেচ্ছা অবসর, বয়স-৩৬) এসএসএফ সদস্য লাইসেন্সড অস্ত্র বের করলে একটা পুলিশ জীবিত থাকতোনা। দশ বুলেটের ম্যাকজিন শেষ করতে রিকয়েলসহ সর্বোচ্চ ৬-৭ সেকেন্ড সময় লাগতো। এর মধ্যে পুলিশ সেফটি লকই ছাড়াতে পারতোনা। তার আগেই জাহান্নামে চলে যেত। রক্তের ঋণ বৃথা যায়না। একুশে আগস্ট বৃথা যায়নি। স্ট্যালিনের মৃত্যুর পর তার Legacy বিলীন হয়ে গেছে। শুধু বিধাতাই জানেন সামনে কি বিরাজ করছে।
#JusticeforBrutalKillingofMajorSinhainBDbytinypettypolice
#StopExtrajudicialKillingsinBD
#StopFrankenstains
#RetunOurRightsForNaturalDeathsOfBDCitizens
#StopAtrocitiesInBD
#MuzzleMeNot
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:২১