somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতীয় বিদ্যুৎ আগ্রাসনের নয়া কৌশল // পোস্ট - ০১

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতের চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণে যাবার আগে বাংলাদেশের বর্তমান কয়লা, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট সম্পর্কে একটি যদি ছোট বর্ণনা দেয়া যাক। তাহলে পাঠক ভারত কর্তৃক বাংলাদেশের সুন্দরবনের রামপালে কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ, ভারতের প্রায় ৫০ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকা স্বত্ত্বেও বাংলাদেশে ২৫০ মেগাওয়াট (যা পরবর্তীতে ৫০০ মেগাওয়াট)বিদ্যুৎ সরবরাহ করা এবং বাংলাদেশের কিছু কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র্র সংরক্ষণ চুক্তির চালবাজির ধরণটা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। এবং এরই ধারাবাহিকতায় আজ অত্যন্ত উচ্চদামে ও এক অন্যায্য পন্থায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানী হচ্ছে। অথচ ভারত কিন্তু নিজেই বিদ্যুৎ ঘাটতির দেশ, তার চাহিদা যেখানে ২ লাখ মেঃ ওয়াটের, বিপরীতে উৎপাদন মাত্র দেড় লাখ মেগাওয়াট। অর্থাৎ তাদেরই আরো ৫০ হাজার মেঃ ওয়াট প্রয়োজন।
তাছাড়া বিদ্যুতের দাম বিষয় কোথাও কিন্তু স্পষ্ট করা হয়নি। এমনভাবে কথাবার্তা বলা হচ্ছে যেন এটা কিছুই না,পরে হিসেব করে দেখা যাবে। এটি স্পষ্ট, এর মূল্য ভারত কর্তৃক নির্ধারিত হবে এবং তা কিছুতেই প্রতি ইউনিট ১০ টাকার নীচে হবে না।
বিদ্যুৎ সংকট সমাধানের লক্ষ্যে দেশের জন্য এ এক মস্তবড় স্বার্থবিনাসী পদক্ষেপ। দেশের পুরনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংস্কারের বিষয়ে দীর্ঘদিন বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সুস্পষ্ট পরামর্শ ছিল যাতে কর্ণপাতই করা হয়নি। এনটিপিসি-কে এ কাজ পাইয়ে দেয়ার আবরণে দেশের বিদ্যুৎ খাতের অন্দর মহলে” তাদের ঢুকতে দেয়ার অভিলাষ কাদের স্বার্থে? চাকুরীকালীন সময়ে আমার নেপাল ও ভূটান বিদ্যুৎখাতের কর্ম্মকর্তদের সঙ্গে কাজ ও মতামত বিনিময়ের সুযোগ হয়েছিল। তাদের সঙ্গে যখন ঐ দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের অসম চুক্তিগুলো নিয়ে আলাপ করেছিলাম, এ বিষয়ে ঐ দেশের কর্মকর্তা-প্রকৌশলীদের অসহায়ত্ব দেখে আমি বিমূড় হয়ে, গেছি। কিন্ত তারই প্রতিফল বাংলাদেশেও দেখতে হবে এটা ভাবনারও অতীত ছিল।
১১শ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রীড বানিয়ে ২৫০ মেঃ ওয়াট বিদ্যুৎ আমদানীর বিষয়টি যে কতবড় ধোকাবাজি এটি পঞ্চম শ্রেনীর একটি মধ্যমানের মেধাবিশিষ্ট ছেলেও বলে দিতে পারবে। অথচ সোজা সাপটা হিসেবে ২৫০ মেঃ ওয়াট একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে সর্বাধিক প্রয়োজন ১ হাজার থেকে সাড়ে বারোশ কোটি টাকা। আর বাংলাদেশ তা উপযুক্ত নেতৃত্বের অধীনে বানাতে পারে মাত্র ২ বছর সময়ের মধ্যে, সেখানে ভারতের লাগবে ৪ বছর! যারা ইতোমধ্যেই মানসিক এবং আর্থিকভাবে দেশী-বিদেশী সিন্ডিকেট সদস্যদের কাছে বিকিয়ে গেছেন তারা চীৎকার করে উঠবেন যে, আমাদের দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গ্যাস কই, কয়লা কই। কিন্তু সবই আছে,নেই শুধু দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে উদ্যোগের অভাব। সুতরাং ভোক্তা হিসেবে আমাদেরই দায়িত্ব এ দেশবিরোধী চুক্তি যেন বাস্তবায়ন না হয়, সেদিকে নজর রাখা। কারণ আমাদের আছে মানসম্মত প্রচুর গ্যাস, কয়লা, সূর্য্য, বাতাস ও পানি। এত সম্পদ একসঙ্গে বিশ্বের খুব কম দেশেই আছে। কিন্তু এগুলোকে কাজে লাগিয়ে মানসম্মতভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে জনগণের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেবার জন্য যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সততার প্রয়োজন, শুধুমাত্র এই একটি জিনিষের অভাব।

ভারতীয় বিদ্যুৎ আগ্রাসনের নয়া কৌশল// বি. ডি. রহমতউল্লাহ


সুন্দর বন যখন আজ ধংসের মুখে তখন
কোথায় সেই শাহবাগের প্রজম্ন চক্তর,
নতুন প্রজম্ন, লাকির সেই
গলাফাটানো চিংকার ?
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের
বিরুদ্বে ডাঃ ইমরানের কি কোন
কর্মসুচি থাকবেনা ? নাকি রামপালের
বিরুদ্বে কর্মসুচি দিলে কাচ্চি বিরিয়ানি,
ফ্রি ওয়াই-ফাই, তিন স্থরের
নিরাপত্রা ব্যবস্থা পাওয়া যাবে না ?
নাকি শাহবাগের কর্মসুচি হবে শুধু
জামাত আর হেফাজতের বিরুদ্বে !
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে শাহবাগ
কেন আজ নিশ্চুপ, কাদের ইশারায়
শাহবাগ সৃষ্টি হয়েছে, এবং কারা এর
কর্ম সুচি দেন ????
ম্যাড ইন বাংলাদেশ
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×