২য় ও শেষ পর্ব
বন্ধুগন আগের পর্বে আমি বলেছিলাম TV talk show দেখে এবং বিভিন্ন ভাবে আমি যাদেরকে গুনিজন, দূরধৃষ্টি সম্পন্ন ও দেশ প্রেমিক ভেবেছিলাম এমন কতক ব্যাক্তির সাথে আমি সাক্ষাত করেছিলাম এবং এক জনের সাথে যে আলোচনা হয়েছিল তা ব্যক্ত করেছিলাম। আজ আরোকয়েক জনের বিষয়ে আলোচনা করে যবনিকা টানব।
২. বর্নিত প্রথম ব্যক্তির সাথে দেখা করার কয়েক দিন পর ২য় সারির একজন সাংবাদিকের সাথে দেখা করলাম। আমি তাকে বল্লাম আপনি ত গটনমূলক তথ্য সমৃদ্ধ দূরধৃষ্ট সম্পন্ন বক্তব্য প্রদান করে থাকেন, কিন্তু এই ভাবে তো পরিবর্তন আসবেনা এইটাও আপনার বুঝার কথা, সুতরাং পরিবর্তনের জন্য কার্যকরি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় কিনা? তিনি কিছু সময় লাগিয়ে পাণ্ডত্তের সুরে প্রধান কয়েকটি দলের ভূল ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করলেন। এবং সর্বশেষ আমাকে এই বলে আশ্সস্ত করলেন যে টিক আছে আমি আপনার প্রস্তাবটি study করব।
৩. সাবেক এক এম,পির সাথে এই বার দেখা করলাম, যিনি নিজ দল সহ সকল দলের প্রকৃত ভূল গুলোর সমালোচনা করেন। আমার হিসাবে উনাকে প্রকৃত প্রতিবাদি বলা যেতে পারে। তিনি আমাকে যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখিয়েছেন, তিনি সব শেষে এই বলে আমাকে উপদেশ দিয়েছেন যে ভাই এই দেশের সাধারন মানুসের কোন পরিবর্তন হবেনা, খামাকা এটার পেচনে গুরাঘুরি কইরেন না, টার্গেটে পড়লে মারা পড়বেন।
৪. এর কিছুদিন পর ১৯ দলীয় জোটের একটি দলের চেয়ারম্যানের সাথে সময় নিয়ে দেখা করলম। তাঁকে বল্লাম জনাব আপনি ত কথায় কথায় বলে থাকেন দেশকে পরিবর্তন করতে হলে আমাদেরকে দুই পরিবারের বলয় থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কিন্তু আপনিই তো একটি পরিবারের সাথে জড়িয়ে আছেন। তাহলে লোকজন আপনাদেরকে কিভাবে মুল্যায়ন করবে? তিনি একধম কমন জবাবটিই দিলেন, আসলে একান্তই কৌশলগত কারনে আমরা জোটবদ্ধ হয়েছি, এটা সাময়িক। আমি বল্লাম আপনি ত পরিবর্তনের জন্য রাজনিতি করেন এবং আপনি আপনার দলের প্রধান, আপনারা যে ভাবে রাজনিতি করতেছেন সেভাবে কি দেশের কোন উপকার হবে? জনাব এ কে ফজলুলহক, মাওলানা ভাসানি, বঙ্গবন্ধুরা কি এই ভাবে রাজনিতি করেছেন? শুধু মাত্র বাসবভন, দলিয় কার্যালয় ও প্রেসক্লাবে যাতায়াত সিমাবদ্ধ থাকলে কি দেশে পরিবর্তন এসে যাবে? তিনি বল্লেন ভাল উদ্দেশ্য নিয়েই নেমেছিলাম, কিন্তু এই দেশের ব্যাপারে লর্ড মেকলের বক্তব্যটিই সঠিক। লর্ড মেকলে হল ভারতবর্ষের বৃটিশ সংবিধান প্রনেতা। নবাব সিরাজুদ্দৌলার পতনের অনেক বছর পর ইংরেজরা ভারতবর্ষে তাদের নিজস্ব আইন প্রনয়নের জন্য আইনবিদ লর্ড মেকলেকে ভারতবর্ষে আমন্ত্রন করে নিয়ে আনেন। লর্ড মেকলে এই দেশের লোকজনকে তিন মাস পর্যবেক্ষন করে এই মন্তব্য করেন " ভোঁমরের যেমন হুলের প্রয়োজনিয়তা আছে, মহিষের যেমন শিং এর প্রয়োজনিয়তা আছে, রোম উপাক্ষানে যেমন সুন্দরি নারির প্রয়োজনিয়তা আছে ভারতউপমহাদেশের মানুষের তেমনি প্রতারনার প্রয়োজনিয়তা রয়েছে" প্রিয় পাঠক বুঝতেই পারছেন যে দেশের নেতেদের মনে বিশ্বাস বদ্ধমূল হয়ে আছে যে আমার দেশের সাধারন মানুষ প্রতারক সুতরাং নেতাগিরি করা মানে প্রতারকদের সরধারি করা সুতরাং আগে আমাকে দক্ষ প্রতারক হতেহবে, সে দেশের প্রজাদের কপালে যা ঘঠার প্রতিনিয়ত তাই ঘঠছে।
বন্ধুগন কেউ কথা দিয়ে কথা না রাখলে আমরা তাকে Four twenty বলে গালি দেই। আসলে লর্ড মেকলে ভারতউপমহাদেশে যে আইন প্রনয়ন করেন ৪২০ ধারাটি হল প্রতারনার বিষয়ে। অর্থাৎ কেউ কারো সাথে প্রতারনা করলে যে ধারায় মামলা হবে তার নাম্বার হল ৪২০ বা Four twenty মূলত এই জন্যই সংখ্যাটি গালি হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link