মাঝে মাঝে মনে হয় বিদ্রোহ করে উঠি
চূড়ান্ত কোন পরিণতির দিকে
সহসাই হাত বাড়াই।
চিৎকার করে ঘোষনা করি, “মানি না”।
আজন্ম যে পাপের ভেতর
পৃথিবীর দিন যাপন,
আমি কেন তাকে মেনে নেব?
কেন তাকে আগলে রেখে,
নিজ সম্মতিতে করে যাব পাপ।
বুকের ভেতর হাহাকার করে উঠে, শূন্যতায়-ভীরুতায়
হৃদপিন্ডের অলিন্দ-নিলয়ে
প্রতিকণা রক্তের গমন ও নির্গমনে
বিষাক্ত নি:শ্বাস উঠে আসে।
কেউ একজন বলে থামো!
কোথায় চলেছ? এ পথ তোমার নয়।
তোমার সাথীরা কোথায়?
কোথায় তাদের হারিয়েছ?
হারিয়েছ কবে শেষ পদচিহ্ন?
আমি ঘুম থেকে চমকে জেগে উঠে
নিজেকে আবিষ্কার করা মানুষের মতো
হতবাক তাকিয়ে থাকি।
কি করে বলবো,
কুয়াশার যে জাল তা তো আমারই তৈরী।
তার পেছনে ফেলেছি সাথীদের,
হারিয়েছি তাদের রক্তক্ষরণে
ভেসে যাওয়া শেষ সীমানার আগে।
কেপেঁ কেঁপে উঠেছি এরপরই।
কেউ এসে ছিড়ে দিল কুয়াশার জাল, কি মমতায়!
আপন হাতে দেখালো “গন্তব্য অবশেষ”।
একদম সরল, সোজা।
প্রতিটি ধমনীতে বইয়ে দিল, বিদ্রোহের তাজা রক্ত।
নির্দেশ দিল “এগোও, থামবে না”।
থামি নাই।
থামবো না।
যতক্ষণ থাকবে অন্যায়, থামবো না।
যতক্ষণ থাকবে অত্যাচার, থামবো না।
যতক্ষণ থাকবে পাপিষ্ঠ-কিট-নরপশুদের আনাগোনা,
ততক্ষণ থামবো না।
কখনোই নামাবোনা বিদ্রোহের পতাকা
নতুন সূর্যোদয়ের পূর্বে, গন্তব্য অবশেষে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




