![]()
![]()
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের রাজনীতির এক নতুন অধ্যায় রচনা করলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ফোন করে কথা বলে।বহু বছর যাবত এদেশের অধিকাংশ মানুষের চাওয়া ছিল যেকোনো সংকটে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি একসাথে বসে আলোচনা করে যেন সংকটের সমাধান করে।কিন্তু সবসময় দেখা যেত প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দুই নেত্রীর মাঝে একটি অদৃশ্য দেয়াল তাদের এক টেবিলে বসা বা কথা বলায় বাধা দিত।কিন্তু আজ সকালে হটাত টেলিভিশনে দেখলাম আওয়ামীলীগ প্রধান শেখ হাসিনা বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে ফোন দিয়েছেন কথা বলবেন বলে কিন্তু তাদের কথা বলা হয়নি বিএনপি নেত্রীকে ফোনে না পাওয়ায়।আর এই ঘটনায় খুব খুব খুশি হয়েছিলাম,কারণ আমি মনে প্রানে বাংলাদেশের রাজনীতির পরিবর্তন চাই।ক্ষমতায় যেই থাকুকনা কেন বিরোধী দলের সাথে আলোচনা করা যাবেনা-এই মানসিকতা যেন সব রাজনৈতিক দল পরিহার করে সেটাই কামনা করে থাকি।তাই ফোনে প্রথমবার তাদের কথা না হওয়ায় আমি আশা করছিলাম হয়ত বিএনপি নেত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রীকে ফোন দিবেন।আমাকে অনেকেই বলতেছিল খালেদা জিয়া ফোন না দিলে শেখ হাসিনা আর ফোন দিবেন না।আমার কথা ছিল খালেদা জিয়া ফোন না দিলেও শেখ হাসিনা আবারও ফোন দিবেন।অবশেষে শেখ হাসিনাই ফোন দিলেন খালেদা জিয়াকে,দাওয়াত দিলেন গণভবনে,আলোচনা হবে এবং একসাথে খাওয়া-দাওয়া করবেন।সাথে হরতাল প্রত্যাহারের আহবানও ছিল।
ঐ ফোন করাটা যে আমাদের দেশের রাজনীতিতে নতুন একটা আলোর দেখা দিল তাতে কোন সন্দেহ নাই।এখন দেখতে হবে বিএনপি কি করে।তবে শেখ হাসিনা আজ যে কাজটি করলেন তা বাংলাদেশের সাধারন মানুষের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আশা করব খালেদা জিয়া যদি দাওয়াত গ্রহন নাও করেন তবুও ভবিষ্যতে যেন আলোচনার পথ খোলা থাকে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


