ঈদের তৃতীয় দিন একুশে টেলিভিশনে প্রচার হবে নাটক ‘মেজো মামার জরুরি অবস্থা ঘোষণা’। ড. জাহিদুল ইসলাম জিন্নুর রচনায় নাটকটি পরিচালনা করছেন তরুণ সাংবাদিক ও নির্মাতা মাসুম মাহবুব।
নাটকটিতে রয়েছে এসময়ের শিশুদের শিক্ষার নামে নির্মম প্রতিযোগিতার চিত্র। ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র আদিব বরাবর ক্লাসে প্রথম হয়। পড়ালেখার চাপে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। স্কুলে যেতে পারে না অনেক দিন। আদিব সুস্থ হলে শিক্ষকদের পরামর্শে লেখাপড়ার চাপ আরো বাড়িয়ে দেয় তার বাবা মা। আদিবের দেখাশুনার জন্য বাসায় আনা হয় বিশ্ববিদ্যলয় পড়ুয়া মামা শাওনকে। হল ছেড়ে বোনের বাসা ওঠা শাওন। এখানেই শাওনের সাথে পরিচয় পাশের বাসার মেয়ে অহনার। অহনা আদিবের বোকা সোকা মামা শাওনকে এক দেখায় পছন্দ করে ফেলে। কিন্তু শাওন সহজে ধরা দেয় না। কারণ তার প্রধান ও একমাত্র লক্ষ ভাগ্নেকে ক্লাসে ফার্স্ট করা।
যখন দিনকে দিন মামার শাসন বাড়তে থাকে তখন এক পর্যায়ে ক্লান্ত আদিব মামার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। প্রতিবাদ জানায় তার ঘর জুড়ে পোস্টার ও দেয়াল লিখনের মাধ্যমে। তাতেও থামে না মামা শাওন । আদিব প্রতিরাতে ভয়ংকর সব স্বপ্ন দেখে জেগে ওঠে। ঈদের আগের দিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে আদিব। বাসায় ডাক্তার আসে।
নাটকটিতে অভিনয় করেছে- শাহরিয়ার নাজিম জয়, গোলাম ফরিদা ছন্দা, মেঘা ইসলাম, কাজী ইকবাল, একুশের সংবাদ পাঠিকা পারভিন মিতু, শিশুশিল্পী পিদিম ও অহনা এবং একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন একুশের রাতের জনপ্রিয় উপস্থাপক অঞ্জন রায়।
নাটকটি ঈদের তৃতীয় দিন রাত সাড়ে সাতটায় প্রচার করা হবে। এই নাটক সম্পর্কে নির্মতা মাসুম মাহবুব জানান, রাজধানীর চার দেয়ালে বেড়ে ওঠা শিশুদের পৃথিবী ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে আসছে। অসম প্রতিযোগিতায় পড়ে অনেক শিশু হারাচ্ছে স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার পরিবেশ। বড় হচ্ছে ঠিকই, তবে অসুস্থ হয়ে কিংবা মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে। নাটকটি প্রযোজনা করেছে ভিউফাইন্ডার মিডিয়া সলিউশন।
এটি ছিল রিপওর্ট একটু আগে নাটকটার প্রিমিয়ার দেখলাম...বেশ ঝরঝরে.... গতি আছে...পতন নেই। তবে সময়ের কাছে হেরে গেছে অনেক শিল্পবোধ এইটুকুই যা দু:খ...
নাটক নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি ভাবছি নাটকের মেসেজ নিয়ে... যদি সব বাবা মাই চান তার সন্তান ফার্স্ট হবে তাহলে সেকেন্ড থার্ড হবে কারা?...আর শুধু পুথিগত বিদ্যাইতো জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়...নাটকের শুরুতে লেখা অহনা ও জাবির নিবেদিত আমি চিন্তিত অহনা-জাবিরকে নিয়ে....জাবিরের মা এখনই মাত্র সাড়ে তিন বছরে ছেলেকে সব ছড়া মুখস্ত করিয়েছে...এবিসিডি, অআইঈ, এবঙ আর্ও সব পড়ার জন্য আক্ষেপ....স্কুলে ভর্তি করাচ্ছি না কেন এ নিয়ে তার ইঞ্জনিয়ার মামার আক্ষেপ!....সব মিলে দু:শ্চিন্তাই বটে সবা বাবা মা কম্পিটিশন করেন ছেলে মেয়েকে ফার্স্ট বানোনর এ থেকে সরে আসতে হবে। সরে আসতেই হবে।...
নাটকটি দেখুন আর সিদ্ধান্ত নিন....