এভাবেই ফিরতে হয় জয়ের ধারায়। বিগত ক’টি সিরিজে ক্রমাগত হারতে থাকায় তুমুক সমালোচনা শুনতে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। আজ সকল সমালোচনার জবাব দিলো টিম বাংলাদেশ,এক ইতিহাস গড়ে।
ম্যাচ শেষে মুশফিকের অমন সেলিব্রেশন নজর কেড়েছে টাইগার ভক্তদের। শুরুটা চমৎকার হলেও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছিলো না কে জিতবে। অবশ্য ক্রিকেট খেলাটাই এমন। এ ম্যাচ ঘিরে ছিল অনেক প্রত্যাশা তাই দুর্দান্ত কিছু করা ছিল সময়ের দাবী।
শেষ ওভারের আগে নিশ্চিত হচ্ছিলো না কে হাসবে বিজয়ীর হাসি। তাই স্টেডিয়ামজুড়ে উৎকণ্ঠা। সাইডবেঞ্চে বসে থাকা ইমরুলরদের চোখেমুখেও বারবার সেটাই দেখা গেছে। কিন্তু যে ম্যাচে মুশফিক দাঁড়িয়ে যান,শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন কোন ভুল ছাড়াই সে ম্যাচে জয় তো বাংলাদেশেরই হবে। হয়েছে এবং সেটা ইতিহাস তৈরি করেই।মানসিক দিক থেকে বিধ্বস্ত একটি দল এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে এটা অনেক বেশি প্রত্যাশিত ছিল।
মুশফিক খেললেন ম্যাচের শেষ শট,জয় পেল বাংলাদেশ। মূলত এটি ছিল একটি কামব্যাক শট। যে শটে জয় এসেছে,মানসিক শক্তি ফিরেছে, বাংলাদেশ পেয়েছে সেলিব্রেট করার মতো মুহূর্ত।
এ ম্যাচে ৩৫ বলে ৭২ রান করা মুশফিকের পর খুব বেশি উচ্চারিত হবে লিটন দাস নামটি। তার ৪৩ রানের ইনিংস এগিয়ে দিয়েছে অনেকখানি। লড়াইটা জমিয়েছেন তামিম,মাহমুদুল্লাহ,সৌম্যরা ।
ম্যাচ জয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না বাংলাদেশ। তেমনটাই জানালেন তামিম। ম্যাচ পরবর্তী প্রেস মিট এ বললেন,”আজকে জেতার কারণে যে আমরা পৃথিবীর সেরা দল হয়ে গিয়েছি তা না।এই ফরম্যাটে আমরা আরো অনেক কিছু করতে পারি। আরো অনেক কিছু শিখতে পারি”।
হ্যাঁ টাইগাররা সামনের ম্যাচগুলোতে এই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখবে,এটা প্রত্যাশিতই।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৪৭