somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিয়ন্ত্রণ আসছে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ায়

২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রণ আসছে। জোরেশোরে চলছে এটি বাস্তবায়নের কাজ। এ জন্য ইন্টারনেট গেটওয়েগুলোতে (আইআইজি) বিশেষ প্রযুক্তি স্থাপনের উদ্যোগ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোসহ ইন্টারনেট ব্যবস্থায় নজরদারিতে (ফিল্টারিং) বিশেষ প্রযুক্তি বসানোর জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পেয়েছে সরকার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একটি সুত্র জানিয়েছে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে বিশেষ প্রযুক্তি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা হতে পারে। এদিকে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিষয়ে দেশের টেলিকম বিশেষজ্ঞরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তাদের অভিমত, ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের আইটি সেক্টরে। নিয়ন্ত্রণ সফটঅয়্যার বা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যে কারো ব্যক্তিগত একাউন্টে সহজেই প্রবেশ করা যাবে এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
সূত্র আরো জানায়, এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ৮ এপ্রিল আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ‘ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন’ চেয়ে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেয়। এই আগ্রহপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল গত ২০ মে। কয়েকটি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট সলিউশনস প্রোভাইডার কোম্পানি গত রবিবার বিটিআরসিতে আগ্রহপত্র (এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট)জমা দিয়েছে। এগুলো যাচাই বাছাই করে পুরো প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। প্রতিটি আইআইজিতে এ প্রযুক্তি বসানোর পর ইন্টারনেটের নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণের মূল ক্ষমতা থাকবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হাতে। এদিকে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপের বিষয়ে দেশের টেলিকম বিশেষজ্ঞরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তাদের অভিমত, ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ আরোপের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের আইটি সেক্টরে। এটা একদিকে যেমন ব্যবহারকারীদের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করবে, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অনলাইন ভিত্তিক আর্থিক ও সামাজিক কর্মকা-। সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়, সমাজ, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায়-এমনসব আপত্তিকর পোস্ট বন্ধ করার যুক্তি দেখানো হলেও, ভিন্নমত পোষণকারী সংবাদ, অনলাইন নিউজ এজেন্সিগুলোও এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। যা স্বাধীন মত প্রকাশের পরিপন্থী। এছাড়া এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলে ফেইসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কারো ব্যক্তিগত একাউন্টে প্রবেশ ও নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকবে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে।
এ প্রসংগে গতকাল সংসদ ভবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে ‘ফিল্টার’ বসানোর সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণ হিসেবে না দেখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিগত কয়েক মাস যাবৎ কয়েকটি অপশক্তির উত্থান হয়েছে। এরা বিকৃত তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রচার করে ধর্মীয় উন্মাদনার সৃষ্টি চেষ্টা চালিয়েছে। এগুলো বন্ধ করতেই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রযুক্তি চালুর পর ফেইসবুকের আপত্তিকর বিষয় বাদ দেয়া সহজ হবে। ফলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করার আর প্রয়োজন হবে না। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে যাতে আপত্তিকর বিষয়গুলো দেখা না যায়- তা নিশ্চিত করতে ‘বিশেষ প্রযুক্তি’ ব্যবহার করবে সরকার। আইআইজিগুলোত ফিল্টারিং বা বিশেষ প্রযুক্তি স্থাপনের ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন বিঘœ সৃষ্টি হবে কি না- এই প্রসংগে বিটিআরসি’র একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিশেষ প্রযুক্তি স্থাপনে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে, এমন ইন্টারনেট নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করে দিতে হবে যাতে মূল সাইট চালু রেখেই সহজে আপত্তিকর বিষয়গুলো ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলা যায়। এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমন হবে, যাতে আইআইজিগুলোতে বসানোর পরও ইন্টারেনেটের গতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না এবং আইআইজিগুলো নির্বিঘেœ ব্যবসা করতে পারবে। আইআইজিগুলোতে এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বসানোর পর ওয়েব ইন্টারফেসের মাধ্যমে এর মূল নিয়ন্ত্রণ থাকবে বিটিআরসির প্রধান কাযালয়ে। ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে সলিউশনস প্রোভাইডারকেও সার্বক্ষণিক সহায়তা দিতে হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৬টি আইআইজি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান ব্যন্ডউইডথ নিয়ন্ত্রণ ও পাইকারি ব্যান্ডউইথ আইএসপিগুলোকে বিক্রি করে। আর আইএসপিগুলো গ্রাহক পর্যায়ে সেবা দেয়।লিংক
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×