মুক্তি যুদ্ধে মুক্তি যোদ্ধারা এক জয়ের উন্মাদনা বুকে নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। কোথায় তাদের ঘর .কোথায় স্বজন এর কোনা নিশানা ছিল না। দুচোখে একটাই স্বপ্ন ছিল দেশ মাতাকে মুক্ত করে আনা।
যুদ্ধ কালীন সময়ে তাদের দিন রাত মাস বছর কি ভাবে পার করেছে তা তারা বলতে পারবে না। তখন তারা নতুন ভোর দেখার নেশায় ছিল পাগল। আলিঙ্গন জানাতে এক নতুন সুর্যকে তাদের নাওয়া খাওয়া সব ছিল জলাজ্ঞলী দেওয়া। বিনিময়ে তারা একটা স্বাধীন মানচিত্র চেয়েছে। এর বিনিময়ে তাদের কোন চাওয়া ছিল না।
কিন্তু আমরা চির কৃতজ্ঞ হলাম তাদের কাছে। তাই তো তাদের জন্য সামান্য কিছু করতে আমাদের এত প্রয়াস।
সরকার তার সাধ্যমত চেষ্টা করছেন কি ভাবে তাদের সম্মানিত করবেন। এর মধ্যে বর্তমানে যে মাসিক ভাতা দিচ্ছেন তা একটি প্রশংসনীয় উদ্যাগ। বর্তমানে তারা মাসিক ৮০০০ টাকা ভাতা পাচ্ছেন।প্রধান মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী খুব শীগ্রই তা ১০,০০০ টাকায় উন্নীত হতে যাচ্ছে। নি:সন্দেহে তা আনন্দের সংবাদ।
তখন যারা ৪০ এর কাছাকাছি বয়সের ছিলেন, আজ তারা বয়সের ভার বইতে অক্ষম। এর পর আছে বার্ধক্য জনিত অসুস্থতা।অনেকেই এর মধ্যে স্মৃতি ভ্রষ্টও হয়েছেন। এ সময় এই ৮০০০ টাকা কিযে সম্বল তা বৃদ্ধ মাত্রই জানেন। যখন তাদের দেহে থাকে না বল, মেজাজে থাকে না তেজ।
আর এই সুযোগ নিচ্ছে কিছু কুলাঙ্গার উত্তরাধিকার গর্বিত মুক্তিযোদ্ধার কাপুরুষ সন্তান। তারা ছলে বলে এই ভাতার টাকাটা হস্তগত করে নিজেদের ব্যয় মেটাতে ব্যস্ত্ আর অবহেলিত হচ্ছে আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার।
এই দুষ্ট জাল থেকে কিভাবে তাদের বের কার যায়, এটা নিয়ে একবার বোধ হয় আমাদের সকলকে ভাবতে হবে।