কাছের এক বন্ধু আর দুটো চেনা মুখ জানিনা কেমন আছে তারা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার হয়েছে কিছুদিন হল। আমাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি তাদের শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করলো অশিক্ষণীয় ও কাপুরুষিত ভাবে। দেশের প্রাইম মিনিস্টারের কাছের একজনের হাতের ছোয়ায় বেড়ে উঠা এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি হয়ত এরকম অগণিত স্বাধীন প্রাণকে পিষে উপরে উঠতে থাকবে। উপরে ওঠার এটাই যে উপযুক্ত সিড়ি।
আইনকে ব্যবহার করেছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। বাংলাদেশে যতটা আইন আছে তারচেয়েও বেশী আছে লাইন। শিক্ষিত মোড়লরা আজ লাইনকেই আইন মেনে চলছে।
সংজ্ঞা যতটুকু হয় তারথেকেও বড় হয় ব্যাখ্যা। ব্যাখ্যা পাল্টায় কিন্তু সংজ্ঞা কখনো পাল্টায় না। এই ক'জনের উপলব্ধি ও জাগ্রত কন্ঠ সংজ্ঞাহীন আমাদের করেছিল ন্যায়ের জন্য প্রতিবাদী। তবে এই অগ্রগামী কন্ঠের পদচলা পদদলিত শিক্ষিত দানবের কাছে। কিন্তু এ পথে সফলতা অর্জিত হয়ই কিছুনা কিছু বিসর্জন দিয়ে। ন্যায়ের জন্য লড়াই কখনও থেমে থাকে না। মানুষ বদল হবে তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠ কখনো থামবেনা। এটা হয়ত শিক্ষিত মোড়লদের জানা নেই।
বিব্রতকর হলেও সত্য প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার মান বৃদ্ধি করছে শুধুমাত্র ওয়েবমেট্রিক্সের বিশ্ব-তালিকার কাগজ ক্যাম্পাস জুড়ে দেয়ালে লাগিয়ে। কিন্তু ভিতরের যে নাজুক অবস্থা সেটা দেখছেনা কেউ। সেমিস্টারের শুরু আর শেষেই মনোযোগ যাদের, মাঝের দিনগুলোয় তাজা প্রাণের আর্তনাদ কি যায় আসে তাদের...!?