somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশান

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশান” আছে এমন একটা দেশে চলেন সবাই; বাট যাবার আগে খোঁজা তো দরকার!

খোঁজার সুবিধার জন্য একটু ন্যারো ডাউন কইরা নিতে পারি; ধরলাম, এই জিনিস যেসব দেশের স্বরাষ্ট্রনীতি আর পররাষ্ট্রনীতি জুড়ে আছে, এমনকি এই জিনিস এনফোর্স করতে আর আর দেশে বোমাও মারে যেইসব দেশ–সেসব দেশেই এইটা থাকার সম্ভাবনা সবচে বেশি।

সেগুলির কমন কিছু বৈশিষ্ট্য আগে দেখতে পাবো আমরা; এগুলি সম্মিলিতভাবে দুইটা বিশ্বযুদ্ধ ঘটাইছে, দুইটা আস্ত শহর পুইড়া ফেলছে অ্যাটম বোমা মাইরা; তবে, সেসব অনেকদিনের কথা। তাঁরা নিশ্চই অনুশোচনা কইরা নিজেদের ধুইয়া ফেলছে এতোদিনে…

যাই হোক, অমন একটা দেশেই এই ফেসবুকের গোড়া; ফেসবুকে ‘hitler’ লিখে খুঁজলাম; Click This Link আর Click This Link লিংক দুইটা পাইলাম; মনে হইতে পারে যে এগুলি ফেসবুক পেজ, পেজ যেমন হয় ফেসবুকে। বাট, একটা নোটিশ পাইবেন দুইটাতেই পেজ-এ যেইটা বলছে: This Page is automatically generated based on what Facebook users are interested in, and not affiliated with or endorsed by anyone associated with the topic.

‘hitler’ নাম দিয়া পেজ করতে গেলে ‘invalid’ বলে জানায় ফেসবুক; মানে হইলো, হিটলারের একটা ফ্যানপেজ থাকতে/হইতেই পারে না ফেসবুকে। উপরের দুইটা পেজই উইকি থেকে অটোমেটিক্যলি তৈরি হওয়া। দুইটাই হিটলারকে একজন খুনী, স্বৈরাচার, রাজনৈতিক ভিলেন, যুদ্ধবাজ হিসাবে পরিচয় করাইয়া দেয়। ‘hitler’ নামে কোন ফেসবুক ইউজারই পাইলাম না।

পাকিস্তান ইত্যাদি দেশে যেই ব্লাসফেমি আইন আছে ঐসব দেশে তার প্যারালাল ‘হলোকাস্ট ডিনায়্যাল’ আইন আছে।

ওদিকে সকল দেশেই কমন একটা ব্যাপার তো আছেই; কোন দেশ সেই দেশের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে দেয় না; কোন দেশেই আপনে ঘোষণা দিতে পারেন না যে আপনে সেই দেশরে ভাইঙ্গা ফেলবেন, রাষ্ট্রদ্রোহিতা যারে কয় সেইটা সব সময়ই “ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশান” বিরোধী ব্যাপার।

অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইস্যুতেও “ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশান” থাকে না আসলে; এইতো কয়দিন আগে ভারতে একটা সিনেমা (পড়েন: http://www.toolittledots.biz/rock.970.manu ) মুক্তি দিতে পারলো না সেন্সরের আপত্তিতে; “ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশান”-এর দাবি কইরা ‘চাইল্ড পর্নোগ্রাফি’ করতে পারবেন না কোন দেশে। ড্রাগের অ্যাডভোকেসি নিষিদ্ধ থাকে, সব দেশেই মে বি; ঘৃণা উৎপাদন ইত্যাদি করতে পারবেন না।

এগুলিতে আরো একটা ব্যাপার সাফ সাফ বোঝা যায়; কেউ কেউ যেমন বলছেন, ধর্ম কি এতো পলকা যে একটা বই বা কার্টুন সেইটারে ক্ষতি করতে পারবে? দেখা যাচ্ছে, ফান্ডামেন্টালি বিরোধী জিনিসের বুদ্ধিবৃত্তিক তৎপরতায় যে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে সেই ব্যাপারে সব পক্ষই মোটামুটি একমত; সেই জন্যই হিটলারের প্রশংসা করা যায় না, হলোকাস্ট ডিনাই করা যায় না।

তবু, এ তো গেল এক্সটার্নাল সেন্সরশিপের মামলা; বাংলাদেশে যারা “ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশান” চাইতাছেন, অ্যাবসল্যুট অর্থে তাঁরা নিজেরা কি সেন্সরশিপের প্রাকটিস করেন, মানে সেলফ-সেন্সরশিপ আছে নাকি?

পর্নো ছবি বা গল্পে ইনসেস্ট বেশ জনপ্রিয় দেখা যায়; বাংলায় লেখা যৌনগল্পেও এটি খুব সাধারণ ব্যাপার; কিন্তু সমাজে পরিচিত নামে যেসব গল্প উপন্যাস লেখাজোখা হয় তাতে ইনসেস্ট দেখা যায় না একেবারেই।

কোলকাতা থেকে কয়দিন আগে মুক্তি পাওয়া ‘কসমিক লাভ’-এ ইনসেস্টের কিছু এলিমেন্ট আছে শুনছি, বাট শুনলাম, সেই চরিত্রগুলি মোসলমান সবাই! ফলে ওইটা নিতান্তই এক ইসলামবিরোধী তৎপরতা, বিজেপি সরকারের মিত্ররা যখন ‘ঘর ওয়াপসি’ করতাছে তখন ইসলামের উপর এমন আক্রমণ ভারতে ঘটতেই তো পারে!

ওদিকে, ইনসেস্ট আবার ধর্মভেদে আলাদা; হিন্দুধর্মে ইনসেস্ট ওয়াইডার ইসলামের চাইতে; বাংলাদেশে মোসলমানের পোলামাইয়া যেসব নাস্তিক আছেন তাদের লেখালেখিতেও আমি ইসলামে ইনসেস্টের যেই ডেফিনিশন সেইটা অমান্য করতে দেখি নাই কোথাও। তাতে করে অন্তর্গত এক ইসলামী মন পাওয়া যাইতে পারে।

ইমরুল হাসান স্যাডে’র একটা জীবনী অনুবাদের ভূমিকায় ( http://goo.gl/TQXJUb ) জানাইছিলেন মনে পড়ে–স্যাডে’র এক্সপ্রেশানের জন্য ফ্রেন্স রেভ্যুলেশনের (ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশানের মহান বিপ্লব) আগে জেলে ঢুকানো হইছিলো, রেভ্যুলেশনের পরে আবার ধরে জেলে ঢুকানো হয়; রেভ্যুলেশনের পরে নির্যাতন একটু নাকি বেশি হইছিলো… কী ছিলো তাঁর এক্সপ্রেশান? নিতান্ত ‘অ্যানাল সেক্স’ ইত্যাদি…

তো মনে হচ্ছে, অমন দেশ আরো কিছুদিন খুঁজতে হবে আমার, আপনেরা পাইলে জানাইয়েন প্লিজ...

লেখক থাকেন:: http://www.toolittledots.biz/rock.995.manu
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×