কয়েকদিন ধরে এই আরিফের সম্পর্কে অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে অনেক কিছুই লিখেছেন। বেশ তুমুল যুক্তি তর্ক ছুড়াছুড়ি হয়েছে। ধর্মের গোড়ামি ফুটে উঠেছে অনেকের কথায়, ধর্মের নামে নোংরামীও কম দেখা যায়নি বিষয়টি নিয়ে। তবে যারা কিছু মনেই করেনি এ বিষয় নিয়ে তাদের কথা না বলি, তবে যারা খুব পক্ষপাতিত্ব করেছেন, তারা পক্ষে যাবার কারনটি সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারেননি বলে আমার মনে হয়।
আমি এ বিষয় নিয়ে তেমন কিছু বলব না, কেননা আমার ঘাড়ের উপর মাথা থাক এইটাই আমি চাই। বেশি কিছু বলা এই দেশে যায়না, মানা আছে। যদি অন্যায় কিছু বলতাম তাহলে গলা ফাটিয়ে বলতে পারতাম। এই দেশের মানুষ সত্য শুনতে চায়না, পারেনা। যেই সত্য বলতে চেয়েছে তারা টিকতে পারেনা। আর কোন ভুমিকা নয়।
দেখুন আরিফের কার্টুনটা আমার মনে হয় একটা শিক্ষা এই দেশের মানুষের জন্য, এই মুসলিম জাতির জন্য। কে কিভাবে নিবে জানিনা। তবে আমার মনে হয় তার এই লেখা থেকে মানুষের শিক্ষা নেয়া উচিত।
মানুষ কখনো কখনো তার মনুষত্ব হারিয়ে পশুর ন্যয় আচরন করে। বাংলা ভাই, লাদেন ভাই, নিজামী, সাইদি এদের মত মানুষ নামের জীবগুলো তাদের নামের আগে মোহাম্মদ লাগিয়ে বা মোহাম্মদ এর গুনগান গেয়ে কত হিংস্রতার পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া আরও কিছু বাস্তবতা সবার চোখেই কম বেশি পড়ে, একজন নামাজী, হাজ্বী পশুর মত কাজ করেও মোহাম্মদ নাম নিজের নামের সাথে জুড়িয়ে দেয়। কেউ কি বলতে পারবে যার নামের আগে মোহাম্মদ আছে সে ঘুস খায়না? সে নারী ধর্ষন করেনা? মানুষ পাচার করেনা? মানুষ হত্যা করেনা? এমনও মানুষ আছে যারা এই আরিফকে নিয়ে অনেক গালাগালি করেছে কিন্তু সে নিজেও মোহাম্মদ নাম লাগিয়ে ঘুষ খাচ্ছে, নারী ধর্ষন করছে, ঘুষ দিচ্ছে, চুরি, ডাকাতি করছে। এত এই দেশের কথা মাত্র, সৌদীতে কি হয়? সেখানে যারা বাদশা, অনেক উচ্চ আলেম নাম ধারী, দাড়ি, টুপি জুব্বা পরেও পশুর মত কাজ করছে, তাদের দ্বারা আবার ধর্মের রীতিনীতিও তৈরী হচ্ছে।ধর্মের নামে ফতোয়া, হাদিস দিচ্ছে। কেন ইয়াজিদ কি মুসলমান ছিল? তার বাপ মোয়াবীয়া? সবাই মোহাম্মদ নামধারী, মোহাম্মদের পুজারী বলে নিজেদেরকে দাবি করত। তারা মোহাম্মদের বংশই শেষ করে দিল।তারপরেও মানুষ তাদের দেয়া আইন-কানুন মেনে চলছে। তাদের বলে দেয়া পথ অনুসরন করছে। ইতিহাস তাই বলে। নবী বংশ ধ্বংশের পর যখন গ্গানীরা পালিয়ে থাকল; সত্য, গ্গানের কথা যারাই বলত তাদের অত্যাচার করা হত, হত্যা করা হত। তখন ইসলামের জয় ডংকা কারা বাজাত? এই ইয়াজিদ।তাদের বংশই পরবর্তীতে ইসলামের প্রচার প্রসার ঘটিয়েছে। এরা সকলেই মানুষ আকারে দেখতে, কিন্তু ভিতরে মনুষত্ব নামের বীজ নাই কারোরই। মোহাম্মদত আরো অনেক উপরের কথা, গভীরের বিষয়। তো এই সকল নামধারী মুসলমান নামের আগে মোহাম্মদ লাগালে তখন মোহাম্মদের নাম ছোট হয়ে যায় না? তখন জাতি লজ্জা পায়না?
মোহাম্মদ নাম লাগালেই সে মোহাম্মদ হয়ে যায়? মুসলিম হয়ে যায়? আরিফের কার্টুন থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত এটাই যে নাম রাখলেই মুসলিম হয়না, মানুষ হয়না। একটা বিড়াল সে নিরিহ জীব, শান্ত প্রকৃতি। এটাই বুঝানো হয়েছে যে ঐ সকল হিংস্র পশুরা (মানব আকৃতি) মোহাম্মদ নাম ধারন করলে এই নিরিহ প্রানী কি দোষ করল? সে সমাজকে একটা শিক্ষা দিতে চাইল যে নাম রাখলেই হয়না, মানুষ তোমারা লজ্জিত হও, তোমরা এভাবে মোহাম্মদ নামকে নিয়ে আর তামাসা করনা। কিন্তু জাতিত আমরা সেটা বুঝবার জাতি নই। সবাই উপরে একটা মানুষের নেকাব লাগিয়ে রেখেছি। মোহাম্মদ নাম লাগালেই মোহাম্মদ হয়ে যায় না, নাম লাগালেই মানুষই হতে পারেনা। ইহা মানুষের গ্গান এর ব্যপার।
যাইহোক কেউ মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে দু:খিত।বানান ভুল হতে পারে; একান্ত নিজের চিন্তা থেকে লেখা, আমার ধারনাও ভুল হতে পারে, কাউকে আঘাত দিয়ে কিছু বলা উদ্দেশ্য নয়।