somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

***Theory of Fun and Rock n’ Roll***

১৭ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সবকিছুতেই ফান খুজে বেড়ানোটা একটা হুজুগে পরিণত হয়েছে আর খুবই বিচিত্রভাবে এই ফানের সাথে কনসার্টের একটা সম্পর্ক তৈরী হয়েছে। জাহেলী যুগে মানুষ বিচিত্র উপায়ে ফান খুজে বেড়াত। উদাহরণ স্বরুপঃ কাবার চারপাশে হাততালি আর শিষ বাজিয়ে উদাম নৃত্য, মদের আসর, প্রত্যেক বছর মেলার আয়োজন করে বিভিন্ন নির্মিত মূর্তি দিয়ে উৎসব উৎযাপন করা হতো। মানুষ যখন ‘একত্ববাদ’ এর দাসত্ব ছেড়ে দেয় তখনি তার মাঝে কোন না কোন উপায়ে পৌত্তলিকতা প্রবেশ করে। বর্তমান দুনিয়াতে যার দাসত্ব সবচেয়ে বেশী মার্কেট পেয়েছে তা হচ্ছে ‘প্রবৃত্তি’র দাসত্ব। প্রবৃত্তি যা বলে তাই মেনে নেয়া আর মানুষ যখন প্রবৃত্তির দাস হয়ে তখন সে হারামকে হালাল বানিয়ে নিতে পারে কোন দ্বিধা ছাড়াই। ঠিক এ কারণেই বর্তমান তরুন-তরুনীদের পোষাকের মাঝে যে কালচারে গড়ে উঠছে তা তাদের নিকট স্বাভাবিক কারণ তারা আল্লাহ তা’আলার আনুগত্যশীল বান্দাহ নয় বরং প্রবৃত্তির গোলাম। তরুনদের Baggy আর Shaggy কালচার প্রবৃত্তির গোলাম হওয়ারই ফল। Baggy কালচার হচ্ছে প্যান্ট এমনভাবে পরা অর্থাৎ যে প্যান্ট কোমড়ে থাকতে চায় না বরং নীচে নেমে যেতে চায় আর Shaggy কালচার হচ্ছে মাথার চুলের এলোমেলো, উস্কুখুস্কু, উদ্ভট অবস্থা। তরুনীদের ক্রমে ক্রমে ‘ছেলেনাইজড’ হওয়ার প্রবণতাও প্রবৃত্তির গোলাম হওয়ার ফসল।

এরপর হচ্ছে কনসার্ট, যেখানে গানগুলো থাকে মিথ্যা কথায় পরিপূর্ণ। মাদক বিরোধী কনসার্ট, ইভ টিসিং বিরোধী কনসার্ট ইত্যকার আয়োজনগুলো মাদক প্রচারণা আর ইভ টিসিং এর ট্রেনিং ক্ষেত্র হিসেবেই হয়ে থাকে। নিজস্ব মস্তিস্ক চাষ করে কোন উপায় মানুষকে মুক্তি দিতে পারে না বরং মানুষকে গিনিপিগ বানায় আর কিছু নয়। মানুষকে নিয়ে খেলা, এক্সপিরিমেন্ট করা - এই সিস্টেম করলে কেমন আউটপুট আসে প্রভৃতি। এমনকি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাটাও একটা এক্সপিরিমেন্ট আর তার গিনিপিগ হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। কয়েক বছর পর পর সিস্টেমের পরিবর্তন আর উর্বর মস্তিষ্কের চাষ করা সিলেবাস দিয়ে আউটপুট হিসেবে বর্তমান প্রজন্মকে আমরা হাতে পাচ্ছি। যারা এতটাই আধুনিক যে তাদের অধিকাংশ সালাত আদায় করার সময় পান না তবে কনসার্টে যেয়ে উদাম নৃত্য করতে আর হাত তালি বাজাতে হাতে অফুরন্ত সময় থাকে।

وَمَا كَانَ صَلاتُهُمْ عِنْدَ الْبَيْتِ إِلا مُكَاءً وَتَصْدِيَةً
অর্থঃ আর কা‘বার নিকট তাদের সালাত শিষ ও হাত-তালি ছাড়া কিছু ছিল না। (সূরা আনফালঃ ৩৫)

জাহেলী যুগে শিষ আর হাত-তালি দেয়াটাই ছিল তাদের সালাত, আচ্ছা বর্তমান প্রজন্মের যারা কনসার্টে যেয়ে হাত-তালি আর শিষ দিচ্ছে তারাও তো পৌত্তলিকতার অনুসরণ করছে! সালাতের সময় নেই কিন্তু শিষ আর হাত-তালি বাজাতে, মিউজিকের তালে তালে শরীর দুলাতে দ্বিধা নেই।

মুসলমানদের অবস্থার পরিবর্তন তখনি হবে যখন তারা সাহাবীদের মতো করে ইসলামকে বুঝতে শিখবে অন্যথায় যত পদ্ধতীরই অবলম্বন করা হোক না কেন অবস্থার পরিবর্তন তো হবেই না বরং আরও অধপতন হবে। কাজেই সময় থাকতে আর যত দ্রুত কুরআন ও সহীহ সুন্নাহকে আকড়ে ধরে নিজের জীবনকে পরিবর্তন করে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ অনুযায়ী সাজিয়ে নিব তত দ্রুতই আমাদের অবস্থার পরিবর্তন হবে। গোলামের জাতি হয়ে থাকার জন্যে আমরা পৃথিবীতে আসিনি বরং পৃথিবীতে মানুষকে আল্লাহর একত্ববাদের বাণী প্রচার করতে, সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করতে আমরা পৃথিবীতে এসেছি। এটাই জীবন, এটাই বাস্তবতা যতই অস্বীকার করি না কেন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সাথে সাথেই সব কিছু স্বচ্ছ হয়ে যাবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের হক কথা বুঝার সুমতি দান করুন, আমীন।
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×