somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"ইহুদি নাসারারা আমাদের কুরআন থেকে চুরি করে বিজ্ঞানী হয়ে গেছে" কথার জবাব।

২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি অতি পরিচিত ঘটনা শোনাই, সবাই জানি, কিন্তু বরাবরের মতই আমি একটা ভিন্ন দৃষ্টিকোণ তুলে ধরবো। ভাল লাগলে কিছু শিখবেন, নাহলে চালিয়ে যাবেন, আপনার কাজের জন্য আপনি দায়ী।
আদম (আঃ) এবং ইবলিসের ঘটনা।
আদমকে (আঃ) আল্লাহ সৃষ্টি করলেন, এবং ফেরেস্তা ও জ্বিনদের হুকুম করলেন, "একে সিজদাহ দাও।"
সবাই সিজদাহ করলো, একমাত্র ইবলিস ছাড়া।
আল্লাহ কারন জিজ্ঞেস করলে, সে বলল, "ও মাটির সৃষ্টি আর আমি আগুনের। কিভাবে ও আমার চাইতে শ্রেষ্ঠ হলো?"
এখানে অনেকে কুতর্ক করার চেষ্টা করে। বলে, "ইবলিশতো বলতে পারে, "আপনি আমাকে আপনি ছাড়া আর কাউকে সিজদা করতে নিষেধ করেছেন, তাই করি নাই। তাহলে আমি ভুল করলাম কোথায়?""
এমন আহাম্মকি, অযৌক্তিক, সস্তা, ভিত্তিহীন, আর আল্লাদি কথাবার্তা শুনলে মেজাজ খারাপ হয়। প্রথম কথা, ইবলিস এমন কথা বলেছে, এই তথ্য কোথায় পেলেন? নাকি আপনি ইবলিসের হয়ে জবাব দিতে চাইছেন? আর দ্বিতীয়ত, যে আল্লাহ বলেছেন উনাকে ছাড়া সিজদা না দিতে, সেই আল্লাহই হুকুম দিয়েছেন এখন আদমকে (আঃ) সিজদাহ দিতে হবে। আমরা তাঁর হুকুমের গোলাম হলে এক্সট্রা পান্ডিত্য ফলাবার কে? তিনি এককালে বাইতুল মাকদিসের (মসজিদ আল-আকসা) দিকে ফিরে নামাজের হুকুম দিয়েছিলেন, সেই তিনিই সেটা পাল্টে কাবামুখী করেছেন। তারপরে তিনি যদি বলতেন মসজিদে নববী বা অন্য কোথাও ফিরে সিজদা দিতে, অথবা না নিতে, তাহলে আমাদের সেটাই করতে হতো। কারন আমরা আল আকসা মসজিদ, বা কাবাকে না, ওদিকে ফিরে আল্লাহকে সিজদাহ দেই। তাই ফেরেস্তারা আদমকে (আঃ) না, মূলত তাঁর স্রষ্টাকে সিজদা দিয়েছিলেন তাঁর হুকুম মেনেই। কমন সেন্সের ব্যাপার।
তা আজকের কথাবার্তার টপিক সিজদাহ নয়। বরং ইবলিসের আচরণ ব্যাখ্যা।
দেখুন, আমরা সবাই জানি ইবলিস "শয়তান" হবার আগে সেই ছিল সবচেয়ে পরহেজগার বান্দা। আল্লাহর ইবাদতে ছিল মশগুল। শত শত বছর, হাজার হাজার বছর। এতটাই যে ওকে পুরস্কৃত করতে ওর স্থান অনেক উপরে তুলে দিয়েছিলেন স্বয়ং আল্লাহ। কিন্তু আল্লাহ নিজেওতো জানতেন ওর মনের ভিতরে কি চলছে, তাই না? তাই আদম (আঃ) সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি ইবলিসেরও পরীক্ষা করলেন, জিব্রাঈলদেরও (আঃ) পরীক্ষা হয়ে গেল।
এবং এর মাধ্যমেই ইবলিসের আসল চেহারা প্রকাশ হয়ে পড়ে। সে মানতেই পারেনা ওর চেয়েও জ্ঞানী, ওর চেয়েও শ্রেষ্ঠ কেউ হতে পারে। তাই নিজের অহংকারই ওর পতনের কারন হলো। সেই ছিল প্রথম বর্ণবাদী।
বুঝাতে পেরেছি?

এখন আরেকটা উদাহরণ দেই। মানুষদের মধ্যে নিকৃষ্টদের অন্যতম, আবু জাহেল। সে ছিল গোত্রভিত্তিক মক্কার অন্যতম প্রধান ও ক্ষমতাবান পরিবার বনু মাখযুমীদের নেতা। বনু মাখযুমীদের তুলনায় ধনী পরিবার মক্কায়তো নয়ই, গোটা আরবেই কেউ ছিল না। কিন্তু তারপরেও শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ওদের প্রধানতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বনু হাশিম পরিবার। ওরা গরিব ছিল, কিন্তু ওদের ইজ্জত ছিল গোটা আরবেই। আমাদের দেশে এমন পাওয়া যায় না? টাকা নেই, কিন্তু পরিবারটির সম্মান প্রচুর। আর টাকা আছে, কিন্তু সম্মান নাই। ঘটনা তেমনই।
মাখযুমীরা তাই জাতে উঠতে হাশেমীদের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল। একদল হাজীদের খাবার দিলে আরেকদল পানি দেয়। একদল এইটা করলে আরেকদল ঐটা করে। এইভাবে গোটা আরবে এই দুই পরিবারের নাম ছড়িয়ে পড়ে। এবং তখনই হাশেমী পরিবার থেকে একজন দাবি করে বসেন, আল্লাহ তাঁকেই নির্বাচন করেছেন শেষ নবী হিসেবে। এখন মাখযুমী পরিবার নবী পাবে কই? ওটাতো আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। আর যদি ওরা স্বীকার করে ফেলে যে ইনিই নবী, তাহলেতো মাখযুমী পরিবার আর কখনই হাশেমীদের সমকক্ষ হতে পারবেনা। কাজেই, আবু জাহেল অন্ধভাবে বিরোধিতা করে গেল নবীজির (সঃ)। এই সমস্ত ঘটনা আবু জাহেলের নিজের মুখে স্বীকার করা, যেকোন সিরাতুন্নবী গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। পড়ে দেখতে পারেন।
তা আমাদের নবীজি (সঃ) যদি মাখজুমি পরিবারে জন্মাতেন, তাহলে তাঁর সবচেয়ে বড় সমর্থক কে হত? এই আবু জাহেল। কেন? কারন, এতেই বনু হাশিম পরিবার মাখযুমীদের হাতে চূড়ান্ত মার খেত। কিছুতেই আর সমকক্ষ হতে পারতো না। কথা হচ্ছে, এই ঈমান কি তখন আল্লাহর জন্য হতো? নাকি সেটা হতো গোত্রপ্রীতি বা বর্ণবাদের জন্য? ভাল করে ভাবুন।
তারপরে ধরেন আরেকবার কুরাইশদের শ্রেষ্ঠ নেতারা এসে নবীকে (সঃ) প্রস্তাব দেন যে ওরা সবাই ইসলাম গ্রহণ করবেন, কিন্তু বিলাল, আম্মার বা এই শ্রেণীর আফ্রিকান দাস, যারা সমাজের নিচু স্তরের, তাঁরা একই আসরে একই কাতারে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। আল্লাহ জবাব পাঠান নবীজির কাছে, তাঁকে সাবধান করে বলেন যে এমন চিন্তাও যদি তিনি (সঃ) মাথায় আনেন, তাহলে তিনিও জালিম হয়ে যাবেন।
ইসলামে বর্ণবাদের কোন স্থান নেই।

এই পর্যন্ত সবাই বুঝতে পারছেন? আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন, আপনি যদি দশবার হজ্ব, অগণিত উমরাহ, হাফেজে কুরআন, শায়খুল হাদিস ইত্যাদি সব কিছু হয়ে থাকেন, নামাজ পড়তে পড়তে আপনার কপাল কালো হয়ে যায়, তবু আপনার অহংকারী হবার অনুমতি নেই। হয়তো যে শিশুটিকে আপনি মসজিদে সামনের কাতারে দাঁড়াতে দিচ্ছেন না, হয়তো তাঁর তাকওয়া আপনার তাকওয়া ও ইবাদতের চাইতে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। হয়তো আপনি দেশের প্রেসিডেন্ট, দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী, আপনার কোটি কোটি টাকা যাকাত পেয়ে লোকজন খেয়ে পরে বাঁচে, কিন্তু হয়তো আপনার চাইতে ঐ ফকিরের ইবাদত আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় যে ভুখা পেট ঘুমাতে যায়, তবু এই বলে শুকরিয়া আদায় করে যে আল্লাহর নবীও খালি পেটে থাকতেন। আজ আল্লাহ তাঁর বান্দাকে তাঁর রাসূলের সমান নেয়ামত দিলেন।
উপরে ইবলিসের উদাহরণ দিলাম, দিলাম উদাহরণ আবু জাহেলের ও অন্যান্যদের। ঠিক আছে?
এখন আলোচনায় আনি একদম পরিচিত "বর্তমানের ভাইরাল" টপিক।

"ইহুদি নাসারারা আমাদের কুরআন থেকে চুরি করে বিজ্ঞানী হয়ে গেছে।"
এই কথাটা আমাদের দেশের ওয়াজ করা "আলেমরা" (?!) বলে বেড়ায়, এবং পাবলিকও খুব খায়। কোন প্রকৃত "আলেম" (জ্ঞানী) কখনই এমন মূর্খের মতন কথা বলবেন না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ওদের শ্রোতারাও এইসব খায়। তাই এদের ডিমান্ডই বেশি।

কেন মূর্খ বললাম, তার পেছনে কিছু যুক্তি দেই, সহজেই বুঝবেন।
প্রথম কথা, কুরআনকে বিজ্ঞানের ভিত্তিতে মাপার দুঃসাহস করেন কোন বুদ্ধিতে? কুরআনকে বিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ডে পাশ করার সার্টিফিকেট নিতে হবে কেন? কুরআন আল্লাহর বাণী, আপনাকে সেটা বিশ্বাস করতে হবে নিঃশর্তভাবে। আপনার মনে সন্দেহ থাকলে, হীনমন্যতা থাকলে, তখনই আপনি যাবেন ভ্যারিফাই করতে। মনের তুষ্টির জন্য। আর যখন দেখবেন কুরআন বিজ্ঞানের পরীক্ষায় পাশ করেছে, তখন খুব গর্বের সাথে বলবেন, "এই দেখো, বিজ্ঞান বলেছে....আর কুরআন বলেছে.....।" ঠিকতো? এখন একজন মুসলিম হিসেবে বলেন, এটি কি কুরআনের অপমান নয়?

দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, কুরআন আমাদেরকে বিজ্ঞান শেখাতে নাজেল হয়নাই। যদি হতো তাহলে সূরাগুলোর জায়গায় আমরা মহাকর্ষ সূত্র, শক্তির নিত্যতা সূত্র, হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা সূত্র, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ব, ব্ল্যাকহোল বা ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় ভাবাকারে নয়, একদম স্পষ্টাকারে লেখা থাকতো। সেটা কি আছে? না। কি আছে? এক আল্লাহকে বিশ্বাস করার নির্দেশ। আছে কিভাবে "মানুষ" হিসেবে বেঁচে থাকতে হবে (মিথ্যা না বলা, চুরি না করা, ব্যাভিচার না করা, পাপ এড়িয়ে চলা, পুন্য করা ইত্যাদি) সেইসব বিধিমালা। ঠিক বললাম নাকি ভুল? কুরআন বিজ্ঞান গ্রন্থ নয়, বরং বিজ্ঞান শিখে সেটা কিভাবে ব্যবহার করতে হবে সেই নির্দেশ দেয়া গ্রন্থ। নিউক্লিয়ার শক্তির সূত্র কুরআনে নেই, কিন্তু এই শক্তির ফর্মুলা শিখে আপনি জনকল্যাণে নাকি সমাজ বিধ্বংসে ব্যবহার করবেন, সেই শিক্ষা আপনি পাবেন কুরআনে। বুঝেছেন?

তা আমার আজকের লেখা যে কারনে, সেটি হচ্ছে, এই কথায় কথায় ইহুদি নাসারাদের ছোট করতে আজগুবি ও হাস্যকর কথাবার্তা বন্ধ করেন। কতটা মূর্খ হলে আপনি দাবি করেন, আমরা মুসলিমরা বহুবার পড়েও যে আয়াতগুলোর মর্মার্থ বুঝতে ব্যর্থ, ইহুদি নাসারারা অমুসলিম হয়েও কুরআন পড়েই বুঝে ফেলে এর গোপন সূত্রগুলো এবং সেটার উপর গবেষণা করেই আবিষ্কার করে ফেলে! মানে, যা তা দাবি করারওতো একটা লিমিট থাকে নাকি? আর আমরা মুমিনরা ওদের এইসব আবিষ্কারের পাশাপাশি শসার মধ্যে, মেঘের মধ্যে, গাছের মধ্যে, মাংসের মধ্যে "আল্লাহু" খুঁজে বেড়াই!
একজন প্রকৃত মুসলিম কখনই এমন ছাগ্লামি করবে না। সে নিজে আবিষ্কার করতে পারলে করবে, না পারলে স্বীকার করে নিবে ওদের পরিশ্রমের ফল আল্লাহ ওদের দিয়েছেন। এতে ওরা শ্রেষ্ঠ হবেনা, আমরাও নেমে যাব না। হ্যা, ওরা জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করে পৃথিবীর নেতৃত্ব নিয়ে নিচ্ছে, আমাদেরও যদি সেই পর্যায়ে যেতে হয়, তবে আমাদেরও জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করতে হবে। মাদ্রাসা মক্তবে গিয়ে কেবল হাদিস কুরআন শিক্ষা নয়, সব ধরনের জ্ঞান চর্চার কথাই বলছি। যে খোয়ারিজমী বা অন্যান্যদের নিয়ে এখনও আমরা গর্ব করি, ওরা কিভাবে তৈরী হয়েছিলেন? খলিফার নির্দেশ ছিল বিশ্বের যাবতীয় জ্ঞানভাণ্ডার, যাবতীয় বই পুস্তক, সব যেন অবশ্যই আরবিতে কপি করা হয়। কেবলমাত্র এই একটি সিদ্ধান্তই মুসলিমদের হাতে নেতৃত্ব এনে দিয়েছিল। বিশ্বের কোণা কোণা থেকে মুসলিম অমুসলিম ছাত্ররা আরবিতে পড়াশোনা করতে আসতেন মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারপরে নিজেদের দেশে গিয়ে সেই শিক্ষার বিস্তার ঘটাতেন। এইসব ঐতিহাসিক ফ্যাক্ট। ইতিহাসের গ্রন্থে আছে। সেই অবস্থায় ফেরত যেতে চান? "ইহুদিরা আমাদের বিদ্যা চুরি করেছে" জাতীয় বাকোয়াস বন্ধ করে পড়াশোনা করেন। ওরা কম্পিউটার বানিয়েছেতো আপনি সুপার কম্পিউটার বানান। ওরা মঙ্গলে মানুষ নামালে জুপিটারে মানুষ নামান। কেউ বাঁধা দিচ্ছে?

যে কারনে ইবলিসের উদাহরণ দিলাম সেটা এখন ব্যাখ্যা করি। দেখুন, ইবলিস আল্লাহর পেয়ারা বান্দা ছিল। আল্লাহর কাছের বান্দা ছিল। কিন্তু নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভাবতে গিয়ে সে আদমকে (আঃ) নিচু গণ্য করে বসে। আল্লাহ আদমকে (আঃ) নেয়ামত দিয়েছেন, সে আদমকে (আঃ) নিচু করতে গিয়ে সেই নিরামতকেই অস্বীকার করে বসে। আবু জাহেল বনু হাশিমকে নিচু করতে গিয়ে নবীকে (সঃ) অস্বীকার করে বসে। এতেই ওরা পরীক্ষায় ফেল করে। আমাদের ভাবতে হবে, অমুসলিমদের পরিশ্রমের অর্জনকে, যা আল্লাহই তাঁদের দিয়েছেন, ছোট করতে গিয়ে আমরাই আবু জাহেল ও ইবলিসেরই আচরণ অনুসরণ করছি নাতো?
শেষ করি রাসূলুল্লাহর জীবনীর উদাহরণ দিয়ে।
আমাদের নবীকে (সঃ) একদিন ঘুম ভাঙ্গাতে গিয়ে উমার (রাঃ) দেখেন, গরমে খালি গায়ে খেজুর পাতার বিছানায় ঘুমানো রাসূলুল্লাহর (সঃ) পিঠে পাতার দাগ পড়ে লাল হয়ে গিয়েছে।
দৃশ্যটি সিংহহৃদয় পুরুষ উমার (রাঃ) হজম করতে পারেননি। তিনি কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞেস করেন, রোমান বা পার্সি রাজা সম্রাটরা কত বিলাসবহুল জীবন যাপন করে, আর আল্লাহর রাসূল কিনা খেজুর পাতায় ঘুমান, দুইবেলা ঠিকমতন খাবার জুটে না, এইটা কেমন কথা!
নবীজি (সঃ) উত্তরে বলেন, "আমাদের জন্য কি এই যথেষ্ট না যে ওদের জন্য আছে দুনিয়া, এবং আমাদের জন্য আখিরাত?"
জবাবটা লক্ষ্য করুন। নবীজি (সঃ) একবারও কি বলেছেন "ওরা তাওরাত ইঞ্জিলের গুপ্ত বিদ্যা চুরি করে রাজা মহারাজা হয়ে গেছে"? না। তিনি আমাদের যা শক্তি, সেটার উপর ফোকাস করেছেন। এই শিক্ষা, এই তাওহীদকে কাজে লাগিয়েই সাহাবীরা, তাঁদের বংশধররা, মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞানের সবস্থানে শীর্ষে পৌঁছেছিল। সবই নিজেদের পরিশ্রম এবং এর ফলেই আল্লাহর রহমত ও পুরস্কার। তাহলে কেউ নিজেকে রাসূলের উম্মত দাবি করে আর এমন ফালতু কথা বলে? নিজের ধর্মকে নিচু প্রমান করা ছাড়া আর কিছুই হাসিল হয়না, এইটা বুঝেনা?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০২১ রাত ১:২২
৯টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×