somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"আজকালকার লেখকরা সমালোচনা নিতে পারেন না।"

২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"আজকালকার লেখকরা সমালোচনা নিতে পারেন না।" - "পাঠক"রা প্রায়ই অভিযোগ করেন। আংশিক সত্য কথা। কারন সমালোচনা দুই ধরনের। প্রথমটা গঠনমূলক, দ্বিতীয়টা ফাউল।
শুধু এই যুগে কেন, কোন যুগেই লেখকরা ফাউল সমালোচনা নিতে পারতেন না। যেমন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁকে পঁচিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক "পোস্ট" প্রকাশ পেত "শনিবারের চিঠি" নামের পত্রিকায়। তাঁর "বিদ্রোহী" কবিতা, যা শুধু বাংলা সাহিত্যেরই না, গোটা বিশ্বসাহিত্যেরই অমূল্য রত্নের একটি, সেই কবিতাকে ব্যঙ্গ করতেও ওরা ছাড়েনি। সমালোচনার একটা পয়েন্ট ছিল এমন, "কবিতা হচ্ছে কোমল, রোমান্টিক সাহিত্যকর্ম। নজরুলের কবিতায় শব্দের মাঝে অস্ত্রের ঝনঝনানি পাওয়া যায়।"
বাংলা কবিতায় উর্দু, ফার্সি শব্দের প্রয়োগ নিয়েও তাঁকে লোকে সমালোচনা করতো। এইগুলিই "ফাউল" ক্যাটাগরির। ছন্দে, শব্দ প্রয়োগে ইত্যাদিতে ভুল আছে কিনা সেটা দ্যাখ, সে ফার্সি প্রতিশব্দ ব্যবহার করলো নাকি সংস্কৃত, তা নিয়ে সমালোচনার মানে কি?
নজরুল তখন বিদ্রোহী সুর বাদ দিয়ে প্রেমের কবিতা, গজল ইত্যাদি লেখা শুরু করেন। ভাগ্য ভাল ছিল যে তাঁকে উৎসাহ দিয়েছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি বলেন, "ঈশ্বর তোমাকে তলোয়ার দিয়েছেন যুদ্ধ করার জন্য, তুমি তা দিয়ে দাড়ি কামাতে শুরু করলে কেন?"
তারপরেও নজরুল ইসলামের স্নেহের পুত্র বুলবুলের মৃত্যু নিয়ে লেখা কবিতা/গানকে যখন সমালোচনাকারীরা ঠাট্টার উপাদান বানালো, তখন তিনি আর নিতে পারলেন না। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, এবং তারপরের ঘটনা আমরা জানি।
আজকের যুগেও এমন সমালোচনাকারী প্রচুর আছে। ফেসবুকে উপস্থিত প্রতিটা পাঠকই সমালোচক। কিন্তু এখানে একটা ছোট পার্থক্য আছে। একটা হচ্ছে গঠনমূলক সমালোচনাকারী, এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে "ফাত্রা পোলাপান।"
গঠনমূলক সমালোচনাকারীরা একটা গল্প, একটা কবিতা বা নিবন্ধের সমালোচনা করবেন কিভাবে? "ভাই, কাব্যে মাত্রার/ছন্দের মিল হয়নাই।" "ভাই, গল্পের শেষটা হঠাৎ করেই হয়ে গেছে। আরেকটু বিস্তারিত লিখলে ভাল হতো।" "গল্পের মাঝেই মেজর টুইস্ট দিয়ে দেয়ায় গল্পের শেষটা জমে নাই।" "ভাই, এই যে তথ্যটা দিয়েছেন, এইটা ভুল। অমুক বইয়ে তমুক চ্যাপ্টারে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।" "অমুক শব্দ বারবার ব্যবহৃত হয়েছে। প্রতিশব্দগুলো ব্যবহার করলে পড়ে আরাম পেতাম।" ইত্যাদি।
এখন লেখক যদি এইসবের উত্তরে বলেন, "আপনাকে আরাম দেয়ার জন্য আমি গল্প লিখিনাই। পড়লে পড়েন, না পড়লে এভয়েড করেন।" বা এইরকমই কিছু, তখন আপনি দাবি করতে পারেন যে লেখক সমালোচনা নিতে পারেনা।
কিন্তু ধরেন কোন লেখক অনেক গবেষণা করে (চার পাঁচটা বই ঘাঁটাঘাঁটি, কয়েকটা ডকুমেন্টারি দেখা, পত্রিকা পড়া, ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি ইত্যাদি) কোন একটা তথ্য দিল। "সমালোচনাকারী" কোন পড়াশোনা ও গবেষণার ধার না ধেরে বেহুদা লিখে দিলেন "এইটা ভুল।" তারপরে লেখক যখন বললেন, "কেন ভুল?" সেটার ব্যাখ্যা না দিয়ে সে দাবি করে গেল "আপনাকে নিজের ভুল স্বীকার করতে হবে," তখন সেটাকে সমালোচনা বলে?
অতি সাম্প্রতিক উদাহরণ দেই।
গত পোস্টে লিখলাম যুদ্ধ ব্যাপারটাই খারাপ। গোটা মানবজাতির জন্য। যে যুদ্ধ বাঁধায়, তাঁর জন্যও। ভুক্তভোগীদের জন্যও। এমনকি যে সাতেও নাই, পাঁচেও নাই, ওও বাঁচে না। তা সেখানে একজন বললেন ইরাক-আফগানিস্তানে যখন আমেরিকা আক্রমন করলো, তখন কোনই সমস্যা হয়নাই কারোর।
কিসের ভিত্তিতে বললেন বুঝলাম না। কারন মুসলিম বিশ্বে বিরাট মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছিল তখন। দলে দলে আফগান-ইরাকি রিফিউজি নানান দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আইসিসের উত্থান ঘটে ঐ সময়েই। প্রচুর মানুষ মারা যায়।
অর্থনীতির দিক দিয়েও সেই সময়েই রিসেশন হয়েছিল। খোদ আমেরিকায় বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছিল, বাড়ি হারিয়েছিল, মন্দা চলেছিল বহু বছর। বারাক ওবামা আসার পরে ধীরে ধীরে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমি সব বাদ দিয়ে কেবল বেসিক একটা তথ্যই দিলাম, সেটা হচ্ছে, আমেরিকা এই দুই যুদ্ধের পেছনে সাত ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। এই টাকা মানুষ মারার পেছনে খরচ না করে নিজের দেশের চিকিৎসা ও শিক্ষার পেছনে খরচ করলে নিজেরা আরও বহুগুন উপরে উন্নীত হতো।
ভদ্রলোক টিটকারি করেই বললেন, "তাহলে টাকার অভাবে ওদের চিকিৎসা আর শিক্ষার সমস্যা হচ্ছে।"
এখন বাংলাদেশে থাকার কারনে, অনেকেই জানেন না, আমেরিকান এবং ব্রিটিশ সিস্টেমে বেশ কিছু পার্থক্য আছে। বাংলাদেশ চলে ব্রিটিশ সিস্টেমে। যেখানে সরকারি মেডিকেল থাকে, সেখানে গরীবরাও ফ্রিতে অথবা অতি কম খরচে চিকিৎসা পায়। বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট বা যেকোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে পড়তে হলে নামমাত্র বেতন দিতে হয়। আমেরিকায় ঘটনা পুরোই ভিন্ন। এখানে সামান্য থেকে সামান্য চিকিৎসা করাতেও হাজার হাজার ডলার বিল দিতে হয়। যাদের হেলথ ইন্সুরেন্স নাই, তাঁরা মহাবিপদে পড়ে। অনেক অনেক গরিব মানুষ গোটাদিন ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে চ্যারিটি চিকিৎসা (ডাক্তারদের দয়া দাক্ষিণ্য) করান। সেটাও বছরের নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানে। এ নিয়ে পরে বিস্তারিত লিখবো।
আর স্টুডেন্ট লোন এবং উচ্চশিক্ষার খরচ, এটিও আমেরিকার অতি প্রাচীন রিয়েলিটি। একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন সাধারণ আমেরিকান ছাত্রের পড়ালেখা করতে খরচ হয় প্রতি সেমেস্টারে ১৬-২০ হাজার ডলার। যদি ছাত্র হয় বিদেশী, তাহলে এই সংখ্যাটাকে চার দিয়ে গুন দিন। এইজন্য স্কলারশিপই ভরসা। নাহলে গ্র্যাজুয়েট হবার সাথে সাথেই বিরাট দেনার দায়ে চাপা পড়তে হয়। মেডিকেল লাইনে পড়াশোনাতো আরও খরুচে।
আমি ধরে নিলাম ভদ্রলোক হয়তো এই তথ্য জানেন না। আমি তাই বিস্তারিতই লিখে জানালাম। সাথে বললাম, এই টাকার মাত্র একাংশ দিয়ে (দুই ট্রিলিয়নেই) স্টুডেন্ট লোন এবং মেডিকেল দেনা মেটানো সম্ভব হতো। আরও গবেষণা, আরও উন্নত শিক্ষা, শিক্ষকদের বেতনভাতা বৃদ্ধি গরিব মানুষের জন্য চিকিৎসার বাজেট ইত্যাদি আরও বহু প্রকল্প হাতে নিতে পারতো।
তিনি উত্তরে ইংলিশে বললেন, তিনি আমেরিকান কলেজ অফ সাৰ্জনসে একজন ফেলো, এবং তিনিও আমেরিকায় ছিলেন।
এইবার অবাক হতেই হয়। এই দেশে কেউ কয়েক দিন থাকলেই জানতে পারে এই দেশে চিকিৎসা কতটা ব্যয় বহুল। তিনি কিভাবে জানলেন না? না জানলেও সমস্যা নাই, টিটকারি করছেন কেন এ নিয়ে? এবং তিনি বলে বেড়াচ্ছেন উনার ফার্স্ট ব্লাডের কিছু আত্মীয় এখানে থাকেন। মানে কি? আমি নিজে থাকি, আমার কোনই ভ্যালিডিটি নাই? আমার "ফার্স্ট ব্লাড" রিলেটিভ থাকতে হবে? উনার জ্ঞাতার্থে, আমার বাপের গুষ্ঠির মোটামুটি সবাই এখন আমেরিকায় থাকেন। এতে কি এই তথ্যের কোন অদল বদল ঘটবে?
তবে সমস্যা বাঁধলো তখন যখন রাজশাহী থেকে এক মহিলা কমেন্ট করে বসলেন। "এই লেখকের ধারণা ও ছাড়া আর কোন বাঙালি আমেরিকায় থাকে না। ও নিজের ভুল স্বীকার করতে চায় না। ও বাংলাদেশের পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে টিকে নাই, আর প্রাইভেটে পড়েছে বলে নিজেকে সবার চেয়ে উন্নত মনে করে।"
এইটা কোন সমালোচনা হলো? তুমি প্রমান করো যে স্টুডেন্ট লোন বা মেডিকেল বকেয়া আমেরিকার কোন সমস্যাই না। বা আমি যা বললাম তা ভুল। মানে এখানে বিনা পয়সায় ছাত্ররা পড়ে এবং চিকিৎসা পায়। তুমি টেনে আনলে লেখক প্রাইভেটে পড়েছে, কারন পাবলিকে "চান্স" পায়নাই। এমনভাবে কথাবার্তা বললো, যেন সে লেখকের ছোটবেলার প্রেমিকা ছিল, লেখক কোথায় কোথায় কি করেছে না করেছে সব সে জানে। প্রসঙ্গ ওঠায় বলি, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়ার হাজারটা কারন থাকে। ছাত্র রাজনীতি, র্যাগিংয়ের নামে গুন্ডামি, বদমায়েশি, ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, শিক্ষক রাজনীতি, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন নীতি, একই শিক্ষকদের প্রাইভেটে ক্লাস করানো, ভিসি কেলেঙ্কারি, সেশন জট, সামান্য ফুটবল বিশ্বকাপের ম্যাচকে কেন্দ্র করে বুয়েটের মতন বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, নিয়মিত ধর্ষণের খবর আসা (বিশেষ করে এক বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সেঞ্চুরিয়ানও ছিল), হোস্টেলে রাজনীতি, ক্যান্টিনে খাবারের মেনু - কোন সুস্থ স্বাভাবিক পিতামাতা প্রাইভেটে পড়ানোর সামর্থ্য থাকা সত্বেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের সন্তানকে পাঠাবে? "যে ছেলে বাংলাদেশের পাবলিকে চান্স পায়না, সে আন্তর্জাতিক কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপে পড়ে ফেলেছে" - লজিক কি বলে? এই মাথা নিয়ে পাবলিকে পড়েছেন তিনি? এমন মানুষ আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়লেতো আমি লজ্জায় পরিচয়ই দিতাম না। লোকে কি বলবে? এই কোয়ালিটির স্টুডেন্টের সাথে পড়েছি?
এনিওয়েজ।
মহিলা একা না। আরেকটা উদাহরণ দেই। এইটাও আমার নিজের লেখা থেকেই। কিছুদিন আগের এক লেখায় লিখেছিলাম যে পশ্চিমা সভ্যতায় এখন লোকদেখানো প্রেমের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেমন প্রেমিক প্রেমিকাকে উপহার দিবে, কিন্তু প্রেমিকা প্রেমিকের ইমোশনের চাইতে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ওর বান্ধবীরা, ওর সহকর্মীরা সেই উপহার দেখে কি বলবে। এটি যে যেকোন দেশের যেকোন সভ্যতার প্রেমের সম্পর্কের জন্যই খারাপ, সেটাই বলা হলো। উদাহরণও দেয়া হলো, এই দেশে অতি দ্রুত সম্পর্ক ভাঙছে, এই ছোঁয়া বাংলাদেশেও লেগেছে।
অতি স্বাভাবিক, সবাই বুঝতে পারলেন, কিন্তু এক লোক বুঝতে পারেন নাই। উনি কখনই কোন লেখা বুঝতে পারেন না। উনাকে ভেঙে ভেঙে বুঝাতে হয়। ব্যাপার না, প্রতিটা স্কুলেই দুর্বল ছাত্র থাকেই।
উনি কমেন্ট করলেন, আমিও কমেন্টে একদম বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দিলাম। তারপরেও যেই লাউ সেই কদু। উনি বলেন, "ওদের সমাজে কি ভাল না ভাল, সেটা বলার আপনি কে?" প্রথম কথা, আমিও এই সমাজেরই একজন সদস্য। এদের সাথেই আমার উঠা বসা করতে হয়। তারচেয়ে বড় কথা, আমার ছেলেরা, ভাতিজা ভাতিজিরা এই সমাজেই বেড়ে উঠছে। এবং সবচেয়ে বড় কথা, আমি মানুষ। ভাল মন্দ বুঝার ক্ষমতা আমার আছে। কাজেই, কোনটা ভাল কোনটা মন্দ, সেটা বলতেই পারি। কোন বুদ্ধিমানই একে "ভাল" বলবে না।
এরই মাঝে এক ফাতরা এসে কমেন্ট করে বসলেন, "আপনাদের মতন মানুষদের সমস্যা হচ্ছে, যেই পাতে খান, সেই পাতেই হাগেন। এত সমস্যা হলে এই দেশে পড়ে আছেন কেন?"
আরে বেকুবটা কয় কি? যেই দেশে থাকবো, সেই দেশের সবকিছুকেই ভাল বলে লেজ নাড়তে হবে নাকি?
তারচেয়ে বড় বেকুব কমেন্ট করলো সেদিন, পুরাই বিপরীত, "বাইডেনকেতো ভালই তেল দিয়েছেন। আপনি দেশে থাকলে যে কি করতেন ভেবেই শিহরিত হচ্ছি!"
কোন লেখায় কোথায় বাইডেনকে তেল দিলাম সেটাই খুঁজে পেলাম না। যাই হোক, প্রসঙ্গে ফিরি।
এত ব্যাখ্যার পরেও লোকটা ত্যানা প্যাঁচাতে শুরু করলো। এবং বলল, আমি ভুল স্বীকার করিনা। আমি ভাল লেখক হতে পারবো না। আমি উদাহরণ সহ বললাম একটা প্রাণী চতুষ্পদ, দুধ দেয়, শিং আছে, ঘাস খায়, এবং হাম্বা হাম্বা করে, তাই ওটা গরু। এই লোক দাবি করছে না, এইটা সিংহ এবং আমাকে স্বীকার করতে হবে যে আমি ভুল। না সে কোন যুক্তি দিচ্ছে, না কোন প্রমান।
তখন কি আর ধৈর্য্য থাকে?
তখন উনি শুরু করলেন, আপনি পাবলিকের (বিশ্ববিদ্যালয়) বারান্দায় দাঁড়াবার যোগ্যতা রাখেন না। আপনি বাপের টাকার অহংকার করেন। ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখন আপনারাই বলেন, এইগুলি সমালোচনা? এই বেকুব চুয়েটে পড়েই অহংকারে মরে যাচ্ছে, আর সেই কিনা অন্যকে বলছে অহংকারী?

গোটা ফেসবুক জুড়েই এক ঘটনা। কেউ গল্প লিখলো, কেউ কবিতা লিখলো, কেউ নিবন্ধ লিখলো, অমনি কেউ ভিত্তিহীন কিছু লিখে দিল। কেউ কেউতো গুন্ডামি বদমায়েশিও করে। যেমন রম্য লেখক হানিফ ভাইকে একজন (এই ব্যাটা নিজেও নাকি লেখক, হাহাহাহা) বইমেলায় দলবল সহ দেখে নেয়ার হুমকিও দিল। কত বড় কাপুরুষ হলে কেউ "দল বল" সহ দেখে নেয়ার হুমকি দেয়! তাও আবার মেলায়। পারলে নিজে দেখে নেয়ার হুমকি দে! পারলে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে হানিফ ভাইয়ের এলাকায় এসে কিছু বলার হুমকি দে। তা না। হানিফ ভাইকে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে মেলায় যেতে হবে। কত কিপ্টা অথবা ফকির আর ছ্যাচড়া গুন্ডা! তারপরে এই গর্ধব নিজের দল নিয়ে উপস্থিত হবে। তাহলেই সে বীরত্ব দেখাবে। নাহলে সে চুপ।
এদের কাঁঠাল পাতা খাওয়া চারপেয়ে প্রাণী বললে ফেসবুক মাইন্ড করে বসে। মানে, কি যে একটা অবস্থা!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৩২
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×