ভিকারুন্নেসার শিক্ষক ছাত্রীদের প্রতি যৌন হয়রানি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে।
ঘটনা যে এই প্রথম ঘটেছে তা না। বহুবছর আগে পরিমল নামের এক শিক্ষকও এই কাণ্ডে ধরা খেয়েছিল। ওর অবস্থা এখন কি? আছে কেমন? কেউ জানেন?
এইবার অভিযোগ "প্রমাণিত" হওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ওকে "সাময়িক" বহিষ্কার করেছে।
বাচ্চাদের ইন্টারভিউ ভাইরাল হচ্ছে। এক দুইটা না, অসংখ্য বাচ্চা। বর্ণনা শুনে গা শিউরে উঠে।
আমার কথা হচ্ছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওকে পুলিশে দেয়ার কথা, পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে। আমেরিকায় এমন ক্রিমিনালের শাস্তি দীর্ঘদিনের জেল হয়। সেখানে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রমান পাবার পরেও কিভাবে "সাময়িক" বহিষ্কার করেই ছেড়ে দেয়? ওকেতো শুরুতেই পুলিশের হাতে তুলে দেয়া উচিত।
স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে আমাদের জন্য মহাপবিত্র প্রতিষ্ঠান। এখানে আমরা মানুষ হতে যাই। শিক্ষকরা হলেন সেই কারিগর যাদের সংস্পর্শ আমাদের মন মানসিকতা ও চরিত্র গঠনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। বাবা মায়ের পরেই আমরা তাঁদের স্থান দেই। বাবা মায়েরা এইসব শিক্ষকদের ভরসাতেই তাঁদের সন্তানদের ওদের হাতে তুলে দেন। ওরাই যখন রাক্ষসের ভূমিকা নেয়, তখন অসহায় শিশুগুলির কি হবে?
সেক্সুয়াল প্রিডেটররা এক দুইদিনে গড়ে উঠে না। বছরের পর বছর ধরে ওরা নিজেদের শিকার চালায় যায়। ওরা ইচ্ছা করেই এমনসব শিকার ধরে, যারা দুর্বল, সহজে মুখ খুলে না। হাল্কা ভয় বা হুমকি দিলেই মুখ বন্ধ করে রাখে। এমন শিশু সংখ্যা বাংলাদেশে অগণিত। আপনি নিজেও হয়তো এমন ছিলেন, আপনার নিজের সন্তানও হয়তো এমন আছে। এদের শিকারে যেকেউ পরিণত হতে পারে। নিজের শিশুর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমাদের কঠোর হতে হবে।
এক্ষেত্রেও কত 'শ শিশুর জীবন নষ্ট করার পরে কয়েকজন মাত্র মুখ খুলেছে কে জানে!
শিশু বয়সটা অত্যন্ত সেন্সিটিভ একটি সময়। এই সময়ে এই ধরনের মেন্টাল ট্রমা ওর বাকি জীবন শেষ করে দিতে যথেষ্ট। এমন ঘটনার শিকার হবার পরে খুব কম শিশু সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। বিদেশে বছরের পর বছর মেন্টাল কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা থাকে। তারপরেও লাভ হয়না। দেশেতো সেটাও নেই।
তাই ধর্ষকের শাস্তি হওয়া উচিত ভয়াবহ। একদম দৃষ্টান্ত স্থাপনের মতন। যেন ভবিষ্যতে কেউ এই শাস্তির কথা চিন্তা করেই আত্মা ও কলিজা শুকিয়ে যায়।
কুরআনে কি বলে জানেন? ন্যূনতম ও সহজ শাস্তি পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড বা ক্রুসিফাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করা।
আর শাস্তি একটু কঠিন করতে চাইলে ওকে ডান হাত ও বাম পা কেটে অথবা বাম হাত ও ডান পা কেটে ছেড়ে দিতে। সমাজের মানুষেরা বুঝুক কিসের অপরাধে ওর এই শাস্তি হয়েছে। ওও বাকিটা জীবন নিজের অপকর্মের জন্য ভুগুক।
কল্পনা করতে পারেন, আল্লাহ এই শাস্তির কথা বলছেন!? যিনি কিনা অসীম দয়ালু পরম করুনাময়। তাঁর মতেও এই ধরনের অপরাধীর প্রতি কোন করুণা নয়।
আপনি বলতেই পারেন খুবই বর্বর, মধ্যযুগীয় শাস্তি হয়ে যাবে!
তাহলে আমি পাল্টা প্রশ্ন করবো, আপনি ধর্ষকের প্রতি কিসের আহ্লাদ দেখাচ্ছেন? আপনি জানেন ঐ শিশু জীবনেও সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে না? একটি শিশুর (এক্ষেত্রে অনেক শিশুর) জীবন তছনছ করে দেয়ার শাস্তি সামান্য কয়েক বছর কারাদন্ড? আপনার নিজের শিশু হলে এমনটা বলতে পারতেন? আপনি নিজে ভিকটিম হলে?
ভিকটিমকে জিজ্ঞেস করুন ওরা কি চায়। ওদের প্রতি করা অপরাধের কি শাস্তি হলে ওরা ন্যায় বিচার পাবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৯