somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন চিন্তাভাবনা না করেই সেটা আরোপ করার চেষ্টা করে।

এই ফতোয়াকে সাইডে রেখে আপাতত কিছু কমন সেন্স এপ্লাই করা যাক।

যদি কাফের কুফফারদের দেশে প্রবাসী হওয়া হারামই হতো, তাহলে মাত্র এক-দুইশো বছর আগেওতো বাংলাদেশ অঞ্চলটা হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। তাহলে এখন যারা ফতোয়া দিচ্ছেন, উনাদের পূর্বপুরুষরা এখানে এলেন কেন? থাকলেন কেন? সবাইকি ইসলামের দাওয়াত দিতে এসেছিল?
তার আগে আমাকে বলেন, "ইসলামের দাওয়াত" বলতে কি বুঝেন?
মানুষের বাইরের দরজায় গিয়ে জিজ্ঞেস করা "আসসালামুআলাইকুম। আমি ইসলামের দাওয়াত দিতে এসেছি, গ্রহণ করলে খুশি হবো।" এমন কিছু?

নারে ভাই, ইসলামের দাওয়াত মানে হচ্ছে আপনি প্র্যাকটিসিং মুসলিম হবেন। আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন, আপনি রোজা রাখবেন, জাকাত দিবেন, সদকা দিবেন, আত্মীয়ের খোঁজ খবর নিবেন, প্রতিবেশীর সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবেন, এতিমের অভিভাবক হবেন, সৎ হবেন ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনাকে দেখে মানুষ যেন বুঝে ইসলাম কি, মুসলিমের কেমন হওয়া প্রয়োজন।
আবিসিনিয়ায় হিজরত করা প্রথম মুসলিমদের মতন।
আধুনিক উদাহরণ দিতে গেলে রমজানে রোজা রাখছি। অফিসে লাঞ্চ টাইমে কলিগরা বলছে চল যাই, খুব ভদ্রভাবে বলছি আমি রোজা।
ওরা চোখ কপালে তুলে বলে "রামাদান শুরু হয়ে গেছে?" এর মানে শব্দটার সাথে আগে থেকেই পরিচিত। কোন এক মুসলিমের সাথে ওদের পরিচয় ঘটেছে।
তখন ওদের নানা প্রশ্ন শুরু হয়।
"তোমরা কি আসলেই সারাদিন না খেয়ে থাকো?"
"পানি পর্যন্ত খাও না?"
"রাতে খেতে পারো? নাকি না?"
"এক মাস না খেয়ে থাকা কি সম্ভব?"
"তোমাদের ছোট বাচ্চারাও কি না খেয়ে থাকে?"
প্রশ্নের পর প্রশ্ন করতেই থাকে। উত্তর দিতে থাকি। এবং শুনলে অবাক হবেন, অনেক স্থানীয় খ্রিষ্টান এইসব প্রশ্নের উত্তর পেয়েই আমাদের মতন রোজা রাখেন। মানে সকাল থেকে পানি-খাবার কোন কিছু না খেয়ে একদম ইফতারের সময়ে আমাদের সাথে রোজা ভাঙেন। ক্ষুধার্তের কষ্ট উপলব্ধির চেষ্টা করেন। ডিসিপ্লিন প্র্যাকটিস করেন।
এইটাই কি দাওয়াত না?

আপনি আপনার প্রতিবেশীর প্রতি ভাল আচরণ করুন, দেখবেন আপনার প্রতিবেশীই একশো জনকে বলে বেড়াবে "মোজলেমস আর নট ব্যাড এট অল!"

হ্যা, যদি আপনার পরিস্থিতি হয় উইঘুর মুসলিমদের মতন, বা মধ্যযুগে স্প্যানিশ মুসলিমদের মতন, যখন ধর্ম পালন করাটা ভয়াবহ কঠিন। আপনাকে মেরে ফেলা হয়, আপনাকে রোজা রাখতে দেয়া হয়না, আপনাকে জুম্মা পড়তে দেয়া হয়না, পর্দা করতে বাঁধা দেয় ইত্যাদি - তখন আপনার জন্য সেই দেশ ত্যাগ করা ফরজ। কিন্তু যে দেশ আপনার ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে, সেই দেশকে বেহুদা ত্যাগ করবেন কোন দুঃখে? আমেরিকার কথাই বলি, যেহেতু এই দেশে থাকি। হ্যা আমি মাইনোরিটি, কিন্তু না আমার রোজা রাখতে, না জুম্মা পড়তে, না কোরবানি দিতে আমার বিন্দুমাত্র কষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিনের জীবনে ছোট বড় কোন কাজেই আমাকে অমুক তমুককে ঘুষ দিয়ে চলতে হয়না, চুরি বাটপারির প্রয়োজন হয়না। বাড়ির নকশায় হেরফের করতে হয়না, রেসিডেন্সিয়াল ভবনে কমার্শিয়াল ব্যবসা চালু করতে হয়না, ন্যায় বিচারের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়না - আরও বহু কিছু আছে যা আমাদের "মুসলিম প্রধান" দেশে কল্পনারও অতীত।

এখন একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট লোকে তোলে, সেটা হচ্ছে, ইজরায়েল ফিলিস্তিনকে মারছে। ইজরায়েলের আব্বু হচ্ছে আমেরিকা, যদি আমেরিকা সাহায্য না করতো, তাহলে ইজরায়েল এতটা পাশবিক হতে পারতো না। তাহলে আমেরিকায় থাকা মানে ইজরায়েলের পক্ষেই কাজ করা, এবং গাজার মানুষদের খুন করা।
কথা ঠিক। আমার ট্যাক্সের টাকায় আমার ভাইকে হত্যা করা হচ্ছে। এখানে লুকোচুপির কিছু নেই।

কিন্তু একই সাথে এইটাও বুঝতে হবে, যদি দুনিয়ায় কোন দেশ থাকে যে ফিলিস্তিনের সাহায্যে সত্যিকার অর্থে এগিয়ে আসতে পারবে, সেটার নাম আমেরিকা। যে যতই লাফালাফি করুক, আমেরিকার বিরুদ্ধে যাবার ক্ষমতা এখনও কোন দেশের হয়নাই। যুদ্ধ বাধলে অস্ত্র, ইকোনমি, জোটশক্তি, ভৌগলিক অবস্থান ইত্যাদি সবকিছু বিবেচনায় নিতে হয়। ইজরায়েল যে এতদিন ধরে এত দূর এগিয়েছে, সেটাতো কেবল আমেরিকার আশীর্বাদ আছে বলেই।

তা মুসলিমরা আমেরিকায় থাকার ফলে কি হয়েছে? উত্তর হচ্ছে জন সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।

ইতিহাস বলে ইজরায়েলের জন্মের পর থেকেই আমেরিকাই ওদের এক নম্বর বন্ধু। একদম প্রথম দিন থেকে। প্রেম এতটাই গভীর যে আমেরিকা নিজের সিটিজেনদের হোমলেস সমস্যা, চিকিৎসা সমস্যা, স্টুডেন্ট লোন সমস্যা ইত্যাদির বিন্দুমাত্র পরোয়া না করে ইজরায়েলকে টাকা পাঠায় যাতে ওরা অস্ত্র কিনে ফিলিস্তিনি মারতে পারে।
কেন এত প্রেম? ইহুদি-খ্রিস্টান ভালবাসা? নারে ভাই, ট্যাকা। মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েলই আমেরিকার একমাত্র বন্ধু। ওরা ভাল করেই জানে সৌদি বা অন্যান্য আরব দেশগুলো আমেরিকার "বন্ধু" হবেনা, তাই সেই অঞ্চলের মিলিটারি ও ট্রেডের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতেই ইজরায়েলকে এত রোমান্টিক গিফট প্রদান।

তা আমেরিকান মিডিয়া এতদিন প্রচার করে আসতো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদিদের উপর ঘটা বিভীষিকা থেকে বেঁচে ফেরা ইহুদিদের নিরাপত্তার জন্যই ইজরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হওয়া জরুরি ছিল।
ঘটনা কিন্তু আংশিক সত্য। হিটলার নিজের দেশে এবং এর আগে কয়েক শ বছর ধরেই গোটা ইউরোপ জুড়ে ইহুদিদের উপর নানান অত্যাচার, অবিচারের ঘটনা ঘটে এসেছে।
এখন যেমন আমরা বছরের পর বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের অত্যাচারিত হতে দেখে যদি দেখি ওদের স্বাধীন একটা রাষ্ট্র দেয়া হয়েছে, আমাদের অনুভূতি কি হবে? ওদেরও এক জেনারেশনের একই অনুভূতি কাজ করেছে।
সাথে যুক্ত করেন ধর্মীয় অনুভূতি। "ইভেঞ্জেলিক" খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস দুনিয়ার সব ইহুদিরা ইজরায়েলে এক হলে যীশু (আঃ) নেমে আসবেন।
আবার ওল্ড টেস্ট্যামেন অনুযায়ী ওরাই ঈশ্বরের "Chosen people."

বছরের পর বছর ধরে ওয়েস্টার্ন মিডিয়া ইজরায়েলি অনাচার একেবারেই প্রচার করে নাই। বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, আমেরিকান একটা জেনারেশন এইটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে যে ফিলিস্তিন অঞ্চল ছিল বিস্তীর্ণ মরুভূমি, সেখানে ইজরায়েল বাসা বানিয়েছে, এখন ফিলিস্তিনিরা অন্যায়ভাবে ওদের সব সম্পত্তি দখল করতে চাইছে।
"ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে।" - কথাটা শুনেন নাই?
একই কথা যদি বলেন, "ফিলিস্তিনিদেরও কি আত্মরক্ষার অধিকার নেই?" তখন ওরা অবাক হয়ে ভাবে, ওদের আবার কিসের অধিকার?
ইহুদিরা এই একটা দারুন স্মার্ট কাজ করেছে। ওদের সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যা ঘটেছে, সেগুলো ওরা মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে। ফলে মানুষের সিম্প্যাথি ওদের প্রতি কাজ করে। এদিকে নিজেরাই যে ইজরায়েলে হিটলারি করে বেড়াচ্ছে, সেটা আড়ালে রেখে দিচ্ছে। মুসলিমরাও সেগুলো প্রচার করেনি। প্রথমত, একটি ফতোয়া, "মিডিয়া হারাম! সিনেমা হারাম! নাটক হারাম!" এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে প্রধান প্রধান সব মিডিয়া ওদের নিয়ন্ত্রণে।

যাই হোক, স্থানীয় মুসলিমদের কল্যানে সাধারণ আমেরিকানরাই এখন ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে জানতে পারছে। শুধু ফিলিস্তিন না, মুসলিমদের নিয়েই যাবতীয় অপপ্রচারের সঠিক উত্তরটা এই স্থানীয় মুসলিমরাই দিচ্ছে। যদি আমরা দুনিয়ার এক চিপায় পড়ে থাকতাম, তাহলে এই ভ্রান্তি ভাঙতো?

ইজরায়েলের অন্যায়ের মাত্রা দেখে এবং আমেরিকার ইন্ধন থাকার কথা সহ্য করতে না পেরে ফিলিস্তিনি মানুষের স্বাধীনতার জন্য নিজের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে মারা গেলেন এরন বুশনেল। সে ছিল আমেরিকান এয়ারফোর্সের সাইবার সিকিউরিটিতে কর্মরত এক যুবক। অমুসলিম। তবু মানুষের কষ্ট, বিশেষ করে শিশুদের মৃত্যু সে মেনে নিতে পারেনি। আপনাদের কি ধারণা, এমনি এমনিই ও কাজটা করেছে? কেউ ওকেই ধরিয়ে দেয়নি যে এইসব অন্যায় হচ্ছে এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের সাধারণ মানুষদের কিছু একটা পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

আপনারা কয়জন জানেন জানিনা, আমেরিকা এইবার ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ বিতরণ করেছে। ইজরায়েল কোন ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছিল না। রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে ত্রাণভর্তি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে, ইজরায়েল হুকুম না দিলে ঢুকতে পারেনা। সেই হুকুম আসেনা। এদিকে অনাহারে মারা যাচ্ছে শত শত ফিলিস্তিনি শিশু।
ইজরায়েল আমেরিকাকে হুকুম দিবে? ওদের আব্বু গিয়ে বিমানে করে ত্রাণ ফেলে এসেছে। কি করবি ব্যাটা করে দ্যাখা!
এছাড়া অতি সম্প্রতি (কয়েক সপ্তাহ আগে) ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে স্থিতিশীলতা নষ্ট ও সহিংসতার অভিযোগে তিন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং দুটি কৃষি ফার্মের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ নিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো ওয়াশিংটন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার পর পশ্চিম তীরে সংহিসতা বেড়েই চলেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, পশ্চিম তীরে যারা অনবরত সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং অশান্তি সৃষ্টি করছে, তাদের জবাবদিহি করতে আমরা আরও পদক্ষেপ নিচ্ছি।
যে দুটি কৃষি খামারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে, সেগুলো হলো মোশিস ফার্ম ও জভিস ফার্ম। ফার্ম দুটি হালামিশে বিদ্যমান বসতির কাছে অবস্থিত। জভিস ফার্মের মালিক ও প্রতিষ্ঠাতা হলেন জেভি বার ইয়োসেফ। আর মোশিস ফার্মের মালিক ও প্রতিষ্ঠাতা হলেন মোশে শারভিত। এই দুটি ফার্মকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে সেখান থেকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানো হয়।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো সম্পদ জব্দ করা হবে। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের লেনদেন করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এবং অতি সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উঠলে আমেরিকা "ভেটো" দেয়া থেকে বিরত থাকে। ফলে আইন পাশ হয়, এবং ইজরায়েল এখন যুদ্ধ বিরতি দিতে বাধ্য। যদিও বেয়াদবগুলো সেসবের তোয়াক্কা করছে না। উল্টো বাইডেনের উপর গোস্সা করেছে সেটা জানিয়েছেও।
সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স নিজে ইহুদি পরিবারে বেড়ে উঠেও ইজরায়েলকে গালাগালি করতে এক বিন্দু ছাড় দেন না।

এগুলি কেন হচ্ছে বলে ধারণা?
কারন আমেরিকায় মানুষ সচেতন হচ্ছে। এখন আর লোকজনকে যা তা গেলানো যায় না। অসহায় শিশুদের কান্না, তাঁদের মৃতদেহ হাতে মায়ের কান্না, বাবার "সে ছিল আমার প্রাণের প্রাণ" উক্তিগুলো এখন আমেরিকানদের কানেও উঠছে। এইসব দেখেই সারা গায়ে ট্যাটুওয়ালা কোন অমুসলিম আমেরিকান ক্রোধে উন্মাদ হয়ে রাস্তায় নেমে চিৎকার করে "ফিলিস্তিনি শিশু হত্যা বন্ধ কর!" বাংলাদেশের ইজতেমা বা ওয়াজের মাঠে বসে চিৎকার করে গলা ফাটায়ে বেহুদা চিল্লাফাল্লা করলে সমস্ত জীবনেও এদের কানে একটা শব্দ পৌছাতো না।
কাজেই ফতোয়া দেয়ার সময়ে বুঝে শুনে দিবেন। শোনার সময়েও পুরোটা শুনবেন, নিজের আক্কেল বুদ্ধি খাটাবেন।

ইন শা আল্লাহ, খুব বেশি দূর না, যখন আমেরিকা ইজরায়েলকে বলবে "যথেষ্ট হয়েছে, এখন তোমরা থামো!"
আর তখনই ইন শা আল্লাহ ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে।
আল্লাহর কাছে দোয়া, দিনটা না দেখে যেন চোখ না বুজি।
পুরোটা জীবন শুধু অন্যায় হতে দেখেছি, এইবার ন্যায় বিচার দেখে যেতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩
১০টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×