সাধারণ ছাত্ররা একটা দেশের স্বৈরশাসককে নামিয়ে ফেলতে পেরেছে, নৈরাজ্য থামাতে পারবে না?
যুদ্ধতো শেষ হয়নি, আসল যুদ্ধ কেবল শুরু। আসল যুদ্ধ হচ্ছে চোর চামার লুটতরাজের হাত থেকে নিজের দেশ ও দেশবাসীকে রক্ষা করা।
ছাত্রদের এই মহান অর্জনে কালিমা লেপ্টে দিচ্ছে কিছু ধান্দাবাজ, কুচক্রী মহল। যাদের উদ্দেশ্যই ছিল লুটপাট, সুযোগের ফায়দা তোলা। কিছু ফেসবুক ফকিরনী ভ্লগার গণভবনে গিয়ে শাড়ি লুট করে সেটা ফেসবুকেও দিয়েছে। গণভবন লুটে কেউ বাধা দেয়নি। চেয়ার টেবিল, থালাবাসন, শাড়ি, ব্রা, ঘড়ি খুলে নিয়ে গেছে। যারা সেগুলো পায়নি টবের গাছ, পুকুরের মাছ, পোষা প্রাণী এমনকি জার্মান শেফার্ড কুকুর পর্যন্ত লুটে নিয়ে গেছে।
এদেরকে কি বলবেন? যারা আরেকজনের ব্যবহার করা শাড়ি, ব্রা, পেন্টি দেখে নিজের লোভ সামলাতে পারেনা, ওদের হাতে কোটি টাকার সম্পদ তুলে দিলে ওরা কি করবে? তাহলে ওদের আর ভ্রষ্ট স্বৈরশাসক লুটেরাদের মাঝে পার্থক্য কি রইলো?
যারা পরে যাওয়ায় লুটতে পারেনি ওরা শুরু করেছে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে লুটপাট।
হিন্দু বাড়িতে হামলা হচ্ছে। অনেকেই চুপ আছে, কারন ধরেই নেয়া হয় যে হিন্দুরা আওয়ামী সমর্থক। অথচ এই আন্দোলনে হিন্দু মুসলমান সবাই একত্র হয়েই লড়েছে। কেন হিন্দু বাড়িতে হামলা হবে? কেউ যদি আওয়ামী সমর্থক হয়েও থাকে, এবং এ আন্দোলনে বিরুদ্ধে কাজ করেও থাকে, ওদের সিভিল তরিকায় বিচার হবে। সরকারতো জনতাই গঠন করবে, নাকি?
মুসলিম বাড়িতেও হামলা হচ্ছে। লুটে নেয়া হচ্ছে সবকিছু। পুরানো শত্রুতার কারনে হোক বা অন্য কোন কারনেই হোক, লোকে শোধ তুলছে।
ছাত্ররা এবং অভিভাবকরা যদি এদের এখুনি না থামায়, তাহলে একটি মহান আন্দোলনের মুখে কালিমা লেপন করতে বিন্দুমাত্র সময় লাগবে না। ইতিমধ্যেই যথেষ্ট বদনাম হয়ে গেছে। লোকে আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়ার সাথে তুলনা করে ফেলছে। বাইরের বিশ্বে ইতিমধ্যেই আমাদের রেপুটেশন দাঁড়িয়ে গেছে "বস্তি" হিসেবে। কেমন লাগছে?
ইতিমধ্যেই শহরে শহরে প্রতিহত করা শুরু হয়ে গেছে।
আমার শহর সিলেটে যখনই এমন লুটপাটের ঘটনা দেখবেন, সাথে সাথে ০১৭৮৩৬২৭৭৪০ নম্বরে কল দিন।
নিজ নিজ শহরে কারা এইসব দায়িত্ব পালন করছেন খোঁজ নিয়ে এখুনি প্রচার করুন। নিজে দাঁড়িয়ে বাঁধা দিন। মানুষ হওয়ার, সিভিলিয়ান হওয়ার দায়িত্ব পালনের এখনই সময়।
প্লিজ এই অরাজকতা থামান!
ভোর এখনও হয়নি, নতুন সূর্য সুন্দর একটা বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে জেগে উঠুক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


