somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৫ অগাস্ট ২০২৪ ও ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১

০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: জনহীন ঢাকা নগরীর সড়কে সাদা নিশান উড়িয়ে সাভার হয়ে একটি জিপ প্রবেশ করলো। সাদা পতাকা পাওয়া যায়নি, তাই একজনের সাদা জামা খুলে পতাকার কাজ চালানো হচ্ছে। জিপে বসা যাত্রীরা ভারতীয় মেজর জেনারেল নাগরার একটি বার্তা বার্তা পৌঁছে দিতে যাচ্ছেন পাক জেনারেল নিয়াজির কাছে। ব্যক্তিগত চিঠিতে লেখা,
"প্রিয় আব্দুল্লাহ!
আমরা এসে পড়েছি। তোমার সব বাহাদুরি শেষ। বুদ্ধিমানের মত আত্মসমর্পণ করো। আমি কথা দিচ্ছি, তোমার এবং তোমার সৈন্যদের জান মালের নিরাপত্তা অবশ্যই দেয়া হবে।
তোমার
মেজর জেনারেল নাগরা।
১৬-১২-১৯৭১"

৫ই অগাস্ট, ২০২৪: সকাল হতেই থমথমে ঢাকা নগরীতে শাহবাগ ও উত্তরায় জমা হতে থাকে বিপুল মানুষ। গত কয়েকদিনের আন্দোলনের আজ চরম পর্যায়। গত ২০ দিন ধরে মরে মরে বাঙালি আজ ক্লান্ত। আজই ফয়সালা হয়ে যাবে। সারাদেশ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে লংমার্চ শুরু হয়েছে। সরকারি গুন্ডালীগ, পুলিশ ও মিলিটারির বিরুদ্ধে খালি হাতে পথে নেমেছে জনতা। ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরিচিতদের কাছে বিগত জীবনের জন্য কেউ কেউ ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। জানেন না, জীবিত ফেরা হবে কিনা। আগেরদিনই স্বৈরাচারী সরকার নিজের সর্বোচ্চ বল প্রয়োগে একশোর উপর আন্দোলনকারী হত্যা করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হওয়া অতি নিরীহ কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকারের দম্ভের কারনেই আজকে এক দফা (সরকার পতন) আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। সরকার আলোচনায় বসতে চায়, কিন্তু ছাত্ররা জানিয়ে দিয়েছে মৃত সাথীদের খুনির সাথে কোন আলোচনা নয়। সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: কোন ঝামেলা ছাড়াই বার্তাটি জেনারেল নিয়াজির হাতে পৌঁছে গেল। তিনি বাকরুদ্ধ। জেনারেল নাগরাকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চিনেন। দুজনই ব্রিটিশ আমলে কমিশন্ড অফিসার ট্রেনিং নিয়েছিলেন। ভাগ্যের খেলায় আজকে একে অন্যের শত্রুদলের অধিনায়ক।
দুইলাইনের সেই চিরকুটটি ঘুরতে লাগলো পাকিস্তানী জেনারেলদের হাতে হাতে। জেনারেল নিয়াজির সাথে সেখানে উপস্থিত আছেন মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী, রিয়াল এডমিরাল শরীফ, মেজর জেনারেল জামশেদ। সবার মুখ ফ্যাকাশে। ঘরে পিনপতন নীরবতা। যেন সবাই নিঃশ্বাস নিতেও ভুলে গেছে।
নাগরার বার্তা পৌঁছানোর আগেই অবশ্য ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল মানেক শ'র বার্তা পৌঁছে গেছে। তিনি পাকিস্তানের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিজয় যখন হাতের মুঠোয়, তখন আবার যুদ্ধ বিরতি কিসের? ভারত চায় পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ।

৫ অগাস্ট, ২০২৪: দলীয় অস্ত্রধারী কর্মীদের নামিয়ে গত রোববার দিনভর সারা দেশে ব্যাপক সংঘাত ও প্রাণহানি ঘটানোর পরও ছাত্র-জনতার আন্দোলন সামাল দিতে পারেননি শেখ হাসিনা। যদিও পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরে রোববার রাতেই শেখ হাসিনাকে তাঁর একজন উপদেষ্টাসহ কয়েকজন নেতা বোঝানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরামর্শ দেন। তবে গণতন্ত্রের মানসকন্যা তা মানতে চাননি; বরং সোমবার (গতকাল) থেকে কারফিউ আরও কড়াকড়ি করতে বলেন। ভোর থেকে কারফিউ কড়াকড়ি করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সকাল ৯টার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীরা কারফিউ ভেঙে নামতে শুরু করেন। ১০টা নাগাদ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জমায়েত বড় হতে থাকে।

১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১: নীরবতা ভাঙলেন রাও ফরমান আলী। জেনারেল নিয়াজীকে উর্দুতে জিজ্ঞেস করলেন, "তোমার কোন রিজার্ভ বাহিনী আছে?"
নিয়াজী ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলেন। যেন উর্দু বুঝতে পারছেন না।
রিয়াল এডমিরাল শরীফ তখন পাঞ্জাবিতে অনুবাদ করে বললেন, "কুছ পাল্লে হ্যায়? (থলেতে কিছু বাকি আছে?)"
নিয়াজী তাকালেন জেনারেল জামশেদের দিকে। ঢাকা রক্ষার নেতৃত্বে যিনি ছিলেন। জামশেদ চোখ নামিয়ে নিলেন। উত্তর বুঝা গেল। নিয়াজী মাথা নাড়লেন দুপাশে। কারোর কোন কথা বলতে হলো না। ইশারাতেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে আসা হলো।
ফরমান আলী তীর্যক স্বরে বললেন, "তাহলে আমাদের কাছে আর কোন পথই খোলা থাকলো না। যাও, নাগরাকে খাতিরদারি করে শহরে নিয়ে এসো।"

৫ অগাস্ট, ২০২৪: সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিন বাহিনীর প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ডাকা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী কেন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না, সেটার জন্য তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আন্দোলনকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁজোয়া যানে উঠে লাল রং দিয়ে দিচ্ছেন, সামরিক যানে পর্যন্ত উঠে পড়ছেন—এর পরও কেন তারা কঠোর হচ্ছে না, সেটা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এ ছাড়া বিশ্বাস করে এই কর্মকর্তাদের শীর্ষ পদে বসিয়েছেন—সেটাও তিনি উল্লেখ করেন।
একপর্যায়ে শেখ হাসিনা আইজিপিকে দেখিয়ে বলেন, তারা (পুলিশ) তো ভালো করছে। তখন আইজিপি জানান, পরিস্থিতি যে পর্যায়ে গেছে, তাতে পুলিশের পক্ষেও আর বেশি সময় এ রকম কঠোর অবস্থান ধরে রাখা সম্ভব নয়।
ওই সময়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, বলপ্রয়োগ করে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা, যিনি নিজের মুখে বলেছেন তিনি ক্ষমতাপ্রার্থী নন, সেটা মানতে চাচ্ছিলেন না। তখন কর্মকর্তারা শেখ রেহানার সঙ্গে আরেক কক্ষে আলোচনা করেন। তাঁকে পরিস্থিতি জানিয়ে শেখ হাসিনাকে বোঝাতে অনুরোধ করেন। শেখ রেহানা এরপর বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে অনড় থাকেন। জনতা চায় না, তবু জনতার সেবা তিনি করবেনই।
একপর্যায়ে বিদেশে থাকা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। এরপর জয় তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। ছেলের সাথে কথা বলে শেখ হাসিনা পদত্যাগে রাজি হন। তিনি তখন একটা ভাষণ রেকর্ড করতে চান জাতির উদ্দেশে প্রচারের জন্য।
ততক্ষণে গোয়েন্দা তথ্য আসে যে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা শাহবাগ ও উত্তরা থেকে গণভবন অভিমুখে রওনা হয়েছে। দূরত্ব বিবেচনায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে শাহবাগ থেকে গণভবনে আন্দোলনকারীরা চলে আসতে পারে বলে অনুমান করা হয়। ভাষণ রেকর্ড করতে দিলে গণভবন থেকে বের হওয়ার সময় না-ও পাওয়া যেতে পারে। এই বিবেচনায় শেখ হাসিনাকে ভাষণ রেকর্ডের সময় না দিয়ে ৪৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
এরপর ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে হেলিপ্যাডে আসেন শেখ হাসিনা। সেখানে তাঁদের কয়েকটি লাগেজ ওঠানো হয়। তারপর তাঁরা বঙ্গভবনে যান। সেখানে পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেলা আড়াইটার দিকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে ছোট বোনসহ ভারতের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেন শেখ হাসিনা।
এবারের মত স্বৈরাচারমুক্ত হয় বাংলা মা।

১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১: রেসকোর্স ময়দান। মানুষের উপচে পড়া ভিড়। জেনারেল নিয়াজীর ফর্সা মুখ লজ্জায় অপমানে অন্ধকার হয়ে আছে। পাকিস্তান চেয়েছিল শুধু ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে। তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাসী নয়, কাজেই বাংলাদেশী মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পনের প্রশ্নই আসেনা। তার সেই প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর যৌথ শক্তির কাছে।
পাকিস্তান চায়নি আত্মসমর্পনের অনুষ্ঠানটি রেসকোর্সের ময়দানের মতন খোলামেলা জায়গায় হোক। এ প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। স্বাধীনতার ডাক দেয়া হয়েছে এই রেসকোর্স ময়দান থেকেই, কাজেই পাক বাহিনীও এই ময়দান থেকেই বিদায় নিক।
কাঁপা কাঁপা হাতে নিয়াজী যখন আত্মসমর্পনের দলিলে সই করলেন, তখন বিকাল চারটা ঊনত্রিশ। বাংলা মা দখলদারমুক্ত হলো। মাত্র নয়মাস আগে জন্ম নেয়া রাষ্ট্রটি জন্মের আনন্দে ছটফট করছে।

পাকবাহিনী বিদায় হলো, পেছনে লাথি দিয়ে ফেলে গেল ওদের পা চাটা রাজাকার, আল বদর, আল শামস আর বিহারীদের।
হাসু আপাও উড়াল দিলেন। তিনিও লাথি দিয়ে ফেলে গেলেন ওনার পা চাটা, গুন্ডালীগ ও চ্যালাচামচাদের।

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এবং ৫ অগাস্ট ২০২৪:
কয়েক ঘন্টা আগেও মৃত নগরীটিতে যেন প্রাণ প্রতিষ্ঠা পেল। লাখে লাখে জনতা তখন রাস্তায় নেমে এসেছে। বাড়িতে বাড়িতে উড়ছে স্বাধীন বাংলার পতাকা। উন্মাদের মতন সবাই চিৎকার করছে, "আমরা স্বাধীন হয়ে গেছি!" "আমরা স্বাধীন হয়ে গেছি!"
দেশে বিদেশে লাখো বাংলাদেশিদের মাঝে তখন আনন্দ আর অভিনন্দন।
মানুষ হাসছে, মানুষ কাঁদছে। কেউ কেউ নিখোঁজ হওয়া আত্মীয়স্বজনের খোঁজে তখনই বেরিয়ে পড়েছে। রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ছোটাছুটি। আনন্দের, আবেগের সে ক্ষণ। কত স্বপ্ন বুকে লালিত। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক! আমাদের আর কোন দুঃখ থাকবে না। কোন দারিদ্র থাকবে না। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস থাকবে না। লুটেরার দল লুটে নিবে না আমাদের দেশের সম্পদ!
লাখ শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীনতা, বৃথা যেতে দিব না।
বাংলাদেশ নামের চির অভাগা দেশটির নতুন অধ্যায় শুরু হলো।

তথ্যসূত্র: একাত্তরের ঘটনাগুলো ইতিহাসের বিভিন্ন বই থেকে।
২০২৪ এর ঘটনাটি প্রথম আলোয় প্রকাশিত "শেষ সময়েও বলপ্রয়োগ করে থাকতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা" প্রতিবেদন থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:০৫
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×