একজনকে ছাগুচীপ বলা হইলেও ছাগুত্ব বলতে একটা চেতনারে বুঝায়। এই চেতনার আওতায় যে খালি রাজাকার-আলবদর সমর্থকরা পড়ে তা না। এর আওতায় অন্য যেকোন রাজনৈতিক মতপথের লোক পড়তারে যদি তাদের মধ্যে ছাগুত্ব কাজ কইরা থাকে। তবে একেকটা সময়ে একেকটা রাজনৈতিক ট্যাগ একেক প্রকার ছাগুত্ব প্রকাশ করে। যেমন যারা মুক্তিযুদ্ধরে আওয়ামী যুদ্ধ মনে করে আর প্রচার করে যে নৌকায় ভুট দিলেই আউমীলীগ সব সমস্যার সমাধান করবো তারা আওয়ামী ছাগু। যারা মনে করে শুধু মাত্র ঘেউ ঘেউ প্রচারনা দিয়া ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম বাদ দিয়া ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চের ঘোষনারে ২৬ মার্চে আইনা জেয়ার রহমান (খালেদা জিয়ার উচ্চারম মোতাবেক) রে স্বাধীনতার ঘুষক বানান যাইবো তারা বিএনপি ছাগু। যারা নিজের মাথা দিয়া চিন্তা না কইরা বইপত্র নিজে না পইড়া পরিভাষা মুখস্ত কইরা নেতার বা পোষা বুদ্ধিজিবির প্রতিধ্বনি করে তারা বামছাগু। যারা ভাবেসাবে মৌলবাদীগো সাফুড দিয়া কয়েকবস্তা ধুনফুন কথা কইয়া দৃশ্যত সিদ্ধান্ত না দিয়া বা আমরা কুনো পক্ষে নাই ভাব দেখাইয়া প্রচুর কাগজ বা মেগাবাইট খরচ করে তারা উত্তরাধুনিক ছাগু। এর বাইরে ইংলিশ মিডিয়াম-প্রাইভেট ভার্সিটি মারফত যে রাজনীতিবিমুখ ভোগবাদী প্রজন্ম বাইড়া উঠতাছে তারা হইলো ছাগু জেনারেশন।
ছাগুচীপ কী প্রকার ছাগু তা তো বাংলাব্লগের সব ব্লগার/পাঠকরা জানে। এটার কথা আর লিখলাম না।
বাংলা ব্লগে ছাগুত্ব প্রকাশ করতে সক্রিয় ধারা এই মুহুর্তে প্রধানত দুইটা :
১. রাজাকারগো আর সাধারনভাবে ধর্মীয় মৌলবাদের সমর্থকরা, যারা এটিম পরিভাষায় ড়াজাকার বইলা পরিচিত।
২. উত্তরাধুনিক ছাগুরা, যারা নানারকম ট্রান্সসেক্সুয়াল কথা কইয়া রাজাকারগো পোন্দানী খাওয়া থিকা বাঁচাইয়া দেয়।
বাংলাব্লগের কোন সর্বনাশ যদি কেউ কামনা কইরা থাকে তো শেষোক্ত দুইপ্রকার ছাগুরাই করতাছে।