মেজর জলিল ! মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সেক্টর কমান্ডার যিনি কোন খেতাব পাননি !!
তাঁর অপরাধ ছিল, যুদ্ধ শেষে যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের বিপুল অস্রভান্ডার লুট করছিল, তখন তিনি বাঁধা দিয়েছিলেন, যশোর বেনাপোল সীমান্তে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। এই অপরাধে? গ্রেফতারও হয়েছিলেন। হয়েছিলেন জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে স্বাধীন করা নিজ দেশে প্রথম রাজবন্ধী।
মেজর এম এ জলিল সামরিক বাহিনীতে চাকুরিরত অবস্থায় বি.এ পাশ করেন৷ ১৯৬৫ সালে তিনি কমিশনপ্রাপ্ত হন এবং ১২নং ট্যাঙ্ক ক্যাভালরি রেজিমেন্ট অফিসার হিসেবে তৎকালীন পাক-ভারত যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন৷ ১৯৭০ সালে মেজর পদে উন্নীত হন৷১৯৭১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ছুটি নিয়ে বরিশালে আসেন এবং মার্চে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি নবম সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব লাভ করেন৷
গোটা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সাফল্যের ভিত্তি ছিলো হিট অ্যান্ড রান পদ্ধতি যা মেজর জলিলের উদ্ভাবন। গেরিলা যুদ্ধের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি এটি।
অাজ মহান মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনানীর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী। মহান অাল্লাহর কাছে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭