চারলেন নয়, বিকল্প রাস্তাই দেশের সুষম উন্নয়ন করবে। আঞ্চলিক সড়কগুিলই মহাসড়কে পরিবর্তন করতে হবে।
চারলেন করা মানে তেলা মাথায় তেল দেওয়া। প্রতিটি লেন সাধারনত ১২ ফুট হয়। তাহলে চারলেন ৪৮ ফুট। অথচ যেখানে চার লেন করা হচ্ছে তার এক কিলো বা দুই কিলোমিটার ভিতর দিয়েই চলে গেছে আরেকটি গ্রাম্য রাস্তা যা মাত্র ১২ ফুট। অথচ এক জায়গায় ৪৮ ফুট না করে যদি দুই কিমি ব্যবধান রেখে ২৪ ফুট করে রাস্তা করা হতো, তাহলে গ্রাম্য আরেকটি রাস্তা গতি পেত। সেখানে বিদ্যুত ও সব সুবিধা গড়ে উঠতো।
ফলে দুই তিন কিলো ব্যবধানে আরেকটি মহাসড়ক পাওয়া যেত। যেমন ময়মনসিংহ - ফুলবাড়িয়া- শখিপুর - কালিয়াকৈর- বাইপাইল - সাভার - গাবতলী - কেরানীগঞ্জ রুটটি হলে গাজীপুর- উত্তরা না হয়েই ময়মনসিংহ থেকে পশ্চিম ও দক্ষিন ঢাকায় যাওয়া যেত। ফলে যানজট কমে যেত
বর্তমানে এরকম একটি আদর্শ জেলা হচ্ছে কিশোরগঞ্জ। সেখানে ঢাকাগামী বাস দুইভাগে বিভক্ত। কিছু বাস ভৈরব-নারায়নগঞ্জ হয়ে কাচপুর ব্রীজ হয়ে দক্ষিন দিক দিয়ে সায়দাবাদ বাসস্ট্যন্ডে যায়। আবার কিছু বাস পাকুন্দিয়া হয়ে গাজীপুর আব্দুল্লাহপুর হয়ে মহাকালি যায়। যার যেভাবে সুবিধা সে সেভাবে যাচ্ছে। যেমন কেউ সায়দাবাদ বাড়ি হলে সে ভৈরবের বাসে উঠছে। ফলে কিশোরগঞ্জের মানুষ ঢাকার কোন জায়গায় যেতে লোকাল বাসে চড়তে হয় না। গেইটলক থেকেনেমে সরাসরি ঢাকার বাড়িতে। এভাবে যানজট কমে। গাজীপুর হয়েই ঢাকা ঢুকানো ঠিক নয়। এতে যানজট বাড়ে।
যেমন ময়মনসিংহের লোক যে সাভার যাবে সে যেন কোন অবস্থাতেই গাজীপুর না ঢুকে। সে যাবে এভাবে ময়মনসিংহ - ফুলবাড়িয়া- শখিপুর - কালিয়াকৈর- বাইপাইল - সাভার। তবেই মানুষ ঘুরে আসবে না। যানজটও থাকবে না। লোকাল বাসেও চড়তে হবে না।
বিকল্প সড়ক করলে সরকার জমি পাবে কোথায়?
না। সরকারকে জমি খুজতে হবে না। কেননা সেখানে অলরেডি ১০ ফুটের সড়ক আছে। সেই আঞ্চলিক সড়কটিকে মহাসড়কে (২৪ফুট) পরিবর্তন করলেই চলবে।
এতে লাভ :
সুষম উন্নয়ন
গ্রামগুলি গতি পাবে, বিদ্যুত পাবে
ঘুরে আসতে হবে না, তাই যানজট কমবে, খরচ কমবে, সময় বাচবে।
বিদেশের মতো একাধিক মহাসড়ক হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪