নারী অধিকারকে স্বাগত জানালো কনফুসীয়বাদ
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আড়াই হাজার বছরেরও বেশি সময় পর কনফুসিয়াসের দর্শনে নারী অধিকারের স্বীকৃতি মিললো। ঐতিহ্যবাহী কনফুসীয় চিনত্দাধারায় নারীদের সামান্যই মর্যাদা দেওয়া হতো। কনফুসীয় লোকাচারে নারীদের জন্য কঠোর শ্রেণীপ্রথা অনুসরণ করা হয়ে থাকে। এতে একজন নারীকে পুরুষের অনুগত থাকতে হতো। কনফুসিয়াস দর্শনের তত্ত্বাবধানকারী কং দে হং বলেন, আমাদেরকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এখন থেকে পুরুষ এবং নারী সমান। নতুন এ পরিবর্তনের কারণে প্রায় 2 লাখ নারী সমান অধিকারের ধর্মীয় স্বীকৃতি পেলো। চীনের জীবনযাত্রা এবং রাজনীতিতে কনফুসিয়াসের প্রভাব ব্যাপক। খ্রিস্টপূর্ব 551 থেকে 479 সময়কালে এ মহান দার্শনিক বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধার রীতি গড়ে তোলেন। তবে নারীদের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল পৃথক। কনফুসিয়াসের মতে, নারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হলে তারা পুরুষদের এড়িয়ে চলতে চায়। অন্যদিকে নারীদের সঙ্গে পার্থক্য বজায় রেখে চলতে গেলে তারা অসন'ষ্ট হয়। কং দে হং বলেন, বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে নারীরা যখন বসবাস করতে নিজ গৃহ ছেড়ে চলে যায় তখনো তারা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কনফুসিয়াসের বংশধর হয়েই থাকে। চীনে কমিউনিস্ট শাসনামলের বেশিরভাগ সময়জুড়ে বিশেষ করে সাংস্কৃতিক বিপ্লব চলাকালে কনফুসীয়বাদীরা নিপীড়নের শিকার হয়। এ সময় বহু কনফুসীয় মন্দির ধ্বংস করে দেওয়া হয়। বর্তমানে এ ধারার পরিবর্তন ঘটেছে। চীনের অধিকাংশ স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কনফুসীয়বাদ শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া চীনা সরকারের 10 বিলিয়ন ডলারের অর্থায়নে আগামী 4 বছরে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কনফুসীয় ইন্সটিটিউট গঠনের পরিকল্পনাও করা হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চীনের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী কনফুসীয়বাদকে ঐতিহ্যবাহী চীনা সংস্কৃতির অংশ হিসেবে গণ্য করছে। এছাড়া কঠোর শ্রেণীপ্রথার বিষযটিকে তারা শাসকগোষ্ঠীর প্রতি আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছে। শাসক গোষ্ঠীর অনেকের মতে, এ মতবাদ দেশে নৈতিকতার মানকে আরো উন্নত করবে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
কএকজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,...
...বাকিটুকু পড়ুনবিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে
আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
...
...বাকিটুকু পড়ুন