জন্মের সময় আমরা সবাই মা বলে চিটকার দিয়ে দুনিয়াতে আসি।অনেকে বলে এটা নাকি কান্না্...মা্...মা...মা। মাগো আজ নাকি তোমার দিন। মা দিবস, মাগো তোমার জন্য কি আলাদা বিশেষ কোন দিনের দরকার হয়?? মা, বাবা, ভালোবাসা, বছরের ১ম দিন এসব হচ্ছে ব্যবসায়িক দিবস, এসব নিয়ে হৈ চৈ করে মাতামাতি করে ব্যবসায়িরা ব্যবসা করি।মাগো তোমার ছেলের ও কিন্তু স্বপ্ন সে ব্যবসায়ি হবে। তোমারে পন্য বানিয়ে ,মডেল বানিয়ে ব্যবসা করবে। মানুষের অনুভতি গুলতে আঘাত করে product সেল করবে।যেমন ধরমিও অনুভতি কে কাজে লাগিয়ে ধর্ম ব্যবসায়ী্রা রাজনিতি করে।
এখানে(লন্ডন) মা দিবসে এমন কোন সন্তান নেই যে তার মায়ের জন্য উপহার কেনে নি, আর না পারুক একটা কাড হলেও মাকে গিফট করেছে। আর বিনিময়ে মা খুশি হয়ে ছেলেমেয়েদের নিয়ে রেস্তোরাতে খেয়েছে আর না হলে বাসায় বিশাল খাবারের আয়োজন করেছে। বুঝলেন তো ব্যবসায়িরা কি পরিমান মাল বানিয়েছে আপনার আর আমার মায়ের জন্য ভালোবাসা দিয়ে।যেভাবেই করুক ব্যবসায়ীর কাজইতো আপনার আর আমার পকেট থেকে টাকা বের করে নিয়ে আসা, পশ্চিমারা এসব ভালো জানে বলেইতো ওরা এত উন্নত।আমিও মাগো ওদের কাছ থেকে ব্যবসা শিখতেছি।দেশ থেকে গুরে যেই আসে যদি জিজ্ঞাস করি দেশের কি অবস্থা ? উত্তরে বলে ভাই আর বইলেন না, দেশ আর দেশ নাই অনেক expensive এখন দেশ।কিছু লোকের কাছে প্রচুর টাকা আর কিছু লোকের অবস্তা খারাপ।যে কিছু লোকের প্রচুর টাকা ওদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়েই মধ্যবিত্ত আমাদের আবস্থা চরমে। উদাহারণস্বরুপ যেমন দেশে নাকি ২-৩ জন মিলে কে এফ সি, পিতজাহাটে খেলে ১৫০০-২০০০টাকা বিল আসে।ঢাকা শহরে নাকি বের হলেই ১০০০-১৫০০ টাকা সিএনজি ভাড়া লাগে।অবাক লাগে কি জানেন এদেশে আমার দিনে ভাড়া লাগে ৫ পাউণ্ড (সাপ্তাহিক কাড করলে) আর service তো বুজেনই ২-৪ মিনিট পর পর ট্রেন আসে এর পরও দেরি হলে কত কি? আমি এবং আমরা (যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান) রেগুলারিই কিন্তু কে এফ সি, মেকে খেতে পারি, যারা কিনা দেশে আমার কথাটাই বলি বছরে ২-৩ বার এধরনের স্টোরে খাওয়ার সাহস দেখাতে পারি নাই, ফ্রেন্ড রা মিলে বসুন্দরা তে আড্ডা দিতাম আর খাইতাম টঙ্গে...না খাইয়া কি উপায় আসে বাসা থেকে দৈনিক বাজেট২৫ কি ৩০ টাকা , টাকা পামুও আর কই? এখানে তো জব করি ওই যে ক্রু মেম্বার র না হইলে শেল্পিং, যাই করি নিজের টা নিজে কামাই...সবাই আমারা স্মার্ট ফোন ইউস করি, আইফোন ইউস করি , আমরা (মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান) ওই সব উচ্চ বিলাসি সবই করতে পারি যেসব কিনা আমাদের দেশে প্রচুর টাকাওয়ালা করে। এত সব কিছু আমরা খুব সহজেই করতে পারি কারণ হলো সিস্টেম আর ব্যবাসায়িদের নিত্বনতুন ত্বত্তের জন্য।
দেশ ছেড়েছি প্রায় ৩ বছর, এক সময় খুব খোব আর ধিক্কার দিয়ে দেশ ছাড়ো এ স্লোগানে মত্ত ছিলাম, কারণ জানতাম এ দেশে থেকে কিছু করা যাবে না। আর এখন শুধু দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছা হয়, নিজের মধ্যে কেমন জানি একটা আত্মবিশ্বাস কাজ করে দেশে গেলে কিছু করতে পারবো। কিন্তু দেশের অস্থিতিশীল রাজনিতি নিয়ে ভয় জাগে মনে, যে দেশে জিবনের নিরপত্তা নেই। ডিজটাল যুগে মানুষের মৈলিক চাহিদা বিদ্যুত, নিরাপদ সড়ক ও স্বভাবিক মরার গেরান্টি -এগুলোর যে দেশে বড়ই অভাব।আমাদের কেও সিস্টেমের মধ্যে আসতে হবে, আর এই সিস্টেম সরকার আর রাজনিতিবিদ দের কেই করতে হবে।এক শ্রেণী লোককে টাকাওয়ালা না হতে দিয়ে সবারে জন্য সরকারকে ভাবতে হবে।দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আর দেশীয় টাকাওয়ালাদের বিনিয়োগ করার পরিবেশ ও উদ্বদ্ধ , উতসাহ ও সকল ধরনের সহযোগিতা করতে হবে সরকারকে। আমারা নবিনরা এ দেশ কে নতুন ভাবে দেখতে চাই।আসলে দেশের জন্য আমাদের বুক-পেট ভরা আবেগ আছে, দায়িত্ববোধ নেই। আমরা আবেগ দেখিয়ে না এবার দা্যিত্ব কাদে তুলে নিতে চাই......। বদলে দিতে চাই...নতুন বাংলাদেশ চাই!!!!!!!!!!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


