কর্পোরেট এর চাকুরি করা মানুষগুলো অনেকটা বাংলা সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের মত।
উদয়অস্ত মুখে মেকী হাসি, পেছন থেকে গুষ্টি উদ্ধার আর সামনাসামনি হলে জড়িয়ে ধরা, ছবি তোলা। প্রতিটা চলচ্চিত্র মুক্তির আগেই সংশ্লিষ্ট মূল অভিনেতা বা অভিনেত্রী বলেন, কাহিনী মৌলিক, আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এখানে। কিছু চমক আছে এখন বলবনা, দর্শক মজা পাবেন। সপরিবারে দেখার মত ছবি। এমন ব্যতিক্রমী চরিত্রে আগে কাজ করিনি। আর নিয়মতান্ত্রিক জীবন, দূর পরাহত!
কর্পোরেটেও তো তাই। ৯ টা ৫:৩০ টা কাগজে সই করে বাড়ী ফেরা রাত ১০ টায়, মুখে মেকী হাসি সফল জীবনের। প্রতিটা কাজের ব্যাপারেই আমাদের একই বক্তব্য, কাজটা চ্যালেঞ্জিং, গুরুত্ববাহী। পশ্চাদ্দেশে লাত্থি খাওয়া চেপে যাওয়া আর দলীয় পিঠ চাঁপড়ানো টা নিজের পিঠ ভেবে আত্নতুষ্টি। কখনো বিপদ আঁচ করে কিংবা একটু ভালো সুযোগ সুবিধার পাতা ফাঁদে পা দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন।
যতক্ষণ শরীরে শক্তি আছে দৌড়ানোর, নেঁচে যাওয়ার, ততক্ষনই দাম আছে, এরপর “এসেছে নতুন শিশু তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান”!
Life is a race, and change is the only constant thing.
তবু চাকরী ছাড়ি, কাজ বদলাই, কিসের আশায় কে জানে…
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:০১