somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জিপিএ এর ভিত্তিতে মেডিকেলে ভর্তি :: কিন্তু মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় কি ব্যাপারগুলো ভেবে দেখেছেন??

১৩ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আপডেট : আগামী কালকেও (১৪ আগস্ট) প্রতিবাদী শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সচেতন জনসাধারণ শহীদ মিনারে মিলিত হচ্ছে, আপনার উপস্থিতি একান্তকাম্য ফেসবুক ইভেন্ট




মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ঠিক মাস খানেক আগে চট করে আজকে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন পরীক্ষা বাতিল, ভর্তি নেয়া হবে জিপিএর ভিত্তিতে। এর কারন হিসেবে পত্রিকায় যেটা এসেছে তা হল
> কোচিং-বাণিজ্য বন্ধ করতে।
>প্রতিবছর ভর্তির জন্য ৫০-৬০ হাজার ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা দরকার।
>গত বছর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ছাপাখানা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা, পরীক্ষার আগে ভুয়া প্রশ্নপত্র বেচাকেনাসহ নানা ধরনের সমস্যা ।
সূত্র: ১. প্রথম আলো ২.bdnews24.com


এ বিষয়ে যে ব্যাপারগুলো ভাবা উচিত তার একটা লিস্ট দিচ্ছি, জানি না সেটা স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের চোখে পড়বে কিনা

১.

ধরা যাক, এবছর সেটা বাস্তবায়ন হল, তাহলে ব্যাপার কি দাঁড়াবে। এতদিন ধরে হাজার হাজার স্টুডেন্ট মেডিকেলের জন্য যারা প্রিপারেশন নিচ্ছিল তাদের মধ্যে এসএসসি এবং এইচএসসি তে গোল্ডেন এ+ ছাড়া বাকী সবাই আক্ষরিক অর্থেই পানিতে পড়বে। কারন মেডিকেলে সবমিলিয়ে আসন প্রায় তিনহাজারের কিছু বেশি। আর আমাদের গত কয়েক বছরের জিপিএ ৫ এর সংখ্যাটা এক ঝলক দেখুন-





এসএসসিঃ

২০১০ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ৬২ হাজার ১৩৪ জন।

২০১১ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ৭৬ হাজার ৭৪৯ জন

২০১২ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ৮২ হাজার ২১২ জন।



এইচএসসিঃ

২০১০ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ২৮ হাজার ৬৭১ জন।

২০১১ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ৩৯ হাজার ৭৬৯ জন

২০১২ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে = ৬১ হাজার ১৬২ জন



তারমানে জিপিএ ৫ এর নীচে যারা তারা তো হিসাবের বাইরেই, এমনকি যে ছেলেমেয়েগুলো দুবারই গোল্ডেন এ+ পায় নি, তাদের সবারই এতদিনকার স্বপ্ন এবং পরিশ্রম ব্যর্থ হয়ে গেল। এবং যারা মেডিকেলে চান্স পেত নিজ পাঠ্যপুস্তকে দখল এবং মারাত্মক পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের অধিকাংশই কোন জায়গাতেই চান্স পাবে না। কারন মেডিকেলের ভর্তির প্রিপারেশন ভাল মত যারা নেয় তারা অন্য কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে প্যাটার্ন ভিন্ন হওয়ার কারনে চান্স পাবে না। এই বিশাল পরিমান ছাত্রছাত্রীদের পরিশ্রমের মূল্য কী রইলো? মাঝামাঝি সময়ে এসে তাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সিদ্ধান্তকে মূল্যহীন করে দেয়া কতটুকু যৌক্তিক?

২.

কোচিং বাণিজ্য বন্ধই যদি এ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হয় তাহলে ব্যাপারটা কেমন সিদ্ধান্ত হয় সেটা ভাববার বিষয়। কোচিং বাণিজ্য বলতে হয়তো দুটো ব্যাপারকে বোঝানো হচ্ছে, এক কোচিং এ পাঠ্য বইগুলো পড়ানোর বিনিময়ে মোটা টাকা নেয়। আর দ্বিতীয় হচ্ছে কোন কোন কোচিং এর নামে অভিযোগ আছে তারা প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত।

এখন প্রথমটাতে যদি নীতিনির্ধারকদের আপত্তি থাকে, অর্থাৎ কোচিং বেশি বেশি টাকা নিচ্ছে তাহলে সমস্ত কোচিং গুলোর জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করে কিংবা কোচিংগুলোর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যেতে পারে।

কিন্তু এটা বন্ধ করতে পরীক্ষা বাতিল করাটা হল ঠিক মাথা ব্যথার জন্য মাথা কাটার মত। কোচিং তোমার থেকে টাকা নিচ্ছে, ওকে তোমার পরীক্ষা দেয়া বন্ধ, মেডিকেলে পড়ার আশা কোর না, তাহলে কোচিংগুলোও তোমাকে ঠকাতে পারবে না। প্রবলেম সলভড!

আর এবছর কোচিং গুলো যা টাকা নেবার তা নিয়ে নিয়েছে, সুতারাং এ বছর যারা কোচিংয়ের পিছনে তাদের টাকা ব্যয় করে ফেলেছে তাদের সুবিধাটা কি হবে? এখানে অনেকেই আছে নিম্নবিত্ত ঘরের সন্তান, টিভিতে দেখলাম একজন পিতা তার সন্তানকে মেডিকেল কোচিং এ ভর্তি করিয়েছেন তার গরু বেচে। এই ছেলেগুলোর মত স্টুডেন্টরা অন্যবিষয়ে প্রিপারেশন নেয়ার জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা কীভাবে পাবে, তাদের এতদিনকার অর্থনৈতিক ক্ষতি আর শ্রমের মূল্য কে দেবে?

দ্বিতীয়ত, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা কোচিংয়ের মাধ্যমে ঘটতে পারে, তাই পরীক্ষা বাতিল। প্রশ্নফাঁস হবার মত ঘটনা এক ধরনের প্রশাসনিক দুর্বলতা, প্রশ্ন কোচিং সেন্টার তৈরি করে না। তারমানে সেটা যখন ফাঁস হয় সেটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিজস্ব সিস্টেমের ব্যর্থতা। সেটার দায়ভার এড়াতে যদি পরীক্ষা বাতিল করা হয় তাহলে ব্যাপারটা আর কোচিংকেন্দ্রিক থাকে না। ঘরে আসবাবপত্র চুরি হতে পারে সেইভয়ে বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত না করে আসবাবপত্র কিছু না কিনে খালি ঘরে বাস করার মত- ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

কেন এ দায়ভার ছাত্রছাত্রীরা বহন করবে?



৩.

জিপিএ আমাদের দেশে একটি মূল্যবান মাপকাঠি সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটাই কী ১০০ ভাগ নির্ভেজাল?আমরা সাধারণ যে কেউ জানি সেটা নয়। কারন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দারুন মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা ভাল জিপিএ পায় না, আবার ভাল ভাল স্কুল গুলোতে গড়পড়তা সবাই ভাল জিপিএ পেয়ে যায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব মেধাবী ও পরিশ্রমী ছেলেমেয়ে গুলোর অনেকেই এতদিন পর্যন্ত মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি চালু করলে এসব অদম্য মেধাবীদের কি দমিয়ে রাখা হবে না?

তাছাড়া একটি ছেলে বা মেয়ের মেধার মূল্যায়ন শুধুমাত্র জিপিএ দিয়ে করাটা অনৈতিক। আমরা জানি আমাদের এইচএসসি ও এসএসসি দুটো পরীক্ষাই সাজেশন নির্ভর। পাঠ্যবইয়ের নির্দিষ্ট কিছু টপিক আয়ত্ত করেই ভাল জিপিএ পাওয়া সম্ভব। আর ভর্তি পরীক্ষায় ভাল করবার জন্য অনেক খুটিনাটি বিষয়ে দখল থাকতে হয়। আমাদের সময়ই যারা ভাল জায়গায় ভর্তি হবে এমন দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিল তারা এইচএসসি তে পড়াকালীন সময়ই সাজেশন নির্ভর পড়াশোনা না করে ভালভাবে পুরো বই পড়তো, যেমন যারা মেডিকেল বা ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি হবে চিন্তা করতো তারা সায়েন্সের সাবজেক্টগুলোতে বেশি সময় দিত. ফল স্বরূপ এমন অনেকেরই গোল্ডেন জিপিএ থাকে না। সেসব আত্মপ্রত্যয়ী স্টুডেন্টদের পরিশ্রমটা কী এ সিদ্ধান্তে পুরোপুরি মাঠে মারা যাবে না?



অনেক সময়ই শুধুমাত্র প্র্যাকটিকালে কম মার্কের জন্য কারো এ+ মিস হতে পারে। আমি নটরডেম কলেজের ছাত্র ছিলাম, সেখানে আমাদের প্র্যাকটিকালগুলো যতটা সিরিয়াসলি শেখানো হয়েছিলো তা আমাদের দেশের হাতে গোনা কয়েকটি কলেজে হয়তো শিখানো হয়। অথচ আমাদের পরীক্ষার সময় যে কলেজে সীট পড়েছিল কোন কারনে তারা আমাদের কলেজের উপর ক্ষিপ্ত থাকায় তারা আমাদের প্র্যাকটিকালে একদম মার্জিনাল নাম্বার দেয় অনেকের। সে কারনে আমাদের ব্যাচের অনেক স্টুডেন্টদের সববিষয়ে জিপিএ ৫ আসে না, অর্থাৎ গোল্ডেন এ+ যথেষ্ট কম ছিল। অথচ আমাদের বছর মেডিকেল এবং ভাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোতে বরাবরের মত যথেষ্ট পরিমানে আমরা চান্স পাই। এখন এ ধরনের নিয়ম যদি আমাদের সময় চালু থাকতো তাহলে সে বছর আমাদের ব্যাচের হাতে গোনা কয়েকটা ছেলে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেত। এইধরনের ঘটনা এখনও নানা কলেজে ঘটছে। এসব ঘটনার শিকার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের দায়ভার কে নেবে?



৪.

ইংলিশ মিডিয়ামের থেকে প্রতিবছর অনেক ছেলেমেয়ে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হচ্ছে, তাদের সিস্টেমের সাথে প্রচলিত আমাদের জিপিএর কোন মিলই নেই বলা চলে। তাদের ক্ষেত্রে তারমানে নতুন কোন ধরনের মাপকাঠি নির্ধারণ করা হবে। কিন্তু সেটা কতটুকু সার্থক পদ্ধতি হবে ? এ পদ্ধতি প্রণয়ন দীর্ঘদিনের অ্যানালাইসিস ছাড়া চট করে কীভাবে করা সম্ভব?

৫.

অনেকেই আছে যারা গত বছরে চান্স না পাওয়াতে এবার আবার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা তাদের শিক্ষাজীবনের দীর্ঘ একটা সময় একটা লক্ষ্যে পৌঁছবার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছিল। চট করে এমন একটা সিদ্ধান্তে তাদের

এতদিনকার স্বপ্ন এবং শ্রম কীভাবে ভেঙে পড়বে চিন্তা করে দেখুন। আগে থেকে জানলে হয়তো তারা অন্যকোন বিষয়ে পড়বার জন্য সে শ্রমটা দিত বা অন্যকোথাও ভর্তি হয়ে যেত। এ ধরনের ছাত্রছাত্রীদের সমস্ত শ্রম, স্বপ্ন এ সিদ্ধান্তে কি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে না?



৬.

মেডিকেল কোচিং বন্ধ হলেই কি কোচিং ব্যবসা আদৌ বন্ধ হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষার কোচিং বন্ধ হলে এইচএসসি, এসএসসি তে চলমান স্যারদের প্রাইভেট বাণিজ্য এবং কোচিংগুলো অনেক বেশি আগ্রাসী হয়ে পড়বে। স্যারদের হাতে প্রাকটিকালের নাম্বার থাকে, সে সব ক্ষেত্রে প্রাইভেট পড়ানো স্যারদের দৌড়াত্ম বাড়বে ভীষণরকম। কলেজে কলেজ সংঘর্ষ থাকে, নির্দিষ্ট কলেজের ছাত্ররা এমন সংঘর্ষযুক্ত কলেজের টিচারদের হাতে বলি হবে প্র্যাকটিকালের নাম্বারের কারনে। এখনকার মেডিকেল কোচিংগুলোই দেখা যাবে এসএসসি আর এইচএসসি কোচিং এ পরিণত হয়ে গেছে। যেই লাউ সেই কদুই হবে ঘুরে ফিরে, বরঞ্চ স্কুল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক বেশি ভোগান্তির সম্মুখিন হবে। তাহলে কোচিং ব্যবসা বন্ধের ধুঁয়া তুলে কী লাভ হবে?

যেসব শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট পড়তো না বা সে সামর্থ নেই, তারাও এখন গরু বেচে হলেও প্রাইভেট পড়বে স্যারদের কাছে মুখ চেনানোর জন্য, আরো ভয়ংকর যে ব্যাপার ঘটবে সেটা হল, যে কলেজে সিট পড়বে তাদের বাধ্য হয়ে সেই কলেজের টিচারদের কাছে পড়তে হবে, সেক্ষেত্রে অনেক দূরবর্তী কলেজ হলেও দূরত্বজনিত ভোগান্তি সহ্য করে টিচারদের কাছে ঘুরতে হবে । যেসব বিষয়ে কখনো পড়ার দরকার হতো না, সেগুলোও বাধ্য হয়ে পড়তে হবে। পুরো বিষয়টা কি আপনার কাছে খুব স্বস্তিদায়ক লাগছে মহামান্য?



৭. আমরা কিছুদিন আগেও দেখেছি কলেজ ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের মানদন্ড নামক ব্যাপার চালু হয়েছিল, যা এক বছর পরই হাস্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়। ক্ষতি যাদের হওয়ার হয়েই গেল। অনেক ভাল ভাল ছেলেমেয়ে ভাল কলেজে পড়ার চান্স পেল না। মেডিকেল ভর্তির নতুন পদ্ধতিও যে এরকম বর্জনীয় হবে না সেটার পর্যাপ্ত অ্যানালাইসিস না করে কীভাবে চট করে সেটা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কলেজ না হয় কারো ক্যারিয়ারকে পুরো ধ্বংস করতে পারে না। কিন্তু আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের এভাবে গিনিপিগ বানানোর ক্ষেত্রে আরো সতর্কভাবে কি এগুনো উচিৎ নয়?



৮. প্রতি বছর ৫০-৬০ হাজার পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে ৬০-৭০ হাজার জিপিএ থেকে মেডিকেলের জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করাটা কতটুকু সুবিধাজনক? বেশি ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দেয়াটা সমস্যা এটা কীভাবে ভাবা সম্ভব। তাই যদি হয় বিসিএস টাইপ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিবছর দেড় দুইলাখ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে কিভাবে? তাহলে এ ধরনের নিয়োগ পরীক্ষাগুলোও কি বন্ধ করে দেয়া উচিত নয়?



৯. প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা সদিচ্ছা থাকলে অনেক কড়াকড়ি করে অবশ্যই বন্ধ করা যাবে, সেটা অনেকভাবেই সম্ভব। কিন্তু জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি শুরু হলে এসব রেজাল্ট নিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই বোর্ডের ভিতরের মানুষদের মাধ্যমে দুর্নীতি শুরু হয়ে যাবে । বোর্ডের ভিতরের দুর্নীতিপরায়ন কর্মচারীরা এ দারুন সুযোগ নেবেনা তার নিশ্চয়তা কি? আমাদের দেশে যখন সুযোগ পাওয়া মাত্রই দুর্নীতির ঘটনা ঘটে, সেখানে ধরে বেঁধে এত চমৎকার একটা সুযোগ করে দেয়ার অর্থ কী? কালোটাকাসর্বস্ব মানুষদের ছেলেমেয়েদেরই মেডিকেল পড়াটা একচেটিয়া করে দেয়া হচ্ছে না এর মাধ্যমে?



১০. আমাদের বোর্ড পরীক্ষা পদ্ধতিতে সব বোর্ডগুলোতে প্রশ্নও এক হয় না। বোর্ডগুলোতে তাই রেজাল্টের ব্যবধান থাকে। কোন বোর্ড কোনবার বেশি জিপিএ পায়, কোনবছর কম। ভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়া দুবোর্ডের দুজন শিক্ষার্থীকে একই মানদন্ডে মাপার চিন্তাটা কোন খেয়ালে করা যায়?


সবাই প্লিজ প্রতিবাদ জানান যে যার মত করে, এভাবে একটা দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে চোখের সামনে ধ্বংস হতে দেয়া যায় না।
সবাই স্বাস্থঅধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রতিবাদ জানাতে পারেন এ লিংকে: লিঙক


সহায়ক পোস্ট:
১.এসএসসি, এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে মেডিকেলে ভর্তিঃ আরেকটি কালো অধ্যায়ের হতে যাওয়া সূচনা
২. যেন সেই হীরক রাজার শিক্ষাব্যবস্থা: মেডিকেল ভর্তি – ২০১২
৩. মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা কথন (সংকলন)


একই সাথে প্রকাশিত: ফেসবুকে নোট হিসেবে
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:০৪
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×