মেধাকে জাতির কল্যাণে প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর উচ্চশিক্ষার জন্য অনেক মেধাবী ছাত্র ইউরোপ-আমেরিকায় পাড়ি জমাচ্ছে। তাদের অনেকেই আর দেশে ফেরে না। এভাবে চলতে থাকলে দেশ এক সময় মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। মেধা পাচার উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যে হুমকি। দক্ষ জনশক্তি, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, সম্পদের অভাব ইত্যাদি কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষ দরিদ্রতার শিকার হচ্ছে। মেধা পাচার তাদের জন্যে ডেকে আনছে সমূহ সর্বনাশ। স্বদেশে পছন্দনীয় কাজের সুযোগ না থাকাসহ অন্যান্য সীমাবদ্ধতা মেধা পাচারের জন্যে দায়ী। বাংলাদেশও এ সমস্যার প্রত্যক্ষ শিকার।
স্বাধীনতার পরে কয়েক লাখ দক্ষ মানুষ দেশ ত্যাগ করেছে বিদেশের রঙিন সম্ভাবনার হাতছানিতে। গত দু’দশকে বাংলাদেশে সরকারি খাতে মেধাবীদের নিয়োগ শ্লথ হয়ে পড়েছে। এ সময়ে মেধা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতগুলো সফলতা দেখালেও তা নিয়ে খুব বেশি আশাবাদি হওয়া যাচ্ছে না। কারণ নানা প্রতিবন্ধকতায় বেসরকারি খাতও কাঙ্ক্ষিতভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে না। মেধা পাচার রোধে সরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে মেধাবীদের ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি ডাক্তার ও প্রকৌশলীসহ প্রশিক্ষিত জনশক্তিকে যাতে দেশে ধরে রাখা যায় কিংবা সাময়িকভাবে আরও প্রশিক্ষণ লাভ কিংবা অন্য কারণে কেউ বিদেশ গেলেও পরবর্তী সময়ে যাতে দেশে ফিরে আসতে আগ্রহী হয়, সরকারি এবং বেসরকারি খাতকে এমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বই বেশি। দেশে যাতে বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয় সে ব্যাপারে উত্সাহ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকারের। আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতার অবসান ও জ্বালানি সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে সরকারকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




