সন্ত্রাসী খুঁজতে মসজিদে গোয়েন্দাগিরিই সর্বোত্তম
এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুলার
।। লস এঞ্জেলেস থেকে এপি ।।
ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) ডিরেক্টর রবার্ট মুলার যুক্তরাষ্ট্রের মসজিদে তার সংস্থার গুপ্তচর ব্যবহারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। এফবিআইয়ের এজেন্ট ও সরকারি কৌঁসুলিরাও তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলছেন, জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসীদের অনুসন্ধানে মসজিদে গোয়েন্দাগিরি চালানো একটি সর্বোত্তম অস্ত্র। মুসলিম সংগঠনগুলো সম্ভাব্য সন্ত্রাসীদের পরিবর্তে নামাজী ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে টার্গেট করার অভিযোগ আনা সত্ত্বেও এফবিআই পরিচালক এ মন্তব্য করেন।
মিশিগানের একটি মুসলিম সংগঠন ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও নামাজীদের উপর মুসলমানদের গোয়েন্দাগিরি চালাতে এফবিআইয়ের নির্দেশদানের অভিযোগ তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানানোর কয়েকদিন পর মুলার এ মন্তব্য করেন। গত সোমবার এখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা মসজিদে নয়, ব্যক্তির উপর গোয়েন্দাগিরি চালাই। তিনি বলেন, ফৌজদারি অপরাধের তথ্য অথবা প্রমাণ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে আমরা সেগুলো তদন্ত করে দেখি। আমরা এরূপ তদন্ত অব্যাহত রাখবো। তিনি মুসলমানদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে ‘অত্যন্ত ভালো’ হিসাবে স্বীকার করেন। তবে নির্দিষ্ট তথ্য না দিয়ে তিনি মুসলমানদের সঙ্গে দ্বিমত থাকার কথাও স্বীকার করেন। মুলার বলেন, নয়া প্রশাসনের আওতায় এফবিআইয়ের অগ্রাধিকারে কোনো পরিবর্তন ঘটবে না।
মসজিদে আসা-যাওয়াকারী লোকজন এবং মসজিদে কারা অনুদান দেয় তাদের প্রতি নজর রাখতে মুসলিম সম্প্রদায়কে এফবিআই নির্দেশ দেয়ায় মিশিগানের কাউন্সিল অব ইসলামী অর্গানাইজেশন মার্কিন এটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডারের কাছে একটি চিঠি পাঠায়। এফবিআইয়ের ডেট্রয়েট অফিস এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় মুসলিম নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ২০০৬ সাল থেকে তারা সন্দেহ করছেন যে, এফবিআই তাদের এলাকায় মুসলিম সংস্থাগুলোর ভেতর অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ইসলামী শুরা কাউন্সিলের নির্বাহী শাকিল সৈয়দ বলেছেন, বাস্তবতা বিশেষ করে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ঘটনা মুলারের উক্তি মিথ্যা প্রমাণ করছে। তিনি বলেন, তার উক্তিতে কোনো যায় আসে না। তাতে কেবলমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্য, ধর্মীয় নেতা ও মসজিদগুলোকে সন্দেহে এফবিআইয়ের ঔদ্ধত্য প্রকাশ পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, এফবিআইয়ের যা করা উচিত নিশ্চিতভাবে তাদের তাই করা প্রয়োজন। কিন্তু তারা আইন মান্যকারী লোকজনকে উস্কানি দিচ্ছে এবং তাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে।
সন্ত্রাসী খুঁজতে মসজিদে গোয়েন্দাগিরিই সর্বোত্তম
১. এটাই মূলত আমেরিকা !
২. আর এবামার ভাষন কি বোকা বানাচ্ছে আমাদের !
৩. আসুন আমরা অন্ধ থাকি ?
৪. নামাজি ও মুসলিম ভাইরা সাবধান মসজিদে নামাজ পড়া থেকে !!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১০:১৯