somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা কি প্রতিবাদ ভুলে গেছি ??! কোথায় সেই বীর বাঙ্গালী ??

২৩ শে জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জনের বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল"
"ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জনের বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল"

২২ জুন : টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যুতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে । বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ পানি বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদরা যখন বলছেন, ভারত এই বাঁধ নির্মাণ করলে বাংলাদেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে ঠিক তখন ভারতের পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে এই বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের বিরোধীতা করতে পারে না । তিনি বলেছেন, ১৯৭২ সালে এ বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের আলোচনা হয়েছে। ভারতীয় হাই কমিশনার গতকাল এক সেমিনারে এসব কথা বলেন । টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের যেসব বুদ্ধিজীবী কথা বলছেন ভারতীয় হাইকমিশনার তাদের সমালোচনা করে বলেছেন, তথাকথিত পানি বিশেষজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবীরা টিপাইমুখ বাঁধ সম্পর্কে না জেনেই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন । তিনি দাবী করেন, ভারত এ ব্যাপারে কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেনি । পিনাক রঞ্জন আরো বলেছেন, এ ব্যাপারে কোনো চুক্তি নেই ।
তবে ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তীর এ ধরণের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের পানি বিশেষজ্ঞ, বুদ্ধিজীবীগণসহ বিভিন্ন মহল । তারা বলছেন, ঐ বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে যখন বাংলাদেশের সর্বত্র আলোচনা ও সমালোচনা চলছে তখন পিনাক রঞ্জনের এ ধরণের আক্রমণাত্মক ও বিদ্বেষী মন্তব্য স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হানার শামিল । তারা বলেছেন, কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত এ ধরণের কথা বলার এখতিয়ার রাখে না ।
বাংলাদেশের সাবেক পানিসম্পদ সচিব ও পানি বিশেষজ্ঞ এম আসাফউদ্দৌলা ভারতীয় হাইকমিশনারের এ বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, পিনাক রঞ্জনের বক্তব্য এটা প্রমাণ করছে যে, ভারত টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণ করবেই । তিনি বলেছেন, ১৯৭২ সালে যদি ভারত এই বাঁধ নির্মাণের কথা বলে থাকে তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে এর ব্যাখ্যা দেয়া উচিত । আসাফউদ্দৌলা বলেন, আসলে বর্তমান সরকারের ইঙ্গিতেই ভারতীয় হাইকমিশনার এ ধরণের মন্তব্য করার সাহস পাচ্ছে । তিনি ভারতীয় হাইকমিশনারের এ ধরণের বক্তব্যকে কূটনৈতিক শিষ্ঠাচার বহির্ভূত বলে মন্তব্য করেন । সাবেক পানি সম্পদ সচিব বলেন, পানি সম্পদ বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি করার কোনো প্রয়োজন হয় না । যেসব দেশ এ ধরণের সমস্যা পড়বে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারা প্রতিবাদ জানাতে পারবে । আসাফউদ্দৌলা প্রশ্ন করে আরো বলেন, টিপাইমুখে বাঁধ হলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কাজেই আমরা এর বিরোধীতা করে বক্তব্য তুলে ধরবো। কিন্তু এ ব্যাপারে পিনাক রঞ্জন কথা বলার কে ? তিনি বলেন, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলার এখতিয়ার ভারতীয় হাই কমিশনারের নেই । ফলে তার এ ধরণের মন্তব্যের জন্যে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা উচিত ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মোহসিন এ সম্পর্কে বলেছেন, কমন ইস্যুগুলোতে যে কোন দেশই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিবাদ জানাতে পারে । ভারতীয় হাই কমিশনারের মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে পিনাক রঞ্জন মূলত আধিপত্যবাদী শক্তির পরিচিয় দিচ্ছে । আমেনা মহসিন বলেন, ভারতীয় হাইকমিশনারের এ ধরণের মন্তব্য বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল । তিনি বলেন, একজন রাষ্ট্রদূত এ দেশের বিশেষজ্ঞমহলকে তথাকথিত বিশেষজ্ঞ বলার সাহস পায় কি করে ? আমেনা মোহসিন বলেন, পিনাক রঞ্জন অব্যাহতভাবে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন আর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদই করা হচ্ছে না । তার ভাষায় - আসলে বর্তমান সরকার ''সাব সার্ভিনেন্ট রোল প্লে'' করছে । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি যাতে আবারো সংঘাতের দিকে না যায় সময়ক্ষেপণ না করে সরকারকে সে ব্যাপারে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে । #



একজন রাষ্ট্রদূত এ দেশের বিশেষজ্ঞমহলকে তথাকথিত বিশেষজ্ঞ বলার সাহস পায় কি করে ?
সরকার কেন এর প্রতিবাদ করছে না ?
সরকার আর তাদের বক্তব্য যে একই ধরনের কেন ?? তাহলে সরকার নিজেই কি ....আসলে বর্তমান সরকার ''সাব সার্ভিনেন্ট রোল প্লে'' করছে

পিনাক সহ সকল দালালদের বহিকার চায় অনতিবিলম্বে
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×