আমারা বাঙ্গালীরা কেনো জানি বিবেদে জড়িয়ে পড়ি সব সময়। একসাথে কাজ করার কোনো রকম মন মানসিকতা একদম নেই বললেই চলে। সেটা শুধু রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক জীবনে এর প্রভাব দেখতে পারি আমরা। আমাদের বাঙ্গালী পরিবারগুলিতে দেখবেন এক অসহনীয় অবস্থা যা কম বেশী সবাই অবগত। ভাই-ভাইয়ে অমিল, বাপ-বেটায় অমিল। পরিবারে যেনো শুধু অমিল আর অমিলই। আর এই অমিলের প্রভাব গিয়ে পড়ছে সমাজে তারপর আমাদের রাষ্ট্রে। ১৯৭১ এর পর থেকে আমাদের মধ্যে অমিলটা যেনো আরো পাকাপোক্ত হলো। আর তারপর থেকে আমাদের মধ্যে তৈরী হলো স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি। এই বিবেদে আমরা এমনভাবেই জড়িয়ে গেছি যেনো এর থেকে বেড়িয় আসার কোনো রাস্তাই নেই। আসল কথা হলো রাস্তা ঠিকই আছে কিন্তু আমাদের বাঙ্গালী সমাজের বিবেদের মন-মানসিকতাই আমাদের একতাবদ্ধ হওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে আছে। বাঙ্গালীরা (বিশেষ করে বাঙ্গালী মুসলমানেরা) নিজেদের ভালো-মন্দ এখনো মনে হয়না বুঝতে পেরেছে। অতীত ইতিহাসও আমাদের শিক্ষা দিতে পারেনি। সব চাইতে বড় কথা হলো আমরাই শিক্ষা নেইনি। আমাদের বাঙ্গালীদের ভালো কিন্তু অন্য কেউ এসে করে দিবে না। বরং তারা খারাপটাই বেশী চাইবে। আর সেই খারাপের অংশ হিসেবে তারা আমাদের মধ্যে বিবেদ ডুকিয়ে দিয়েছে। আর আমরাও সেই বিবেদটাকে স্বাগত জানিয়ে এর মধ্যে জড়িয়ে পড়ছি আরো বেশী বেশী করে। আমাদের দেশের নেতা-নেত্রীরা বিরোধী দলে থাকলে এই দেশটাকে জংগী রাষ্ট্র বলে প্রচার করে বেড়ায় দেশে বিদেশে। সত্যিই বিদেশীদের (কয়েকটা রাষ্ট্র) ষড়যন্ত্র স্বার্থক হতে চলেছে। আমাদের মধ্যে বিবেদ উস্কে দিয়ে তারা ফায়দা লুটছে। আর আমরা বাঙ্গালীরা একে অপরে বিরোধে জড়িয়ে করছি নিজেদেরই সর্বনাশ। আর এটা যদি আরো কয়েকটা বছর চলতে থাকে তবে আমাদের জন্যে অপেক্ষা করছে একটি মহাবিপদ। জানিনা, আমরা একতাবদ্ধ হতে পারবো কিনা। তবে এটা সহজেই বুঝতে পারি, আমাদের একতাবদ্ধ হওয়া জরুরী।
সব দলের একতাবদ্ধ হওয়া জরুরী, নয়তো ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।