আমি আমার জীবনে বহুবার ডা: জাকির নায়েকের লেকচার শুনেছি। কই ... আমি তো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হই নাই। আমি মুগ্ধ হয়ে তাঁর যুক্তি ও তর্ক খন্ডনের ক্ষমতা দেখেছি, দেখেছি সবধর্মের সহঅবস্থানের আহ্ববান। যার ফলে হয়েছি সংস্কারমনা একজন মুসলমান। আমার জানা মতে তিনি কোন লেকচারে যুদ্ধ, নর হত্যা বা বিদ্রোহের কোন ইঙ্গিত বা ইচ্ছা পোষন করেন নি। যর্থাথ যুক্তি উপস্থাপন ও সুন্দর সাবলীল ভাষায় প্রত্যেককে সন্মান জানিয়ে তিনি ইসলাম প্রচার-প্রসার, অন্য ধর্মালম্বীদের আমন্ত্রণ জানানো এবং যর্থাথ রেফারেন্স দিয়ে তিনি তাঁর প্রতিটি লেকচার প্রদান করেছেন। এতে করে ডা: জাকির নায়েকের অনুসারিরা ধর্মান্ধ বা কুসংস্কারচ্ছন্ন মনোভাব সম্পন্ন হয়নি বরং সম্যবাদের আহ্ববান ও সত্যিকারের মুসলমান হতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
ডা: জাকির নায়েক যদি তাঁর লেকচারে সত্যিই জঙ্গিবাদ শেখায় বা সন্ত্রাসবাদকে উসকে দেয়, তবে তার জন্য দায়ী হতো ঐসমস্ত ধর্ম গ্রন্থ (নাউযুবিল্লাহ্) কেননা, তাঁর প্রতিটি লেকচারে প্রতিটি প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআন-হাদীস, পবিত্র বাইবেল, পবিত্র গীতা থেকে উপযুক্ত রেফারেন্স ব্যবহার করেছেন। কিন্তু চিরন্তর সত্য এই যে, কোন ধর্ম গ্রন্থই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না।
হতে পারে গুলশান ট্রাজেডিতে হামলাকারীরা ডা: জাকির নায়েকের ভক্ত। মনে রাখতে হবে, হামলাকারীরা তাঁর লেকচারে ইসলামের প্রতি আসক্ত হয়েছে, আর ওদের গডফাদারদের ব্রেনওয়াসের ফলে তারা জঙ্গি হয়েছে। পারিবারিক সামাজিক বন্ধন ও ধর্মীয় অনুশান তাদেরকে আটকাতে পারে নাই।
আমি র্নিদ্বিধায় বলতে পারি, জীবন চলার পথে আমার নবীজি আমার আদর্শ। আমার শিক্ষাগুরু হিসেবে বিমল বক্ত স্যার আমার আদর্শ। বজ্রকন্ঠস্বর ও মহান নেতা হিসেব বঙ্গবন্ধু আমার আদর্শ। যার কবিতা ও লেখনী সত্যিকারে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলার অনুপ্রেরণা যোগায়, সে হলো কাজী নজরুল ইসলাম। যুক্তি খন্ডন ও প্রীয়ভাষী হিসেবে ডা: জাকির নায়েক আমার আদর্শ। উনাদের শিক্ষা আমি মানুষ হয়েছি কি হই না, তা বলতে পারবে আমাকে যারা চিনেন, কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলতে অমানুষ হই নাই।
দু:খের বিষয় ডা: জাকির নায়েক পরিস্থিতির স্বীকার। সুযোগ সন্ধানী কিছু মানুষের প্ররোচণায় ডা: জাকির নায়েকে আজ আমরা হারাতে বসেছি। আরো পরিতাপের বিষয় সরকার কোন যুক্তির ধার না ধরে শুধু ভারতকে অনুসরণ করে বাংলাদেশে পিস টিভি বন্ধ করে দিয়েছে। আরে কান ব্যাথা হলে কী কাল কেটে ফেলতে হয় নাকি উপযুক্ত চিকিৎসা করতে হয় !
বলাই বহুল্য প্রবাদ আছে ‘অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী’। আর একটি চিরন্তন সত্য মেসেজ হলো জীবন বিপন্ন হওয়ার আশংকা থাকলে তুমি তাকে/হামলাকারী আঘাত করতে পারো। এখানে পুরো বক্তব্যটি না পড়ে শুধু ‘আঘাত করতে পারো’ এই কথাটি কোড করে নিউজ বা বিচার করলে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরীর মতো ঘটনা ঘটবে।
আরো দু:খজনক হলুদ সাংবাদিকার ভীরে ডা: জাকির নায়েককে এখন বলা হচ্ছে বিতর্কিত লেকচারার। আরে আগে যখন সব ঠিকঠাক ছিল তখন তো ডা: জাকির নায়েক কে ভাল ভাবেই সম্ভোধন করা হতো। উল্লেখ্য বাংলাদেশে রাজাকারদের যখন ফাসি দেওয়া হয় তখন বিবিসি, সিএন এন সহ বৈদেশিক সাংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হয় যে, বাংলাদেশ সরকার সেই দেশে ধর্মীয় নেতাকে ফাসি দিয়েছে। এমন হলুদ সাংবাদিকতায় আমি আহত ও দু:খিত হই। আরে রাজাকার আবার কবে থেকে দেশের ধর্মীয় নেতা হলো।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যর্থাথই বলেছেন যে, যারা জঙ্গি হামলা করে তারা ইসলামের শত্রু, তারা সন্ত্রাসী।
সবশেষে, আশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, বাংলাদেশে পিস টিভি সম্প্রচার আবার শুরু হবে এবং আমার আবার ডা: জাকির নায়েকের বক্তবে যর্থাথ শিক্ষা অর্জন করতে পারবো।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪