চাঁদাবাজ: হ্যালো আমি রাশেইদ্য বলছি ।আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তমুক দলের ছাত্র সংগঠনের টোকাইদের সভাপতির দায়িত্বে আছি।
প্রগ্রামার : সালাম টোকাই-পতি সাহেব কি ভাবে আপনার সহযোগীতা করতে পারি?
চাঁদাবাজ: হালার পুত তুই আমাকে দুনিয়া থ্যাইকিা সরাই দিবি । তোর ঠিকানা বল আমি তোর কাছে যাবো তোর পোলাবান লইয়া রেডি থাক, আমি আমার পোলাবান লইয়া যাচ্ছি ।
প্রগ্রামার : আপনাকে তো আমি চিনি না , আপনাকে সরাই দেব কেন? আমি তো মানুষকে দুনিয়া থেকে সরানোর কাজ করি না । আপনার কথা টোকাইদের মতো মনে হচ্ছে, যাই হোক আমার বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন সেই সুত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি একটা রেসপেক্ট আছে ।
চাঁদাবাজ: আমাকে তোর চিনার লাগবো না ,আমার পোলাবান তোরে আমাকে চিনাই দিবে , তোর ঠিকানা বল তুই কোথাই? তুই ঢাকা শহরের যেখানেই থাক তোরে হাত পা বাধিয়ে চিরেদিনের মতো পুকুরে ডুবাই দিবো ।
প্রগ্রামার : আপনাকে যে আমি দুনিয়া থেকে সরাইতে চাইছি তা কার কাছে শুনলেন ।
চাঁদাবাজ: তুই সোহ্যালার কাছে বলেছিস , আমাকে সরাই দিবি ।তুই উত্তরার কোথায় খাকিস বল ,তোর চেহারা দেখতে ইচ্ছা করছে ।
প্রগ্রামার : সোহ্যাল আবার কে? হ্যা রাশেদ্যা কে সরাইতে চাইছি, আপনি যদি সেই রাশেদ্যা হয়ে থাকেন তাহলে সোহ্যাল কে নিয়া থানায় যান গিয়া আমার নামে একটা জিডি করেন।
চাঁদাবাজ: জিডি যে করমু তোর ঠিকানা টা বল..
প্রগ্রামার : ঠিকানা সোহ্যালের কাছে জেনে নিবেন , না জনলেও সমস্যা নেই , থানায় গিয়া বলবেন আমি কিভাবে, কোথায়, কি দিয়ে প্রান নাশের হুমকি দিয়াছে... বাকি কাজ পুলিশ আইন আনুযায়ী ব্যাবস্তা নিবে ।
চাঁদাবাজ: তোর কথ্যা শুনার আমার টাইম নাই , তোর ঠিকানা বল, তোর জন্মের মতো শিক্ষা দিয়া আসি , তুই করিস কি?
প্রগ্রামার : একটা সফটয়ার কম্পানিতে চাকরি করি ।
চাঁদাবাজ: আমার এক দোস্ত স্যামসাঙ এ চাকরি করে । তোর কম্পানীর নাম ঠিকানা বল । তুই মনে হয় আমার কোন দোস্তদের আন্ডারে চাকুরি করে থাকবি...
প্রগ্রামার : আপনার দোস্তরা আমাদের বস হয়েছে! আপনি এখনো ছাত্র কেন ? সারা জীবন কি ছাত্র থাকবেন...
চাঁদাবাজ: আমি তো কম্পুটারের পরি নাই( চান্স পায় নাই)। আমি তো চাকরি করবো না, চাকরি দিবো , তোদের মত সফটোয়ারদের ডাটা এন্ট্রির কাজের ব্যাবস্তা করে দেবো । আমার ১০ লাখ টাকা কালেক্ট আছে আর ১০ লাখ কালেক্ট করতে পারলে আমার কম্পানিতে তোর চাকরি দেব , তোর ঠিকানাটা বল....
প্রগ্রামার : কঙ্গ্রাচুলেশন !!! তাহলে আগে কম্পানি দেন , তার পরে আমাকে ডাটা এন্ট্রি পদের নিয়োগ পত্র পাঠান , আমি আপনার অফিসে জয়েন করলে আপনার আমার কাছে আসার লাগবো না , আমি আপনার অফিসে যাবো প্রতিদিন ।
চাঁদাবাজ: ওই ..পুত তোর ঠিকানা তো বলিস না, জানে তোর ভয় আছে । তোর দিয়ো কাজ হবে ..
প্রগ্রামার : আপনার তো অনেক পাওয়ার আমার ঠিকানা বের করে ফেলেন..
চাঁদাবাজ: ঔই মিয়া তোর ঠিকানা পাবে ক্যামনে..
প্রগ্রামার : আপনার কিছু টোকাইকে বিটিআরসি অফিসে পাঠাই দিয়ে আমার নাম্বার এর লোকেশণ পেয়ে যাবেন । আপনাদের নাম শুনলে সালাম করে সব কিছুই দেবে ।
চাঁদাবাজ: খানকির...ছাওয়ল তুই বড় পেচাসিস আমার ১০ লাখ টাকা কালেকশন করার দরকার, তুর সাথে কথা বইল্যা মাথার মধ্য গিট্টু লাইগা গেছেএ গা...
প্রগ্রামার : আপনার মাথায় আমার মত প্যাচ থাকলে তো আপনি আপনার দোস্তের মত বস হতেন,কালেকশন করে খাতেন না ।
চাঁদাবাজ: ...বুঝেছি সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না..(চলবে...)
[ এই লেখা সম্পূর্ন কাল্পনিক , কারো জীবনের সাথে আংশিক বা সম্পূ্র্ন মিলে গেলে লেখক দায়ী থাকবে না ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশর প্রাচ্যার অক্সফোর্ড নামে পরিচিত এতে বিন্দুমাত্র কোন বিরোধ নাই ।ছাত্র সংগঠনের নাম লিখতে না পারর জন্য আমি দুখিত]