
ফ্যাটি লিভার বিষয়ক জনসচেতনতামূলক নাটক
পৃথিবীতে নতুন নীরব ঘাতক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মাদকহীন অস্বাস্থ্যকর খাবারজনিত লিভারের রোগ বা নন-অ্যালকোহলিক স্টেয়েটোহেপাটাইটিস সংক্ষেপে ‘ন্যাশ’, যা থেকে বাঁচতে হলে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার, স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে বেশি জরুরি। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী লিভার রোগ হলো নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার তথা ন্যাশ। পৃথিবীর প্রায় এক-চতুর্থাংশ লোক ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। বাংলাদেশে ৩২ থেকে ৩৫ শতাংশ লোক এই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সাথে সাথে বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। তাদের পরিশ্রম করার প্রবণতা কমে গেছে, বাসার খাবারের পরিবর্তে ফাস্ট ফুড ও রে¯েঁÍারার খাবারের অভ্যাস গড়ে উঠেছে, হাঁটার পরিবর্তে গাড়িতে চলাচলের প্রবণতা বেড়েছে। এতে শরীরের ওজন বৃদ্ধি ও ফ্যাটি লিভার রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে ব্যাপক জনসচেতনতা। মানুষের মধ্যে সচেতনতা লক্ষ নিয়েই আমাদের এই উপস্থাপনা।
চ রি ত্র লি পি..........................................................................
রতন.......................................................................................
মানিক.......................................................................................
ডাক্তার.......................................................................................
সবুর আলী..............................................................................
রোগী-১.......................................................................................
ভোজন রসিক..........................................................................
রোগী-২.......................................................................................
রোগী-৩.......................................................................................
রোগী-৪.......................................................................................
রোগী-৫.......................................................................................
ন্যাশ মানে শ্যাষ না.................................................................................................
পুরো দল গাইতে গাইতে মঞ্চে আসে।
সমবেত: আরে পইড়াছে ঢোলে বাড়ি শোনেন শোনেন ভাই
আর তো ঘুমাইয়া থাকার নাই রে নাই সময় নাই।
আরে হেলায় ফেলায় কত সময় গেছে রে ভাই কাইটা
খেয়াল করি নাই কখন লিভার গেছে ফাইটা
এখন সময় জাইগা ওঠার ভুল কইরেন না ভাই।।
দলটি গাইতে গাইতে বেরিয়ে যায়। মানিক রতন আসে।
রতন :ও মানিক
মানিক:ও রতন
রতন :ক
মানিক:তুই ক।
রতন : বিষয়ডা কি?
মানিক:ওই তো আগেরটাই।
রতন :না আজকের বিষয়ডা একটু আলাদা।
মানিক:হুম মনে পড়ছে। আজকে যেন কি ?
রতন :ন্যাশ
মানিক:এইটা আবার কি?
রতন :হায়রে তামাশার দ্যাশ চিনে না কারে কয় ন্যাশ
মানিক:খুইল্লা কইবি নাকি?
রতন :আইজ হইল বিশ্ব ন্যাশ দিবস
মানিক:সর্বনাশ দিবস?
রতন :আরে ধুত্তোর ন্যাশ, ন্যাশ মানে হইল মাদকহীন অস্বাস্থ্যকর খাবারজনিত লিভারের রোগ বা নন-অ্যালকোহলিক স্টেয়েটোহেপাটাইটিস সংক্ষেপে ‘ন্যাশ’,
মানিক:হ্যাঁ, ন্যাশ মানে হইল মাদকহীন অস্বাস্থ্যকর খাবারজনিত লিভারের রোগ বা নন-অ্যালকোহলিক স্টেয়েটোহেপাটাইটিস সংক্ষেপে ‘ন্যাশ’, লিভার লিভার লিভার ভালো না থাকলে সব অচল। আরে আমাগো বয়াতী গাইয়া গেছে- মন আমার দেহ ঘড়ি...
রতন :ওরে বাবারে আমি গেছি রে গেছি
মানিক:ও রতন তোর আবার কি হইল?
রতন :আমার তো কলিজা বড় হইয়া গেছে।
মানিক:তাই নাকি তাইলে তো সুসংবাদ। কলিজা বড় হইছে মানে তর সাহস বাড়ছে তর দেওনের হাত খুলছে। দে রে আমারে কি দিবি।
রতন :ধুর হারামজাদা ওইটা তো কথার কথা। আসলেই কলিজা বড় হইয়া গেলে মহাবিপদ। লিভারের জটিল আসুখ। যারে কয় ফ্যাটি লিভার।
মানিক:কস কি রে রতনা। তর হইছে।
রতন :আরে আমি দুষ্টামি করছি। তবে লিভারের অসুখ যার হয় তার সুখ শেষ।
মানিক:হ্যাঁ ভাই জনগণ। কথা সত্যি। সেই কথা বলার জন্যই আমরা দুই ভাই আজ আসছি।
রতন :তবে আর কথা না। আসেন ডাক্তারের চেম্বারের কিছু ঘটনা দেখি। মানুষ নিজেই যে নিজের বিপদ ডাইকা আনে তার কিছু নমুনা।
ওরা গাইতে গাইতে বেরিয়ে যায়।
ডাক্তারের চেম্বার। লিভারবিষয়ক ডাক্তার।
ডাক্তারের বোর্ড ঝুলিয়ে অ্যাটেনডেন্ট সবুর আলী কিছু কাগজপত্র টেবিলে রাখে।
ডাক্তার আসে। ঘড়ি দেখে। সবুর সিরিয়াল নাম্বার ধরে ডাকতে ডাকতে বেরিয়ে যায়।
ছুটে আসে এক রোগী।
রোগী-১:প্লিজ, ডাক্তার সাহেব, আমাকে বাঁচান।
ডাক্তার:সমস্যা কি?
রোগী-১:যতক্ষণ জেগে থাকি ততক্ষণ মনে হয় আমার পাশে জিরাফ বসে আছে। কখনো কখনো শিম্পাঞ্জি এসে খাওয়ার সময় ভাগ বসাতে চায়। তাছাড়া হাতি, গন্ডার, হরিণ তো আছেই। খালি জন্তু জানোয়ারের ভিড়।
ডাক্তার:আপনার খাওয়া দাওয়া।
রোগী-১:তেল নুন ঝাল ছাড়া আমার চলেই না। ফার্স্ট ফুড হইল আমার ফেবারিট মাল। না খাইলে মনে হয় কি জানি মিস করলাম।
ডাক্তার:আপনার লিভারের অবস্থা কী?
রোগী-১:মনে হয় আমার লিভারটা আমার নয় কোনো হাতি ঘোড়ার লিভার।
ডাক্তার:আচ্ছা!
রোগী-১:আর আমার চারপাশে মনে হয় শুধু জন্তু জানোয়ার ভরা। আমি কী করব বলুন ডাক্তার সাহেব।
ডাক্তার:আপনি কি চান?
রোগী-১:আমাকে বাঁচান।
ডাক্তার:আপনি মোটেই চিন্তিত হবেন না, আপনার কলিজা তো অনেক বড়। বাঘের কলিজা। আপনি এক কাজ করেন, শিগগিরই বাড়িতে একটা খাঁচা কিনে তার ভিতরে ঢুকে পড়ুন। আর নয়তো জঙ্গলে চলে যান। সব অসুখ ভালো হয়ে যাবে। লিভারের তো বারোটা বাজাইতেছেন এইবার লোভ সামলান। ওষুধ দিলাম। এক সপ্তা পর দেখা করবেন।
মাথা নিচু করে বিড় বিড় করতে করতে লোকটা বেরিয়ে যায়।
ডাক্তার:ওরে বাবা কোথাকার পেশেন্ট কোথায় এসে পড়ল? নেক্সট।
একজন ভোজন রসিক ভদ্রলোক দুজনের কাঁধে ভর দিয়ে প্রবেশ করে।
ডাক্তার:কি ব্যাপার? কি সমস্যা। বসেন বসেন আরাম করে। কোনো টেনশন করবেন না। এসেই যখন পড়েছেন
দুজন বেরিয়ে যায়।
ভোজন রসিক:দাওয়াতে গিয়ে একটু বেশি খেয়ে ফেলেছি। এখন শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। একটা কিছু করেন ডাক্তার সাহেব।
ডাক্তার তাকে পরীক্ষা করেন।
ডাক্তার: হুম প্রতিদিন কি কি থাকে আপনার খাদ্য তালিকায়?
ভোজন রসিক:এই তেমন কিছু না সকালে ছয়টা পরোটা, গরু বা খাসি ভ‚না একবাটি বুটের ডাল এক বাটি হালুয়া অথবা দুই ফুল তেহারি।
ডাক্তার:মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ
ভোজন রসিক:দুপুরে তিন প্লেট ভাত মাছ মাংস ভাজি ভর্তা। ডাল তো আছেই। অথবা কাচ্চি দেড় প্লেট।
ভোজন রসিক:বিকেলে নাস্তা চারটা আলু পুরি তিনটা ডাল পুরি দুইটা বেগুনি তিনটা আলুর চপ বা বার্গার, ডোনাট, পিৎজা-
ডাক্তার:বাহ বাহ
ভোজন রসিক:রাতে তেমন কিছু খাই না কোনোদিন পাচটা রুটি বা আড়াই প্ল্টে ভাত।
ডাক্তার:আপনার তো ফ্যাটি লিভার। খুব দ্রæত চিকিৎসা করান নয়তো পরে ঝামেলায় পড়ে যাবেন। আপনার খাদ্য তালিকা বদলাতে হবে। পেটুক মানুষও তো এত খায় না। এভাবে লাগামছাড়া খেয়ে যাচ্ছেন খাচ্ছেন বলেই আপনার শ্বাসে প্রবলেম হচ্ছে।
ডাক্তার প্রেসক্রিপশন লিখে দিয়ে বললেন।
ডাক্তার:আপাতত এই ওষুধগুলো কিনে খেয়ে নিন।
ভোজন রসিক:ডাক্তার সাহেব। এই ট্যাবলেটগুলো খাওয়ার জায়গা থাকলে কি আর আইসক্রিমটা না খেয়ে আসতাম! আহ কি মজার আইসক্রিম। কিন্তু আমার পেটে এখন তিল ধারণেরও জায়গা নেই। নড়াচড়া করতে পারছি না।
ডাক্তার:ও এই তাহলে অবস্থা।
ডাক্তার সবুরকে ডাকে। সবুর আসে।
ডাক্তার:ওনাকে নিয়ে যাও। বাইরে দাঁড় করিয়ে আমার অ্যালসেশিয়ান কুত্তাটাকে ওনার পিছনে লেলিয়ে দাও। পেটটা একটু খালি হলে ওষুধগুলো খেয়ে নিতে বলবে।
সবুর এসে রোগীকে জোর করে ধরে।
ভোজন রসিক:এই এই এ কি করছেন ছাড়েন আমাকে ছাড়েন আমার কোনো অসুখ নাই-
সবুর এসে রোগীকে জোর করে ধরে নিয়ে যায়।
ডাক্তার:আশ্চর্য! এদের কোনো পরিমিতি বোধ নেই। এরা বাঁচে কি করে!
পেট চেপে ধরে একজন রোগী আসে।
ডাক্তার:কি সমস্যা?
রোগী-২: ডাক্তার সাহেব আমার পাতলা পায়খানা হয়েছে।
ডাক্তার: কেমন পাতলা?
রোগী-২: এমন পাতলা যে কুলি করা যাবে।
ডাক্তার: ওয়াক থু! মুখে কি লাগাম নেই। চুপ করেন মিয়া।
ডাক্তার: আপনার পেটে গ্যাস জমেছে।
রোগী-২:আস্তে বলুন ডাক্তার সাহেব গ্যাস নিয়ে সারা দেশে টানাটানি; যদি কেউ জানতে পারে তাহলে আমার বারোটা বাজবে!
ডাক্তার: ওকে আমি গ্যাস কোম্পানির কাছে রেফার করে দিচ্ছি। দু পয়সা লাভও হবে আবার গ্যাস সমস্যাও দুর হবে। এদের নিয়ে আর পারা গেল না।
ডাক্তার প্রেসক্রিপশন দেয়।
লোকটা বেরিয়ে যায়।
একজন রোগী আসে। হাঁটতে পারে না।
ডাক্তার:কি ব্যাপার আপনার এই ভাঙ্গাচোরা অবস্থা কেন? খাওয়া দাওয়া করেন না?
রোগী-৩: করি তো।
ডাক্তার:কি খান?
রোগী-৩: আপনি বলেছিলেন এক বছরের শিশু যা খায় তাই খাবেন!
ডাক্তার:খাচ্ছেন তো??
রোগী-৩: পেরে উঠছি নাতো ডক্টর! চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। হচ্ছে না কিছুতেই। ওরা যে কিভাবে এসব হজম করে। খাওয়া নিয়ে এ এক বিরাট যুদ্ধ করতে হয় আমাকে। খাওয়া থেকে মুক্তি চাই ডাক্তার।
ডাক্তার:কি কি খাচ্ছেন?
রোগী-৩: মাটি, জুতার ফিতা, কাগজ, রাবার, পেনসিল, স্যান্ডেল, কলার খোসা-
ডাক্তার:থাক ওসব আর খেতে হবে না। নরম্যালি যা খান তাই খাবেন। আর আপনি এই পরীক্ষাগুলো করে আসেন তারপর বলে দেবো কি কি খাবেন।
রোগী একটা কাগজ হাতে নিয়ে বেরিয়ে যায়।
সাথে সাথেই কোঁকাতে কোঁকাতে একজন ঢোকে।
ডাক্তার:আপনার সমস্যা কি?
রোগী-৪: ভীষণ পেট ব্যথা!
ডাক্তার:আপনার পায়খানা কেমন?
রোগী একটু ইতস্তত করে।
ডাক্তার:বলুন?
রোগী-৪: গরীব মানুষ পায়খানা আর কেমন হবে! তিন পাশে বেড়া আর সামনে ছিঁড়া ছালার পদ্দা। হাত দিয়া টাইনা ধইরা রাখতে হয়।
ডাক্তার:বুঝেছি বুঝেছি। আপনি চা, কফি, মদ, সিগারেট কী কী খান?
লজ্জিত রোগী।
রোগী-৪: কিছু আনতে হবে না, আমি ওসব বাসা থেকে খেয়ে এসেছি।
ডাক্তার:আরে এসব কে আনতে যাচ্ছে? আপনি এসব খান কি না জিজ্ঞেস করছি?
রোগী-৪: কি যে বলেন স্যার। আমি এসব কোনোদিনই খাই না। ওই মাঝে মাঝে দু’এক টান আর দু এক পেগ আর কি।
ডাক্তার:হুম, ওসব ছাড়তে হবে। একেবারে নিষিদ্ধ। আপনাকে লিভারের একটা পরীক্ষা করতে দিয়েছিলাম। করেছেন?
রোগী-৪: এই তো আজই করবো। তার আগে আপনার সাথে একটু দেখা করে গেলাম আর কি হেহেহে।
ডাক্তার:ভালো করেছেন। অনেক ধন্যবাদ।
লোকটা বেরিয়ে যায়।
একজন রোগী আসে।
রোগী-৫: ডাক্তার সাহেব,
ডাক্তার:কী হয়েছে বলুন তো!
রোগী-৫: আমার পাদে এখন আগের মতো আর শব্দ নেই সত্য;
ডাক্তার:কী যা তা বলছেন? ভদ্র ভাষায় কথা বলতে জানেন না? গ্যাস বলুন।
রোগী-৫: জী স্যার, আমার গ্যাসে এখন আগের মতো আর শব্দ নেই সত্য; কিন্তু জঘন্য গন্ধ হচ্ছে- কোথাও একবার দিলে টেকা দায় হয়ে যায় সবার!
ডাক্তার:আমারও তাই হয়েছিল সেদিন! উফ চেম্বারটা সেদিন নরক বানিয়ে দিয়েছিলেন।
রোগী-৫: মানে?
ডাক্তার:মানে জানার দরকার নেই। শুধু এটা জানুন যে আপনার নাক বন্ধ ছিলো এখন ঠিক হয়ে গেছে। এবার কানের চিকিৎসার ওষুধ দিচ্ছি, লিখে নিন। এরপর শুরু হবে লিভারের চিকিৎসা। রিপোর্ট বলছে ফ্যাটি লিভার।
রোগী-৫: ফ্যাটি লিভার?
ডাক্তার:হ্যা ফ্যাটি লিভার। আরো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আপনাকে জানাবো।
রোগী বেরিয়ে যায়। মানিক রতন আসে।
রতন: ও মানিক
মানিক:ও রতন
রতন: ক
মানিক:তুই ক।
রতন : কি বুঝলি?
মানিক:ওই তো আগেরটাই।
রতন :না আজকের বিষয়ডা একটু আলাদা।
মানিক:সত্য কথা। আইজ বুঝলাম অনেক কিছু।
রতন: বুঝলাম রোগের অবহেলা করলে জীবন যাইতে পারে।
মানিক:আর ফ্যাটি লিভার?
রতন :ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় বর্তমানে অনেকেই ভুগছেন। অনেকটা নীরবেই লিভারকে অকেজো করে দেয় এই অসুখ। অনিয়মিত জীবন-যাপন ও অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেকেই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হন।
মানিক:অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত মদ্যপান, উচ্চ রক্তচাপের কারণেও অনেকেই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হন। এছাড়াও বিভিন্ন ওষুধ সেবন বা অন্যান্য রোগের কারণেও ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে।
রতন: ফ্যাটি লিভার অনেকটা নীরব ঘাতক। চিকিৎসা না করালে সেটি লিভার ক্যানসারে পরিণত হতে পারে। এ সময় রোগীর আয়ু দ্রæত কমে যায়।
মানিক:কিন্তু এইখান থিকা আমরা এইটা বুঝতে পারলাম যে ন্যাশ মানেই শ্যাষ না। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করতে পারলে কোনো চিন্তা নাই। ওজন কমিয়ে এবং স্বাস্থ্যসম্মত ওজন ও ডায়েটের মাধ্যমে ন্যাশ প্রতিরোধ করতে পারেন। ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণ বা শরীরের চর্বি কমানোর জন্য ব্যায়াম অন্যতম মাধ্যম।
মানিক/রতন :তাই আসেন সবাই প্রাথমিক অবস্থায় ফ্যাটি লিভার ধরা পড়লে নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



