
খ্রিস্টাব্দ ১৯৪৩, বঙ্গাব্দ ১৩৫০। সারা বাংলায় দুর্ভিক্ষ। ৩০ লাখ মানুষ অভাবের কারণে অনাহার, ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য রোগে মারা গেছে। লক্ষ লক্ষ লোক দরিদ্র হয়েছিল কারণ এই সংকট অর্থনীতির বড় অংশকে এবং সামাজিক কাঠামোকে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। অবশেষে, পরিবারগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পুরুষরা কাজ খুঁজতে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, মহিলা ও শিশুরা গৃহহীন অভিবাসী হয়ে ওঠে, ত্রাণের সন্ধানে কলকাতা বা অন্যান্য বড় শহরে যায়। ভারতবর্ষের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসক যুদ্ধে নিয়োজিত কর্মীদের জন্য বিপুল পরিমাণ খাদ্য মজুদ করায় এই দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ভয়াবহ সংকটের শুরু। মানবিক অর্থনৈতিক সামাজিক সংকট।
সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ভারতের গণপরিষদের দুটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। মুসলিম লীগ লাহোর প্রস্তাব থেকেই উত্তর-পশ্চিম ও পূর্ব ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলসমূহকে 'স্বাধীন রাষ্ট্র' হিসাবে গঠন করার দাবি জানাচ্ছে। ব্রিটিশ রাজের থেকে ভারতীয় নেতৃত্বের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা জন্য ভারতে ১৯৪৬-এর ক্যাবিনেট মিশন তিন স্তরের একটি পরিকাঠামো প্রস্তাব করেছিল: মুসলিম লীগ ও কংগ্রেস দুইদলই নীতিগতভাবে ক্যাবিনেট মিশনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু, মুসলিম লীগ সন্দেহ করেছিল যে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা ছিল অবিশ্বাস্য। ফলস্বরূপ, মুসলিম লীগ ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে পরিকল্পনা থেকে তার চুক্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল এবং ১৬ই আগস্ট প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাক দিয়ে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের নেতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেছিলেন, যে তিনি “আর কিছু নয় বিভক্ত ভারত ” দেখতে চান। সংকট আরো বাড়ে। মানবিক অর্থনৈতিক সামাজিক সংকট। সে আগুন আবার নতুন করে জ্বলে উঠতে চাইছে।
সময় বিশেষ ভালো না, রাজনীতির হাতে দোলে মানুষের জীবন মরন
কি হয় না হয় ভাবনা দোলায় মানব মন আর জীবনের হালচাল।
সব কিছু সুনসান, নীরব নি ঝিম
শূন্যে হাঁক দেয় মহাকাল। কঠিন সময়কাল, কঠিন সময়কাল।
প্রতিবাদের সময় প্রতিরোধের সময়। কিছু একটা করার সময়।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



