বাংলাদেশে খাদ্যনিরাপত্তার পূর্বাভাস (মে - ডিসেম্বর ২০২৫
উৎস: খাদ্য মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের তিন সংস্থা (এফএও, ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপি) কর্তৃক প্রকাশিত 'ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন' (আইপিসি) প্রতিবেদন।
আগামী ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে দেশের দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল এবং রোহিঙ্গাশিবিরসহ ৩৬টি জেলার প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্যসংকটের (IPC Phase 3 - Crisis বা তার চেয়েও খারাপ) সম্মুখীন হতে যাচ্ছে বলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মূল পরিসংখ্যান
খাদ্যসংকটে থাকা মানুষ: প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ।
চরম অপুষ্টির শিকার শিশু: আনুমানিক ১৬ লাখ শিশু (৬-৫৯ মাস বয়সী) তীব্র অপুষ্টিতে ভুগবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষিত এলাকা: দেশের ৩৬টি জেলা এবং কক্সবাজার ও ভাসানচরের রোহিঙ্গাশিবির।
ঝুঁকিপূর্ণ জেলাসমূহ
এই খাদ্যসংকটের ঝুঁকিতে থাকা ১৩টি জেলার নাম প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। জেলাগুলো হলো:
বরগুনা
ভোলা
পটুয়াখালী
বান্দরবান
রাঙামাটি
বাগেরহাট
সাতক্ষীরা
জামালপুর
সিরাজগঞ্জ
গাইবান্ধা
কুড়িগ্রাম
সুনামগঞ্জ
কক্সবাজার (সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ)
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং রোহিঙ্গা শিবিরের প্রায় ৪০% মানুষ এই সংকটের সম্মুখীন হতে পারে।
সংকটের মূল কারণ
প্রতিবেদনে এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করা হয়েছে:
অর্থনৈতিক ধাক্কা: ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি এবং বাজার অস্থিতিশীলতার কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া।
জলবায়ুজনিত দুর্যোগ: বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
অন্যান্য কারণ: মানবিক সহায়তার জন্য তহবিলের অভাব এবং অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করে জানিয়েছেন যে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



