১৯৬৮ সালে পটুয়াখালী পাবলিক লাইব্রেরি থেকে একটা উপন্যাস নিয়ে পড়েছিলাম। উপন্যাস পড়েছিলাম বললে ভুল হবে, আসলে বইটার প্রথম খন্ডটা পড়েছিলাম। বইটার নাম বা লেখকের নাম কিছুই মনে নেই তবে লেখক ভারতীয়। উপন্যাসটার কাহিনীটা কতকটা এরকম : একটা লোকের (কাহিনীর নায়ক) সামান্য এক অপরাধের কারনে আন্দামানে দ্বীপান্তর হয়। কঠোর বন্দী জীবনের সাথে সে নিজেকে মোটেও খাওয়াতে না পেরে সে আন্দামান থেকে পালানোর পরিকল্পনা করে। একটা বন্দী মেয়ের সাথে তার প্রনয় হয়। তার পালানোর পরিকল্পনায় সে মেয়েটিকেও যোগ করে। আন্দমান থেকে পালানোর একমাত্র উপায় সাগর পাড়ি দেবার মত নৌকা যোগাড় করা। এক ব্যবসায়ির কাছ থেকে নৌকা কেনার ব্যবস্থাও হলো। দাম হিসাবে দিতে যোগাড় করে দিতে হবে নির্দিষ্ট পরিমান আবাবিল পাখির বাসা। আবাবিল পাখির বাসা খেয়ে কড়া নেশা হয় আর সেটা যোগাড় করাও খুব কষ্টসাধ্য এবং দামী। অনেক কষ্টে অনেক দিন ধরে যোগাড় হলো প্রয়জনীয় আবাবিল পাখির বাসা। যখন সে নৌকা নিতে গেল দেখল তারই সব থেকে বিশ্বস্ত বন্ধু নৌকা আর তার প্রনয়নী কে নিয়ে তাকে ফেলে সাগর পাড়ি দিয়েছে। নায়ক আবার ফিরে গেলো তার পুরানো যায়গায় পলানোর চেষ্টার অপরাধ মাথায় নিয়ে। এখানেই শেষ হয়েছে উপন্যাসটার প্রথম খন্ড।
২য় খন্ড আর পড়া হয়নি। এখন উপন্যাসটা পড়ার জন্য খুব আগ্রহ অনুভব করছি। কোন ব্লগার ভাই বোন কি উপন্যাসটার নাম ও লেখকের নাম জানিয়ে সাহায্য করবেন।