জগতের প্রায় সকল পুরুষ প্রানী Courtship display-করে। একে পূর্বরাগ বা নারী প্রানীর আস্থা অর্জন করার জন্য পুরুষ প্রানীটির বিশেষ আয়োজন বলতে পারেন। পুরুষ কুশিলব ভালবাসা প্রকাশের জন্য কখনও শারীরিক কসরোত, বিশেষ শব্দ বা শীশ, বিশেষ ভঙ্গি (শরীরে ও বাচনে), উপহার দেত্তয়া, জোগানদার অথবা রক্ষাকারীর ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে। উদাহরন সরুপ বলা যায় ময়ুরের পেখম মেলে ধরা, পাখিদের শীশ দেয়া বা পেখম মেলে নাচা, ঘোড়ার নাকের সাথে নাক দিয়ে ঘষা, ব্যঙ্গের ঘেঙ্গর ঘেঙ্গর ডাক, peacock spider এর অনিন্দ সুন্দর নাচ, নেকড়েদের ওয়ািনিং শব্দ করে একজন আরেকজনকে বোঝার চেষ্টা ইত্যাদি। প্রানী জগতে পুরুষ প্রানীদের এই প্রচেষ্টার ব্যাপ্তি কয়েক মিনিট থেকে মাস এমনকি বছর পর্যন্ত চলতে পারে। সকল পুরুষই তার আকর্ষণের নারীকে পেতে এমন আয়োজন করবে, কিন্তু নারী প্রানিটি সবার আয়োজনে মুগ্ধ না হওয়াটাই স্বভাবিক। যখন কিনা নারী প্রানীটি সাড়া দিচ্ছে না, তারপরও পুরুষটি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্চে তখন সেটা টিজিং এ পরিনত হয়। সকল মানব পুরুষের এই পাখিটা (নিচের মুভি ক্লিপ) থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আপনি চেষ্টা করেছেন এবং তার পছন্দ হয় নাই ওড়ে গেছে, এটা খুবই স্বাভাবিক।
Mating Dance For Unimpressed Female
অন্যদিকে যে নারী সব পুরুষের আয়োজনে মুগ্ধতা প্রকাশ করে এবং পলিগ্যামিতে যুক্ত হয়, সে পতিত হয় পতিতার কাতারে। এরা হাই ভ্যালু পুরুষকে আকর্ষনের যোগ্যতা হারায়। সেজন্য একজন স্বাভাবিক নারী খুব হিসেব কষেই পুরুষের এই বিশেষ পূর্বরাগ এ সাড়া দিবে কারন বংশবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করেই পুরুষ ও নারী প্রানীদের ভেতর এই তাড়নার সৃষ্টি। এক্ষেত্রে একমাত্র নারী সী-হর্স (Seahorse) বাদে অন্য স্তন্যপায়ী (Mammals) নারী প্রানীদের minium parental investment একটি পুরুষ প্রানীর চেয়ে যোজন যোজন গুন বেশি।
আসল কথা হল, আপনি সঙ্গীহীন পুরুষ, আপনি আপনার পছন্দের নারীকে ভদ্রভাবে ইমপ্রেস করার জন্য চেষ্টা করতেই পারেন। যখন সাড়া পাবেন না, স্বসম্মানে ফিরে যান। আর কোন শব্দ হবে না। নারীই এক্ষেত্রে বেছে নিবে সে কার সাথে মিলিত হবে--এটাই প্রানী জগত। এতে কোন নারী জালাতন বা ইভ টিজিং হবে না। ভালবাসার প্রকাশ এবং ইভ টিজিং এর পার্থ্যক্য বুঝে পেখম মেলার চেষ্টে করবেন।
নিচের মুভি ক্লিপ টা মনোযোগ দিয়ে দেখুন---- কিভাবে সে আপনার হতেও পারে অথবা আপনাকে তার নিজের খাবার বানিয়ে ফেলতে পারে। পুরুষ খুব সাবধান।
Peacock spiders, dance for your life! - BBC
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১২