১। আমি ডায়েরি লিখতে পারিনা...লেখা-লেখি...ব্যাপারটাই আমার কাছে বড্ড বিরক্তির...আমি আমার ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনাই খন্ডিতভাবে কিছু মানুষ কে বলেছি...জানি না যাদের বলেছি তারা ব্যক্ত কথাগুলোর গভীরে অব্যক্ত অনুভুতিগুলো কতটুকু বুঝতে পেরেছে/পেরেছিলো...।
২। আমি অদ্ভুতভাবে একটি মনস্তত্ব খেয়াল করেছি। অচেনা-অজানা মানুষের সাথে যেভাবে হৃদয়ের বদ্ধ কুঠুরিতে জমাট বেধে থাকা কথাগুলো বলে ফেলা যায় সেটা কাছের কিংবা পরিচিত জনদের সাথে বলা যায় না। তাই গতরাতে আমার একটি অদ্ভুত ইচ্ছে হল...
৩। জীবনের শেষ দিকে কোনো এক শীতের রাতে কোনো এক স্টেশনে আমার ট্রেনটি অনেক দেরি করবে। আশে-পাশে থাকার কোনো ব্যবস্থাই থাকবে না। আমি ট্রেনের জন্য অপেক্ষমান কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া তরুন কে আমার জীবনের প্রতিটি খন্ড......আমার হাসি...সুখ...আমার লাল-কান্নার, নীল কান্নার গল্প ...আমার প্রতিটি ব্যক্ত-অব্যক্ত
কথা, অনুভুতি...বলতে বলতে আমি কেমন যেন উদ্বায়ী পদার্থের মতো ধীরে-ধীরে হালকা হতে থাকব...অদ্ভুত এক প্রশান্তিতে ছেঁয়ে যেতে থাকবে আমার পুরোটা...আমার ...সবটুকু...ওই অজানা-অচেনা তরুনটি খুব মুগ্ধ হয়ে শুনতে থাকবে আমার জীবনের সাত-কাহন...আলো-আঁধারিতে সে আমার চোখ-বেয়ে পড়া অশ্রুফোঁটা ঠিক বুঝে উঠতে পারবে না...আমার গল্পের শেষ দিকে ট্রেনটি স্টেশনে আসবে...। তরুনটি বলবে,"চলুন, বাকিটা ট্রেনে যেতে-যেতে শুনব"...। আমি মৃদু হেসে বলব...তুমি যাও...আমি পরেরটায় যাব...। ও কেমন যেন ঘোর-লাগা ভাবে বলবে...আচ্ছা...বাই...। ট্রেনটি ছেড়ে দেবে...হারিয়ে যাবে ঘন কুয়াশার মাঝে...আমি একা স্টাশনে বসে থাকব...বিড়-বিড় করে জীবনের কথা গুলো বলে যেতে থাকব...একা...। ভোর হতে থাকবে...শীতের ভোর...ঘন কুয়াশা ভেদ করে যখন সূর্য উঁকি মারবে...মানুষ জন অবাক হয়ে দেখবে একটি মানুষ..................মরে পড়ে আছে...