পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, নিঝুরি গ্রামের সুশীল পার্শ্ববর্তী বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খলিসাগাড়ি গ্রামের সুনিল চন্দ্র বরাতীর মেয়ে রূপালীকে উত্ত্যক্ত করতেন। রূপালী সীমাবাড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। আজ সকাল সাতটার দিকে রূপালী প্রাইভেট পড়তে নিঝুরি গ্রামে বাবু নামের একজন শিক্ষকের কাছে যাচ্ছিল। পথে সুশীল তার গতি রোধ করেন এবং জোর করে ধরে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। রূপালীকে ঘরে আটকে রেখে সুশীল কপালে জোর করে সিঁদুর পরিয়ে দেন এবং বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে চলে যান। এ ঘটনায় রূপালী ক্ষোভে-দুঃখে গলায় নিজের ওড়না পেঁচিয়ে সুশীলের ঘরের ধরনার সঙ্গে বেঁধে আত্মহত্যা করে। ঘণ্টাখানেক পর সুশীল ঘরের দরজা খুলে দেখে রূপালী ধরনার সঙ্গে ঝুলে আছে।
ঘটনা জানাজানি হলে নিঝুরি গ্রামের লোকজন সুশীলকে আটক করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনায় পর থেকে সুশীলের পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
রূপালীর আত্মীয় করতোয়া নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সত্যলোচন বরাতী বলেন, ‘পড়ালেখায় সে খুব ভালো ছিল। এমন ঘটনা তার ভাগ্যে ঘটবে বিষয়টি আমরা ভাবতেও পারছি না।’
সীমাবাড়ী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার সাহা জানান, ইভ টিজিংয়ের শিকার রূপালীর মতো আর যেন কোনো মেয়ে অকালে ঝরে না যায়।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সুশীল জোর করে রূপালীর কপালে সিঁদুর লাগিয়ে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




