আশাবাদীরা ফেসবুকের ১০১টি উল্ল্যেখযোগ্য উপকারি দিক তুলে ধরতে পারবেন নিমিষেই। আর আমার মতো নৈরাশ্যবাদীরা কষ্টেসৃষ্টে হয়তোবা ১০০টি ক্ষতিকর দিক উপস্থাপনে সফল হবো। ৯৯টি আপাতত রইলো শিকেয়। সাধাসিধে ভাষায় আলোকপাত করি ১টি ক্ষতিকর দিকের উপর।
উপক্রমণিকাঃ
ভার্যা ও পতির মান-অভিমান, ঝগড়া-ভালোবাসা, ক্ষোভ-অভিযোগের সম্মিলনে সুখের সংসার। এই সুখী সংসারের দৃশ্যপটে খলনায়ক এখন আর তৃতীয় কোন ব্যক্তি নন। ফেসবুক নামক ভার্চুয়াল সংসার এখন খলনায়কের ভুমিকায় অবতীর্ণ।
ফেসবুক পূর্ব যুগঃ
ভার্যা-পতির ঝগড়ার দ্বিতীয় দিন চলছে। শীতল দৃষ্টি বিনিময় ব্যতীত বাক্যালাপ রহিত। সন্ধ্যার প্রাক্কালে পতি ছোট্ট একটি উপহার রেখে দিলেন ড্রেসিং টেবিলের এককোণায়। ভার্যা রাতের খাবারে ডাইনিং টেবিলে দিলেন পতির পছন্দের কোন রান্না। ব্যস, ফতেহ হলো অভিমান আর রচিত হলো দাম্পত্য জীবনের নতুন এক স্মৃতি।
ফেসবুক পরবর্তী যুগঃ
ভার্যা-পতির ঝগড়ার ২০ মিনিট চলছে। দু’জন দু’রুমে যার যার ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপে স্ট্যাটাস আপডেটে ব্যস্ত। এসব ক্ষেত্রে অবশ্য বেশিরভাগ সময় ভার্যা অধিকতর পটু ও অগ্রগামী। আপডেটের ২ মিনিটের মাথায় দেখা গেলো ভার্যার স্ট্যাটাসে ২৭টি লাইক ও ৩২টি কমেন্টের সমাহার।
আলোচনাঃ
দাম্পত্য জীবনের অনেক নিগূড় তত্ত্বের মধ্যে ঝগড়া বা মান-অভিমান অন্যতম। বলা ভালো অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আর সেটা কি ফেসবুকের মত পাবলিক এলাকায় প্রকাশ স্বাস্থ্যকর? এটা কি অনেকটা পাবলিক প্রক্ষালনের দেয়ালে কাব্য-লেখনীর ন্যায় হয়ে গেলোনা? আর যারা লাইক করছেন বা কমেন্ট করছেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কেও সন্দিহান হওয়া দোষের নয়।
উপসংহারঃ
তাই বলি অন্দরমহলের বিষয়বস্তু অন্দরমহলেই আবদ্ধ রাখাটাই সমীচিন। এতে দাম্পত্য স্বাস্থ্য থাকে রোগমুক্ত, হয় দীর্ঘায়ু।