বিয়ের এক বছর আট মাসের মাথায় অবশেষে মিসেস এর বহু প্রতীক্ষিত মধুচন্দ্রিমায় রওনা দিলাম। স্বাভাবিকতঃ মধুচন্দ্রিমা মানেই সাগরবিহন। চমতকার দু'টি দিন কাটিয়ে ফেরার দিন ভোরে সৈকতে গেলাম সমুদ্রকে বিদায় জানাতে। মৃদু, মৃদু ঢেউ আছঁড়ে পড়ছে তীরে। আপনমনে পাশাপাশি হাঁটছিলাম দু'জন। আকাশ ধীরে ধীরে লালচে থেকে সোনালী আভা ধারণ করছে।
আচমকা একটা বড় ঢেউ এসে ভেঙে পড়লো পায়ের কাছে। অবাক হয়ে একে অপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলাম। পানি সরে যেতেই দূরে অস্পষ্ট কিছু একটা লেখা বালির উপর ফুটে উঠতে দেখলাম। হন্ত-দন্ত হয়ে কাছে গিয়ে যা পড়লাম, নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মিসেস কে বললাম পড়ে শোনাতে। শুনেও বিশ্বাস হলোনা। মিসেসের কাছ থেকে কামানসদৃশ ক্যামেরাটা ছিনিয়ে নিয়ে ঝটপট অনভ্যস্ত হাতে ছবি তুলে ফেললাম। জানি, বললে কেউ বিশ্বাস করবেনা। তাই প্রমাণ হিসেবে ছবি তুলে রাখা।
বালির উপর গোটা গোটা অক্ষরে লেখা "রাজাকারের ফাঁসি চাই"।
আমাদের বঙ্গোপসাগরের সৈকতে এই লিখা ভেসে উঠলে নাহয় একটা অর্থ খুঁজে পেতাম। তাহলে কি সাগর-মহাসাগরেরও আস্তিকতা-নাস্তিকতা আছে? ইণ্ডিয়ান ওশেন আর প্যাসিফিক ওশেন কি গোপন কোন আতাঁতে লিপ্ত? নাকি এটা খামখেয়ালি প্রকৃতির নিছক কোন খেলা?
লোকেশনঃ Tekek beach, Tioman Island, Malaysia
ডিসক্লেইমারঃ কেউ বিশ্বাস না গেলে তার জন্য লেখক দায়ী নহে। বাঁশেরকেল্লার "পটোশফ" যদি হজম করবার পারেন, ইহাও পারিবেন।।