করোনারে আতংকে আজ সারা বিশ্ব। অনেক দেশে মৃত্যুর মিছিল। আমাদের দেশেও এই করোনার আতংকে সবাই দিশেহারা পাশাপাশি করোনা উপলক্ষে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে আরও দিশেহারা। করোনার নির্দিষ্ট কোন প্রতিষেধক না থাকায় আপাতত সবাইকে যার যার অবস্থানে থাকার জন্য এবং হাত ধোয়ার কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য বলা হচ্ছে যেন এই করোনা ভাইরাস সংক্রমিত না হয়। কেননা করোনা ভাইরাস নিজ থেকেই আপনার কাছে আসবেনা, কারও মাধ্যমে আপনার শরীরে সংক্রমিত হবে এবং আপনি যখন সেই ভাইরাস নিয়ে বাসায় থাকবেন আপনার জন্য আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও সংক্রমিত হতে পারে।
বাংলাদেশ সরকার করোনা প্রতিরোধে আমাদের দশদিন ছুটি ঘোষণা দিল যেন আমরা সবাই নিজ গৃহে অবস্থান করি। আর যে যার জায়গায় অবস্থান করলে এই রোগ আর অন্য কারও শরীরে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।সরকার পুরো দেশকে লকডাউন করে দিয়ে আমাদের দেশের জনগণকে বাঁচাতে চাইল, চাইল আমরা যেন সবাই সুস্থ থাকি এবং এই সুযোগে পরিবারকে সময় দিতে পারি।এমন সাধারণ ছুটি কিন্তু আমরা খুব কম ই পায়। ক্ষেত্রবিশেষ সরকারি কর্মকর্তারা এমন ছুটি পেলেও বেসরকারী এবং অন্যান্য জনগণ এমন ছুটি খুব কম ই পায়।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বাস্তবে যেটা ঘটল
আমরা নিজ গৃহে অবস্থানের জন্য ছুটি পেলাম। যে যেখানে আসি সে যেন সেখানেই থাকি তাহলে এই করোনা ভাইরাস এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারবেনা। করোনা ভাইরাস কে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে হলে অবশ্যই কারও শরীরে অবস্থান করেই যেতে হবে, যেমন করোনা ভাইরাস কারও শরীরে অবস্থান করেই বিমানে চরে আমাদের দেশে এসেছে।
সরকার দশদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পরপরই আমরা করোনা ভাইরাস কে সংক্রমণ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়ে যে যেভাবে পারলাম শহর থেকে গ্রামের দিকে ছুটতে লাগলাম। রেলস্টেশনে ভীড় করতে লাগলাম যেন একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে খুব সহজেই সংক্রমণ হতে পারে। বাসে করে লঞ্চে করে এই ভাইরাস কে আমরা এক জায়গা থেকে আরেকজায়গায় নিয়ে যাচ্ছি। গ্রামে ফিরে বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি, একসাথে বসে চায়ের আড্ডা, তাসের আড্ডা, লুডুর আড্ডা এবং খোসগল্পে মগ্ন হচ্ছি। সাধারণ ছুটিটা এমন পরিবেশে হয়েছে যেন ঈদের চেয়েও আমরা বেশি খুশি হয়েছি।
একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায় ইতালিতে মৃত্যুর মিছিল, ইতালিও এমনটা ভেবেছিল কিছু হবেনা কিন্তু ওদের চাইতে করোনা ভাইরাস দ্রুত গতিতে ছিটিয়ে পড়েছে। আমাদের দেশেও এই ভাইরাসের সঠিক তথ্য আমরা পাবনা কেননা টেস্টিং কিটের কমতি সহ সঠিক তথ্যে পাওয়ার ব্যাপারেও সন্দেহ থেকে যায়।
আসুন সবাই নিজ গৃহে অবস্থান করি, নিজেকে এবং পরিবারকে বাচাই, ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুই, মুখ চোখ নাকে হাত না দিই, হাচি কাশি শিষ্টাচার মেনে চলি এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামায কায়েম করি।