এবারের ঈদের আনন্দ বয়ে গেল পরী আর প্রসঙ্গ কে ঘিরে। প্রায় দীর্ঘ ৪ঘন্টা একসাথে ব্যাস্তময় প্রেমনগর গুলোতে ঘুরাঘুরি আর দুষ্টুমিষ্ট খুনসুটি করতে করতে বাসায় ফিরার কথা ভাবতেই সময়ের কাটা রাত ৯টা ২৪।
এক সাথে ২জন হাটছে ২ইজন ই বেশ ক্লান্ত ২জনের ই গায়ে লবনাক্ত নোংরা ঘামের প্রলেপ জমে আছে তবে পাশাপাশি হাতে হাত রেখে হেটে পথ চলার অনুভূতি টা কেহ ই মিস করতে চায় না তাই অদৃশ্য ইচ্ছার সম্মিলিত চাওয়াতেই এভাবে প্রায় আধ ঘন্টা যাবৎ হেটে চলেছে তো চলেছেই...
হঠাৎ ঘোর ভাঙলো পরীর। একি!!! কখন থেকে ২জন উল্টো পথে হেটে চলেছে...
পরীর তো মুখে পুরো বিষন্নতার ছাপ কিন্তু ২চোখ জুড়েই অন্যরকম এক আনন্দময় অনুভূতির হাসি,
এর মধ্যেই হঠাৎ ঝড়ো বৃষ্টি নিঃসঙ্গের হাত ধরে পরী দৌড়ে গিয়ে এক আম গাছ তলায় দাড়িয়েছে। এতক্ষন কত গাড়ী ছিলো অথচ এখন একটি গাড়ীও নেই প্রায় ১৩মিনিট ২জনে বৃষ্টিতে দাড়িয়ে ভিজছে আর অপেক্ষার প্রহর গুনছে কখন একটি গাড়ী আসবে প্রসঙ্গ কিন্তু পুরো চুপ যার চাঞ্চল্যতা আর দুষ্টুমিতে পরীর দম নেয়ার সময় নেই সেই নিঃসঙ্গ কেন এতটা চুপ কি দেখছে এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে ভাবতে ভাবতেই পরী নিঃসঙ্খ কে বলে ওঠে এই কি হল কি..
এরমধ্যেই চোখে সিএনজির লাইটিং ফোকাস চোখে পড়ে তাদের। ইশারা দিয়ে ডাকতেই সিএনজি এসে হাজির। বেশ চটপট করেই ওঠে গেল সিএনজিতে। মামা খিলক্ষেত নামিয়ে দিলেই হবে বলে উঠল প্রসঙ্গ। ঝুম বৃষ্টিতে ইউ টার্ন করেই সিএনজি শাহবাগ থেকে খিলক্ষত এর দিকে টান...
এদিকে পরী তার হলদে রঙের ওড়না দিয়ে নিসঙ্গের মাথা মুছে দিতেই পরীকে কাছে টেনে ধরে চুমো খাওয়ার ব্যার্থ প্রচেষ্টা চালায় প্রসঙ্গ।
এরপর কিছুক্ষণ ২জন ই চুপ।
প্রসঙ্গ বিষন্নতায়, আর পরী অসহায়ত্ত্বের অনুভূতির সাগরে অতল ডুব। হঠাৎ করেই আবার পরী গলা থেকে নিজেই ওড়না টা টেনে হাতে নিয়ে সেটা কে মেলে টাঙিয়ে দেয় সিনজির মাঝামাঝি অবস্থানরত শিকের ফাকা বেড়াটিতে,
ব্যাস!!!
সিএনজির আধারেই চলতে থাকে ২জনের নিঃশ্চুপ নিরবতা খাওয়ার আনুষ্ঠানিকতা,
একে অপরের চোখে চোখ, ঠোটে ঠোট, হাত হাত আর বৃষ্টিভেজা হিংসুটে আধার কালো রাত।
ছোট ছোট নিঃশ্বাস ঘিরে আলতো চুমোর শব্দ ওহ সময়টা কেমন যেন নিঃস্তব্ধ....
চলছে গাড়ী খিলক্ষেতের পথে আদৌ কি খিলক্ষেত যাওয়া হবে?? নাকি-
সারারাত ই একটি গোল চক্কর ঘিরে গাড়ির ইউ টার্ন ই চলতে থাকবে.............
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০৩