somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তিযুদ্ধের কিছু ধারণা কিছু তথ্য কিছু বিতর্ক

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুক্তিযুদ্ধের কিছু ধারণা কিছু তথ্য কিছু বিতর্ক
জাহাঙ্গীর আলম শোভন

সারা পৃথিবীতে লিবারেশন ওয়ার ইংরেজীতে ব্যবহার করা হয়। এর বাংলা করতে গিয়ে আমাদের দেশে সাধারণত ২টি টার্ম ব্যবহার করা হয়। ১. মুক্তিযুদ্ধ। ২. স্বাধীনতাযুদ্ধ, হিন্দি ও উর্দূতে অবশ্য আযাদী শব্দটি ব্যবহার করা হয়। লিবারেশন মানে স্বাধীনতা বা মুক্তি, আযাদী মানেও তাই। যখনি এটাকে আমরা একটা টার্ম এর স্থলে নাউন হিসেবে ব্যবহার করবো মানে বিষয়টাকে একটা নাম দেবো তখন কিন্তু আমাদের যেকোন একটা বেছে নিতে হবে। এর বাইরে একে যে কেউ যেকোনো বিশেষনে ব্যবহার করতে পারেন।

কিন্তু আমাদের এখানে শব্দের ব্যবহারেও বর্নবাদ আছে। মানে এখানে ভাষাগত ব্যাপারেও রয়েছে রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতা। সহজ ভাষায় বলতে গেলে একে রাজনীতিকীকরণ করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ বলে মুক্তিযুদ্ধ আর বিএনপি বলে স্বাধীনতাযুদ্ধ। যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এটাকে মুক্তিযুদ্ধ বলা হয়েছে আর যোদ্ধাদের বলা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা তাই একে মুক্তিযুদ্ধ বলাই অধিক যুক্তিযুক্ত।

মুক্তিযুদ্ধ শব্দটা আমরা আক্ষরিক অর্থে বিশ্লেষণ করলে হয়তো বলা হবে ১৯৭১ সালে আমরা আসলে মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেছি। মূল স্বাধীনতাতো পেয়েছি ১৯৪৭ সালে যখন ব্রিটিশ থেকে দেশ স্বাধীন হয়। কিন্তু এখানে আক্ষরিক বিশ্লেষনের হেতু নেই। কারণ প্রথমত যাহা মুক্তিযুদ্ধ তাহাই স্বাধীনতাযুদ্ধ। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ৭ই মার্চের ভাষণে কিন্তু পরিষ্কার বলে দিয়েছেন ‘‘ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’’। এছাড়া আমাদেও স্বাধীনতা ছাড়াও আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির বিষয়টাও ছিলো তাই এটা মুক্তিযুদ্ধ।

আবার এটা স্বাধীনতাযুদ্ধ, কারণ ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হয় আমাদের নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তান বলতে যা বোঝায় আমরা তার অংশ নয় এমনকি পাশ্ববর্তীও নয়। সূতরাং তৎকালীন পূর্ববাংলা পূর্বপাকিস্তান হওয়ার মাঝেই স্পষ্ট হয় যে পাকিস্তান স্বাধীন হলেও বাঙালী বা বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ১৯৭১ সালে তাই এটা স্বাধীনতা যুদ্ধ। যদি সংযুক্ত পাকিস্তানের এই অংশের প্রাদেশিক সরকারে বাঙালীর নিয়ন্ত্রণ থাকতো অথবা স্বায়ত্বশাষন থাকতো তাহলেও ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতাকে বাঙালীর স্বাধীনতা বলার একটা ভিত্তি থাকতো।

১৯৪৭ -১৯৭০

মনে হয় বিতর্কই আমাদের নিয়তি। আজ যেমন আমরা অহেতুক বিতর্ক করি আমরা বাঙালী না বাংলাদেশী। এক্ষেত্রে আমার মত হলো আমরা দুটোই জাতীয়তার বাংলাদেশী হলেও ভাষাগত দিক থেকে আমরা বাঙালী। সেটাকে আমরা বাংলাভাষী বলে আড়াল করার চেষ্টা করলেও হাজার বছর ধরে আমরা বাঙালী বলেই পরিচিত।
সেরকম বিতর্ক ছিলো দেশ স্বাধীনের আগেও। আমরা বাঙালী না মুসলিম না বাঙালী মুসলমান এ নিয়ে বিস্তর কথাবার্তা সেসময় প্রচলিত ছিলো। ১৯৪৭ সাল থেকেই বাংলা ও বাঙালি প্রশ্নে একটা বিভক্তি ছিল।

একদল মনে করতো: তারা শুধু পাকিস্তানি, তারা শুধু মুসলমান
অন্য একদল মনে করতেন :তারা শুধু বাঙালি,
কিছু মানুষ মনে করতেন তারা বাঙালী মুসলমান। এবং মধ্যবিত্ত বাঙালী মুসলিম শ্রেণী গত ১০০ বছর ধরে এদেশের পরিবর্তনের নিয়ামক হয়ে উঠেছে। এদের একটা অংশ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে যারা নীতি নৈতিকতা ছাড়তে পেরেছে। ফলে তারা দউ দিক থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেনী থেকে ছিটকে পড়েছে। কারণ বাঙালী মধ্যবিত্ত শ্রেনীর ৩টি কমন বৈশিস্ট্য হলো তারা শিক্ষিত ধর্মপ্রাণ ও নীতিবান।
এরমধ্যে অশিক্ষিত শ্রেনী তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষিত করার মধ্য দিয়ে এই শ্রেনীতে প্রবেশ করেছে। ফলে মধ্যবিত্ত শেনী বিকশিত হয়েছে।

ড. শহীদুল্লাহ বলেছিলেন :আমরা বাঙালি মুসলমান। এই বিতর্ক ১৯৪৭-১৯৭০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

আমি বলি কি, যিনি নিজেকে শুধুই বাঙালী তিনি হিন্দু কি মুসলিম সে পরিচয় দিতে চান না। আমরা তাকে সেটা দিতে বলি কেন? তিনি একজন প্রান্তিক বাঙালীই হোন অসুবিধা কি? হয়তো রাষ্ট্রের তথ্যভান্ডারে তার সব পরিচয়ই থাকবে। ধর্ম, বর্ন, অঞ্চল, পেশা, শিক্ষা সব, কিন্তু জাতিগতভাবে পরিচিতি প্রকাশে ওতসব ধর্তব্য নয় হয়েতো।

আবার যিনি ভাবেন তিনি শুধু মুসলিম তাকে বাঙালী বানাতে অতো জোর খাটানোর দরকার কি?

তবুও ভারতে এবং বাংলাদেশে বাঙালী মুসলিম ও বাঙালী হিন্দু - বাঙালী হিসেবে পরিচিত হয়ে আছে।। বাঙালি জাতীয়তাবাদকে প্রধানভাবে এগিয়ে নেয় পাকিস্তান আওয়ামী লীগ এবং তার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানীদের অত্যাচার নির্যাতনে তাদের কাছ থেকে নিজেদের আলাদা করার জন্য বাঙালী জাতিসত্তা আ্সল ভুমিকা রাখে।

মোজাফফর ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি (রুশপন্থীরা) সমাজতন্ত্রী হলেও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে লালন করতো।
ভাসানী ন্যাপও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করতো। এসব দল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়। এটা বাঙালী জাতীয়তাবাদেও ফল। এজন্য আওয়ামীলীগ বলে শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতির পিতা। যদিও এটা আক্ষরিক ও পারিভাষিক দুই অর্থে ভুল। যদি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য এই উপাদী দেয়া হয় তাহলে তা হওয়া উচিত বাংলাদেশী জাতির পিতা। কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধেও মাধ্যমে বাংলাদেশেী জাতিসত্তার জন্ম হয়েছে বাঙালী জাতিসত্তার নয়, বাঙালীতো হাজার বছরের পুরনো এক নৃগোষ্ঠি।

মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি

আগেই বলেছি আজকের বাঙালীর ঐক্যহীনতা বহু পুরনোরোগ। সেই গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধেও আমরা এক হতে পারিনি।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যারা প্রকাশ্যে পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে এবং সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল:

১. পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন) : জেনারেল আইয়ুব খান [ফজলুল কাদের চৌধুরী],
২। পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কাউন্সিল) :মিয়া মমতাজ দৌলতানা [খাজা খয়েরউদ্দিন],
৩। পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কাইউম) : খান আব্দুল কাইউম খান [খান আবদুস সবুর খান]
৪. পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) : নূরুল আমিন
৫. জামায়াতে ইসলামি পাকিস্তান : মাওলানা আবু আলা মউদুদী , [প্রফেসর গোলাম আযম]
৪. নেজামে ইসলামী : মাওলানা ইসহাক
৫. কৃষক শ্রমিক পার্টি : এ এস এম সোলায়মান
৬. পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি : [আবদুল হকের নেতৃত্বাধীন। পাকিস্তানের পক্ষে দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধ করে। ভারতকেই প্রধান শত্রু মনে করতো]
৭. পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি : [মোহাম্মদ তোয়াহার নেতৃত্বাধীন।
৮। চাকমা রাজার নেতৃত্বে উপজাতিদের একটা অংশ
৯। সাম্প্রদায়িক মুসলমানদের একটা সাধারণ অংশ যারা কোনো দলের সাথে ছিলনা। তবে এরা পাকিস্তানকে সমর্থন করলেও কোনো রকম অপকর্মে তারা জড়িত ছিলন।

কারোমতে চীনপন্থি সমাজতন্ত্রীরা পাকিস্তানের পক্ষ নেয়। কেউ আবার পাকিস্তান- ভারত দুই দেশকে সমান শত্রু মনে করতো।
মুসলিম লীগের লোকেরা সকল গ্রুপ থানায়-থানায় শান্তি কমিটি গঠন করে।

এবং কিছু জায়গায় স্বশস্ত্র বাহিনী গঠন করে থাকতে পারে। তবে পাকিস্তান সরকার ঘোষিত রাজাকার আলবদর আলশামস বাহিনীতে মুসলিমলীগ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা যোগ দেয়। তাদের সাথে চাকুরী ও সুযোগপ্রত্যাশী কিছু অন্যদলের নেতাকর্মীও যোগ দেয়। আওয়ামীলীগ কর্মীদের যোগ দেয়ার নজীরও আছে।
খাজা খয়েরউদ্দিনকে আহবায়ক ১০ই এপ্রিল ১৯৭১: শান্তি কমিটি গঠন করা হয় এর মূলে ছিলো মুসলিম লীগ। আর রাজাকার বাহিনী গঠন পক্রিয়ায় জামায়াতের ভূমিকার কথা বলা হয়ে থাকে। পরে গঠিত হয় আলবদর বাহিনী।

আজকের বিতর্ক

আজো বিতর্ক আর বিভক্তির বেড়াজাল থেকে বের হতে পারেনি। বাঙালী প্রজন্ম। কে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এই বিতর্ক এখন আমাদের চেতনাকে বিভ্রান্ত করার রাজনৈতিক হাতিয়ারে পারিণত হয়েছে।

১. যদি বঙ্গবন্ধু প্রথম ঘোষণা দিয়ে থাকেন তো সেটা মেনে নিতে কিসের এত সমস্যা? দ্বিতীয় ঘোষণাটা জিয়াউর রহমান দিলেও দ্বিতীয়টার একটা গুরুত্ব রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা স্বীকার করেন যে জিয়াউর রহমানের ঘোষণার পরই সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়।

২. যদি জিয়াউর রহমান প্রথম ঘোষণাটা দিয়ে থাকেন তাহলে সেটা মানতে অসুবিধা কোথায়। এতবড় একটা দু:সাহস দেখানোর মতো একজন বাঙালী অফিসার ছিলেন এটাইতো অনেক বড়ো ব্যাপার। আর দ্বিতীয় ঘোষণাটা যদি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে কোনো এক আওয়ামীলীগ নেতা দিয়ে থাকেন তাহলে সেটার গুরুত্বতো কোনো অংশে কম নয়। জিয়াউর রহমান সহ সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং পুরো কমান্ডতো বঙ্গবন্ধুকে নেতা মেনে নিয়েই যুদ্ধ করেছে।

জিয়াউর রহমানের ঘোষনার কারণেই। বাঙালী পুলিশ ইপিআর এবং বাঙালী সেনারা এক পথ নির্দেশনা পেয়েছে। শুধু তাই নয়। পাকিস্তানে থাকা বাঙালী সেনা ও অফিসারগণ যারা পালিয়ে এসে যুদ্ধে যোগ দিয়েছে তারা সাহস পেয়েছে সেটা কিন্তু জিয়ার ঘোষান থেকে। কেউ মানুক না মানুক এটাই সত্য। কারণ একজন সামরিক অফিসারের ঘোষনা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। তারা ধরে নিয়েছে সামরিক বাহিনীর বাঙালী অফিসারেরা সংগঠিত হয়ে গেছে। আমাদের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে আর দোটানার সুযোগ নেই। এজন্যে এই ঘোষনার বিশেষ এবং আলাদা গুরুত্ব সবসময় থাকবে।

যদিও জিয়াউর রহমানের ঘোষণা শুনেছে বলে অনেক মানুষের মুখ থেকে শুনেছি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নামে কোনো নেতার কোনো ঘোষণা কোনো রেডিও বা অন্যকোনো মাধ্যমে শুনেছেন বলে এরকম কোনো প্রত্যক্ষশ্রোতা পাইনি। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে আওয়ামী লীগের দাবী মিথ্যা। কিন্তু তাদের কার্য়কলাপ এবং ঘটনার পটভূমিতে তাদের দাবীকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। হয়তো আমরা একে অপরকে স্বীকৃতি দিতে পারিনি বলে সবাই সবাইকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছি।

বঙ্গন্ধুর এই ঘোষনা কিন্তু বাংলার কৃষক শ্রমিক জনতাকে জাগিয়ে তুলেছে। সেটা সরাসরি হোক কিংবা জিয়ার মুখে শেখ মুজিবের নাম শুনে হোক। বাংলার মানুষ তার নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছে। তিনি উপস্থিত না থেকেও নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন। এই যোগ্যতা কিন্তু শুধু তারই রয়েছে। যদিও তাজ উদ্দীন সাহেবের মেয়ের লেখা সাম্প্রতিক বইতে ঠিক সে সময়ে তিনি যুদ্ধ চেয়েছেন কিনা এই বিষয়ে পরিষ্কার করা হয়নি। বা প্রশ্ন তোলা আছে। কিন্তু তা সত্বেও আরো দুটি কারণে তিনি অবিসংবাদিত নেতা। এক। তিনি আসল ফ্যাক্টর বলেই পাকিস্তান সরকার তার সাথে আলোচনা করতে চেয়েছে এবং তাকে গ্রেফ্তার করেছে। দুই: সকল মুক্তিযোদ্ধাই তাকে অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছেন। তাকে নেতা হিসেবে মেনে নেয়ার জন্য আমার মতো মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী প্রজন্মের যদি কোনো সমস্যা থাকে তারা এই দুটি দিক লক্ষ করতে পারেন।

তারপরেই স্থান কিন্তু তাজ উদ্দীন আহমদ এর। আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর যদি এই নেতাও জীবিত থাকতেন তাহলে দেশের চিত্র আরেক রকম হতো। আমরা অন্য এক বাংলাদেশ পেতাম। সেটা হয়তো জিয়াউর রহমানের নবগঠিত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের চেয়ে আরো সুন্দর ও ্ঋদ্ধ হতো। এটা আমার ধারণা। এটা কস্টি পাথরে যাচাই করা নয়। এটা ভুল হলে দেশের কোনো ক্ষতি হবেনা। তাই কেউ একমত হতে পারেন আবার নাও হতে পারেন।

আর আজকের দলে দলে বিভক্তি আর দলাদলির শেকড় সেখানেই প্রোথিত বলে সহজে যেমন ঐক্যের সূর বাজবেনা তেমনি এই খুন গুম এর রাজণীতি হরতাল জালাও পোড়াও থেকেও কিংবা নাস্তিকতার নষ্ট থাবা অথবা জঙ্গিবাদের হিংস্র থাবা কোনোটা থেকেই আমাদের মুক্তি নেই।

কিন্তু আমরা এসব থেকে মুক্ত হতে পারি। প্রতিটি নাগরিক ভিন্ন ভিন্নভাবে আমরা যদি শপথ নেই। হিংস্রতা, মিথ্যা ভাষণ, দূর্নীতি, হত্যা, সন্ত্রাস, রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধন এসবের মধ্যে আমি নেই। তখন এই ভিন্ন ভিন্ন মানুষের অভিন্ন চেতনাই আবার নতুন দিনের সন্ধান দিতে পারে।

ধারণা: নিজস্ব
তথ্য: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল সম্পাদিত ও অন্যান্য সুত্র থেকে।
বিতর্ক: সমসাময়িক
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:১৮
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×