somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেঘের চিঠি - ৭

১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যদি ইচ্ছে করে শুনতে পারো আমার এই গান
সারাটি রাত একাকী বসে
যদি ইচ্ছে করে আকঁতে পারো আমার ছবি
তোমার মনের ক্যানভাসে
মনের অভিমানগুলো হারিয়ে যায় আজ আকাশে
পুরোনো সেই দিনগুলো আসুক নতুন হয়ে
...
যদি ইচ্ছে করে ভাবতে পারো আছি আমি
তোমার কোমল হাতটি ধরে
...
নিয়ে যাবো আমি তোমায় নীল আকাশে
স্বপ্নগুলো ভাসবে তোমার মেঘের সাথে
নিয়ে যাবো আমি তোমায় সুরের ভুবনে
ইচ্ছেগুলো আসবে নতুন গান হয়ে
যদি তুমি বলো...

আচ্ছা মিতা কখনো কি সূর্যোদয় দেখেছো...রক্তিম টকটকে লাল সূর্যটা ধীরে ধীরে তার আভা ছড়াচ্ছে আর সেদিকে চেয়ে চেয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছ?...হয়েছে কখনো এমন?...একবার কি হয়েছে বলি...ফাইনাল এক্সামস্‌ চলছিল তখন...প্রস্তুতি খুব একটা ভালো ছিল না বলে সেদিন ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরিনি...তো রাত ৩ কি ৪টা পর্যন্ত পড়লাম...তারপর ক্যাফেটেরিয়াতে যেয়ে ঘুম...জানো নিশ্চই ফাইনালের সময় ক্যাফে ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে...এত্তোই ক্লান্ত ছিলাম চোখ বুঝতেই ঘুমের রাজ্যে চলে গেলাম...হঠাৎ কি জন্যে জানিনা...৫টার দিকে ঘুমটা হঠাৎ ভেঙ্গে গেল...সঠিক সময়টা মনে নেই...ঘড়ির দিকে চেয়ে উঠে পড়লাম...ভাবলাম সূর্য দেখার এমন একটা সুযোগ নষ্ট করি কি করে!...ঘুমের রাজ্য থেকে পুরোপুরি ফিরে আসলাম...বই খাতা ব্যাগে গুছিয়ে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে কফি কিনে এনে আবার ব্যাক করলাম...কিন্তু সূর্যোদয় এখন কোত্থেকে দেখি...সমস্যা তো!...উমম কি করা যায় ভাবতে ভাবতে মনে হলো উচুঁ কোন জায়গায় যাচ্ছি না কেন!...ব্যাস...সাথে সাথে পেয়েও গেলাম...মেইন বিল্ডিং এর ৭ তলায়...যেই ভাবা সেই কাজ...এলিভেটরে করে ৭ তলায় উঠে ধীরে ধীরে অবলোকন করতে লাগলাম নীল আকাশটাকে লাল রঙ দিয়ে সূর্যের পেইন্টিং করার দৃশ্য...হাতে আমার ধূমায়িত কফির কাপ...দৃশ্যটা কল্পনা করতে পারো!...স্বপ্নের কোন নায়কের মতো লাগছিল নিজেকে তখন...

কথাগুলো তোমাকে বললাম কারণ পরশু রাতেও আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম...সূর্যটা অবশ্য দেখতে পারিনি...কারণ এবার ছিলাম অন্য একটা বিল্ডিং এ...একটা রুমে আবদ্ধ...সূর্যোদয় দেখার কোনো উপায় ছিলনা...পড়ার প্ল্যান থাকলেও সারারাত মুভি দেখেই কাটিয়ে দিলাম...ফলাফল পরের দিন ফাইনালটা চরম রকমের খারাপ দিয়ে এলাম...মী কিছুটা আপসেট সে জন্যে...অবশ্য স্টাডি করেও কোন লাভ হতো কিনা কে যানে...প্রফেসরটা আসলেই চরম রকমের...না থাক শব্দটা আর বললাম না...

তারপর...আছো কেমন মিতা...দেখো কান্ড...এতোক্ষণে জিজ্ঞেস করি :)...পচা মী...

...নিয়ে যাবো আমি তোমায় নীল আকাশে...নিয়ে যাবো...লা লা লা...যদি তুমি বলো...লা লা লা...গান শুনছি...অর্থহীন নামের একটা ব্যান্ডের গান...লিরিক্সগুলো চমৎকার না!!...সে জন্য বলি মাঝে মাঝে বাংলা গানটান শুনো...বুঝতে পারবে গানের কথাগুলো কোথায় যেয়ে বিধেঁ...ভালো কথা, আমি যে গানটা সেন্ড করেছিলাম কই বললে নাতো কেমন লাগলো?...

তোমাকে লিখতে যেয়ে মনটা কেন যেন বেশ ভালো হয়ে গেল...অবশ্য খুব একটা খারাপও ছিল না...থ্যাংক্স...এএএএহহহ্‌...তোমাকে থ্যাংক্স দিতে যাবো কেন...লিখেছিতো আমি...সো থ্যাংক্স তাও আমারি প্রাপ্য...থ্যাংক্স বৃষ্টির দিনে :)...হেহেহে...না আজ আর কোন অজুহাত নয়...সব অপবাদ আজি মাথায় পেতে নিলাম...খুশি এবার?

যাই এখন...অনেক অনেক কাজ পরে আছে...আচ্ছা কাল কি তুমি ক্যাম্পাসে ছিলে?...জানতে চাইছি কারণ কাল পাকিস্তানীদের কালচারাল শো ছিল...যদিও আমাদেরটার ধারে কাছেও যেতে পারেনি...তারপরেও শেষের দিকে খাওয়াটা বেশ ভালোই দিয়েছে...তারপর ওপেন ফ্লোর ড্যান্স...আমরা যদিও খেয়েই কেটে পরেছিলাম...তুমি ছিলে ওখানে?...

...চলি...অনেক লিখলাম...এবার তো রাগ অভিমান কিছুটা কমলো!...আবার কখন লিখবো বলতে পারছিনা...ফাইনালস্‌ যেহেতু সামনে...তো ভালো থেকো...তোমার ফাইনালস্‌-এর জন্যও শুভকামনা রইলো...চলি...আবার হয়তো কথা হবে...কোন এক বৃষ্টি ভেজা দিন...হয়তো...
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:৪১
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×