somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেঘপঞ্জিকা - সিনেমাকথন ২৮

০৮ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৭:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

just finished watching "The kite runner"..oh! what a soothing sound track....ঠিক মনে হচ্ছে যেন আমি কোন একটা পার্কের বেঞ্চিতে বসে আছি। সামনে ঝিরঝির শব্দে বয়ে যাচ্ছে ঝর্ণা। মন্দ মধুর হাওয়া। আমি মগ্ন হয়ে শুনছি এই সুর। সুরের লহরী যেন পানির কুলকুল ধ্বনির সাথে মিলিত হয়ে বয়ে যাচ্ছে। দূরে হতে দূরে। যাচ্ছে হারিয়ে। আর আমার হৃদয়ে বয়ে আনছে অপার্থিব এক ভালোলাগা, অনাবিল এক প্রশান্তি।

এই হচ্ছে মুভিটা দেখবার পর আমার অনুভূতি। আর সব ছাপিয়ে শেষের সংগীতটায় এমন করে আমার হৃদয় কেড়ে নিল কেন তার সঠিক উত্তর দিতে পারবোনা। মনে হচ্ছে আমি যেন ঠিক হারিয়ে যাচ্ছি, ভেসে ভেসে হাওয়ায় চেপে ঠিক যেন ঘুড়ির মতো। হ্যাঁ হবই তো। ঘুড়ি উড়ানো বালককে নিয়ে যে মুভি দেখে উঠেছি।

শুরুতে খুব একটা টানছিল না। ঠিক এই কারণেই মুভিটা এর আগে বেশ কবার শুরু করেও শুরুর কয়েক মিনিট দেখে আর শেষ করা হয়নি। আজ কি মনে করে বসে পড়লাম দেখতে। আর মুভি শেষের অনুভূতি কি সে তো উপরে লেখা আছেই। প্রথম কয়েক মিনিট ধৈর্য্য নিয়ে দেখলেই অপেক্ষা করছে ভিন্ন এক জগৎ। আফগানদের জগৎ। খুব যে সুন্দর তা নয়। কিন্তু এখানেও মানুষের জীবন চলে, দৈনন্দিন নিত্য নতুন কর্ম চলে। চলে দুটি বালকের বেড়ে উঠা, অবসরে একজনের গল্প লেখা (আমির) আর অন্যজনের (হাসান) গল্পলেখকের একজন আদর্শ বন্ধু হিসেবে সময়ে অসময়ে নিজেকে এবং নিজের সত্তাকে সঁপে দেওয়া। হাসানের কাছে বন্ধুত্বের পরীক্ষায় আমির হেরে যায়, কিন্তু তার এই হেরে যাওয়া আমির সহজে মেনে নিতে পারেনা। সে হাসানকে ছোট প্রমাণ করে নিজের বড়ত্ব জাহির করতে যায়, কিন্তু প্রকারন্তরে আবার আমিরের হার হয়। এরি মাঝে রাশিয়ানরা আফগানিস্তান দখল করতে আসে। আমির ও তার বাবাকে লুকিয়ে পালিয়ে যেতে হয়। পালিয়ে একসময় তারা চলে যায় পৃথিবীর অন্য প্রান্তে। চলে বাবা-ছেলের নতুন করে জীবনের সাথে যুদ্ধ করা। আমির বেড়ে উঠতে থাকে, তার গল্প চর্চা চলতে থাকে। শুরু হয় তার নতুন পথে, নতুন সঙ্গীর সাথে পথ চলা। এরি মাঝে একদিন খুব দারুণ এক মুহুর্ত সে একটা ফোনকল পায়, তার শৈশবের তার গল্প লেখার প্রেরণাদানকারী তার বাবার বন্ধুর ফোনকল। আমিরকে তিনি ফিরে আসতে বলেন। বলেন, "amir jaan, there's a way to be good again"। তারপর? হুম এরপর থেকেই মুভির শুরু। নাহ ভুল বললাম, মুভি শুরু হয়ে অতীতে যেয়ে আবার বর্তমানে ফিরে আসা। আর ভবিষ্যত জানার জন্য আপনাকে আমিরের সাথে যেতে হবে আফগানিস্তান :-)

ঘুড়ি উড়ানোটা এখানে কাজ করেছে অতীতের সাথে বর্তমানের যোগসূত্র স্থাপনের জন্য। ঠিক যেমন সত্যজিতের "অপু ট্রিলজী"-তে ট্রেন ছিল। প্রথমে মনে হচ্ছিল লেখক কায়দা করে তালেবানদের অত্যাচার, নির্যাতন দেখানোর জন্যই এই গল্পের অবতারণা করেছেন। কিন্তু দেখতে দেখতে মনে হল তালেবানরা শেষের দিকে গল্পের প্লটে ভূমিকা রেখেছে বটে কিন্তু সেটিই এই মুভির একমাত্র কথা নয়। মুভির প্রেক্ষাপটে রয়েছে আফগানিস্তান এবং সেখানে বেড়ে উঠা, ঘুড়ি উড়িয়ে কাবুল শহরকে চমক লাগিয়ে দেয়া দুজন বালক, তাদের শৈশব এবং তাদের দুজনের মধ্যকার সম্পর্ক।

মুভিটা দেখার অবকাশ না মিললেও শেষের সংগীতটা শুনে দেখুন। আপনার জন্য ঠিক ঠিক কষ্ট করে মুভি থেকে বের করে নিয়েছি। শুনুন এবং বলুন হৃদয় প্রশমন করলো কিনা। যদি করে থাকে তবে সময় করে মুভিটাও না হয় দেখে নিবেন :-)

IMDB-র রেটিং ১০ এ ৭.৮

http://www.imdb.com/title/tt0419887/

ট্রেইলার


অনলাইনে দেখতে হলে এইখানে ক্লিক করুন

অডিওটা

Click This Link


আমার দেখা ভালোলাগা কিছু মুভির তালিকা
আমার দেখা ভালোলাগা কিছু মুভির তালিকা - ২
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:০৬
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×