somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ আমার মন খারাপ (একটি ভালবাসার গল্প )

৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





তুমি আমাকে কখনই আর ফোন দিবা না। কক্ষনই না।আর একবার কল দিলে আমি কিন্তু মোবাইল টা আছাড় দিবো।চিৎকার করে বলি আমি।মেজাজ ভয়াবহ খারাপ আমার।ওপাশ থেকেই বলা হচ্ছে তৃনা কি হয়েছে? আমি কি করছি? আমি তো কিছুই বুঝতেছি না।প্লিজ এমন করোনা শান্ত হও। ফোন টা কেটে মোবাইল অফই করে দিলাম।কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।

সকাল থেকেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে আছে।আর উনি ন্যাকা, কিচ্ছু বুঝে না,যেন জানে না কি করছে !সেই সকাল থেকে ওর কল এর জন্য ওয়েট করছি অথচ সে একবারও কল দেয়নি।জানি সকাল বেলায় ক্লাস ছিল তাই বলে একটু ফ্রি হয়ে কল দেয়া যেত না? সারা রাত কথা হয়েছে তো কি হয়েছে! ও তো জানে আমার এখন ক্লাস নেই সারাটা দিন বাসায় একা।টিভিতে ফালতু সিরিয়াল দেখতে চরম বিরক্ত লাগে।তাইত চাতক পাখির মত তার কলের অপেক্ষায় বসে থাকি।তাও আমি কল দিলাম কিন্তু ওয়েটিং দেখাল।আমার মনে হচ্ছিল আমার শরীরে যেন আগুন ধরে গেছে।ও ওয়েটিং থাকবে কেন? আমি ছাড়া সে অন্য কারো সাথে কথা বলবে !এটা আমি কক্ষনোই মেনে নিতে পারব না। বার বার কল দিলাম অথচ সে কথা বলেই যাচ্ছে,আমার ফোন রিসিভ ই করছে না। কিছুক্ষন পরে কল দিয়ে দেখি মোবাইল অফ।মেজাজ এত খারাপ হল যে নিজের চুল ছিড়তে ইচ্ছে করছিল। নিশ্চয়ই তিথীর সাথে কথা বলছিল।ওই ডাইনী টা আমার শুভ কে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে চায়।কি করব কিছুই বঝতে পারছিলাম না।ভাগ্যিস রাফা আসছিল বাসায় নইলে অনেক কান্না করতাম।রাফা বিকেল পর্যন্ত ছিল বলে তেমন একটা খারাপ লাগেনি কিন্তু ওর উপর মেজাজ খারাপটা কমেনি।যত বার কল দিলাম তত বার ই অফ।ও ইচ্ছে করে নিশ্চয়ই অফ করে রাখছে।ছেলে গুলা এমন হয় কেন? তাইতো এখন ফোন দেয়াতে মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেল।সারাদিন খবর নাই আর এখন বলে কি কর তৃনা?যেন কিছুই হয়নি !

সন্ধায় আমি ঘুমাই না তারপরও আজ ঘুমিয়ে পরেছিলাম।কি সুইট একটা স্বপ্ন! দেখলাম শুভর স্পর্শে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলে,আমরা হাতে হাতে রেখে রেল লাইনে হাটতে হাটতে দিগন্তে হারিয়ে গেলাম।ইস এমন কি সত্যি ই হবে? কবে হবে ? আমার যে আর অপেক্ষা করতে ভালো লাগছে না।বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করছিল না যদি স্বপ্নের আবেশ টা হারিয়ে যায়।মা অবশ্য অনেক্ষন ডাকাডাকি করে গেলেন । বিছানা ছেড়ে মোবাইল টা খুজে বের করলাম,দেখি উনি আমার রাগ ভাঙ্গানোর জন্য কি করেছেন।অন করতেই দেখি ৭৩ টা এস এম এস। পড়ব এর সাথে সাথেই উনি আবার কল দিলেন,যদিও এত মেসেজ দেখে রাগ অনেকটাই কমছে তারপরও রাগ এখনো আছে বুঝানোর জন্য ওকে ব্লক করে মেসেজ পড়া শুরু করলাম।মেসেজ গুলো দেখতে দেখতে ছোখে পানি চলে এল।আমি এত স্টুপিড কেন? ছেলেটাকে এত কষ্ট দেই।আমি যখন কল করেছিলাম সে তার স্যারের সাথে কথা বলছিল,গত রাতে কথা বলার পর সে আর মোবাইল চার্জ দেবার সময় পাবে কই ভোরেই তো ক্লাসে চলে গেল।এটা না ভেবেই আমি রাগ করে বসে আছি।শুভ আমাকে এতটা ভালবাসে ভাবতেই কান্না চলে আসে,আর আমি কিনা ওর সাথে রাগ করি,নানা ভাবে ইগ্নোর করে কষ্ট দেই।সে নিশ্চই দুপুর থেকে কিছু খায়নি স্যারের কাজে উনার সাথে ছিল বলে আর আমি রাগ করে আছি বলে তো পরে কিছুই মুখে দেবে না। তারাতারি আনব্লক করে কল দিতে যাবো তার আগেই সে কল দিলে।রিসিভ করেই আমি সরি বলে কেঁদে দিলাম।ও একটু রাগ না করেই বলল বারান্দায় আসো। বারান্দায় গিয়ে সামনে তাকিয়ে কিছুই দেখালাম না।জিজ্ঞেস করলাম কি ব্যাপার বারান্দায় আসতে কেন বললা? ও বলল ভাল করে তাকিয়ে দেখ।
দেখি ল্যাম্প পোস্টের নিচে বিধ্বস্ত চেহারা নিয়ে আমার শুভ দাঁড়িয়ে আছে ।বুকে উপর এক টুকরো কাগজ তাতে মার্কার দিয়ে একটা স্মাইলি আকা নিচে লেখা সরি।

দেখে আমার মনে হচ্ছিল সারা পৃথিবীর সব সুখ আমার জন্য।এই ছেলেটা পাশে থাকলে অন্য কিছু না থাকলেও চলবে আমার।ওকে আমার পেতেই হবে,যেভাবেই হোক।এর জন্য যা করা লাগে আমাকে তা করতেই হবে। আবার চোখে পানি চলে আসল।আচ্ছা এত কান্না পায় কেন আমার? ইচ্ছে করছে ছোটে গিয়ে ওর বুকে ঝাপিয়ে পরি।কিন্তু কি করা সব ইচ্ছে কি আর পুরন হয় !


৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×