somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিষণ্ণ বিকেলে (ভালবাসার গল্প )

০১ লা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




এই শুভ তুমি আমাকে বাসায় দিয়ে আসবা প্লীজ? আমার খুব জ্বর জ্বর লাগছে,একা যেতে পারব না,মম কাতর স্বরে জিজ্ঞাসা করল শুভকে।আচ্ছা তুমি-তো রিতু কে নিয়ে যেতে পার,আমি গেলে একটু কেমন দেখায় না? ইতস্তত হয়ে শুভ জবাব দেয়।শুভর জবাবে হতাশই হতে হয় মমকে।আচ্ছা এই ছেলেটার অনুভূতি বলতে কি কিছুই নেই?কারও জ্বর আসছে শুনলে তো কপালে হাত দিয়ে অন্তত দেখে।এটাও কি বুঝিয়ে দিতে হবে,ভাবে মম।তার জ্বরটর কিছুই না।আজ ১৪ফেব্রুয়ারি ইচ্ছে শুভর সাথে রিক্সায় একটু ঘুরে বেড়াবে।

কলেজে ভর্তির সেই প্রথম দিন থেকেই এই অদ্ভুত ছেলেটাকে ভালবেসে বসে আছে সে।ও যেমন হাসি খুশি শুভ ঠিক তার উল্টো,সে চুপচাপ থাকতেই বেশী পছন্দ করে।তাই মমকেই নানা অজুহাতে গিয়ে কথা বলতে হয়।ক্লাস নোট নেয়া,স্যার কি পড়াল,পিকনিকে যাবে কিনা,কলেজে আসেনি কেন নানা অজুহাতে গায়ে পরে কথা বলতে হয় তার।কি আর করা ক্লাসের সবাই বুঝলেও যে বুঝার সেই যদি না বুঝে।রিতু তো প্রায়ই বলে বাদ দে তো ওই বলদটার কথা,কত ছেলে পরে আছে তোর জন্য আর তুই কিনা ওই হাবাগোবা বলদটাকে নিয়ে আছিস।মম কাউকে বুঝাতে পারেনা।ছেলেটার গম্ভীর হয়ে চুপচাপ থাকাটাই যে ওর বেশী ভাল লাগে।ভাল লাগে ছেলেটা যখন এলোমেলো চুল নিয়ে ক্লাস এ এসে একটা কোনায় বসে থাকে,টিফিন পিরিয়ডে মাঠের এক কোনায় বসে আকাশ দেখে।ইচ্ছে করে গিয়ে বলতে,এই আমাকে তোমার আকাশটা দিবে?

রিতু তার বয়-ফ্রেন্ড এর সাথে ঘুরতে যাবে,সো তোমাকেই যেতে হবে বলে রিক্সা থামায় মম,শুভর হাত ধরে টেনে রিক্সায় উঠায়।এই তুমি রিক্সার পাশঘেষে আছ কেন?আমার ছোঁয়া লাগলে কি তোমার কুষ্ঠ হবে?? বলে হাঁসতে থাকে মম।লজ্জায় শুভর গাল লাল হয়ে যায়।মমর ইচ্ছে করে ছেলেটার গাল ছোঁয়ে সব লজ্জা ভেঙ্গে দিতে কিন্তু কি আর করা এমন একটা ছেলেকে সে ভালবেসেছে তার কাছে যদি বলা হয় আমার না রাতে ঘুম হয়না,খেতে ইচ্ছে করেনা,খালি উদাসী হয়ে যাই,মন খুব খারাপ থাকে,কি করব বলত? সে নিশ্চিত বলবে তো আমি কি করব,ডাক্তার দেখাও।মমর অনেক ইচ্ছে ছেলেটার হাত ধরে রেল লাইনে হেটে দিগন্তে হারিয়ে যেতে,বাদল দিনে এক ছাতার নিচে গা ঘেঁসে অনেক টা পথ হেটে যেতে মাঝে মাঝে মাথার উপর থেকে ছাতা সরিয়ে দিবে বৃষ্টি ভিজবে বলে।জোছনা রাতে সাগর তীরে শুভর কোলে মাথা রেখে জোছনা পোহাবে আর বিয়ের পর দুজন মিলে ভুত এফ এম শুনবে।ভুতের ভয়ে যখন মমর শরীর থরথর করে কাঁপবে তখন শুভ দুহাতে শুক্ত করে তার বুকে জড়িয়ে রাখবে,মম তখন শুভর বুকে মাথা রেখে নিঃচিন্তে ঘুমিয়ে পরবে।মম সব সময় নিজে রান্না করবে আর ওরা একি প্লেট এ একসাথে খাবে এজন্য মা রান্না ঘরে আসতে দিতে না চাইলেও সে রান্না শিখছে।এখন অনেক কিছুই বানাতে পারে সে।একদিন শুভর জন্য তার প্রিয় খাবারটা রান্না করে নিয়েও এসেছিল কিন্তু সেদিন শুভ কলেজে আসেনি।সেদিন যা কান্না করেছিল মম।আজ ভালবাসা দিবস,সবাই যার যার মত ভালবাসার মানুষের সাথে ঘুরতে বের হয়েছে তারও ইচ্ছে ছিল শুভর সাথে ঘুরে বেড়াতে কিন্তু শুভকে বললে তো সে আর যাবে না তাই জ্বরের অভিনয়টা করতে হল।সেতো একটা মেয়ে,আর একটা মেয়ে হয়ে কিভাবে একটা ছেলেকে প্রপোজ করবে।সে যদি না করে দেয়,আর কথা না বলে,এমনিতেই ফাজিল তিথি শুভর সাথে টাঙ্কি মারার চান্স এ থাকে।ওর কাছে থেকে নোট নিয়ে যায়,রাতে ফোন দেয়,সারাক্ষণ শুভর আশপাশে থাকার চেষ্টা করে।দেখে মাঝে মাঝে গা জ্বলে যায় মমর।কিন্তু কি করবে সে কান্না করা ছাড়া।এসব ভাবতে ভাবতেই বাসার সামনে চলে আসে ওরা।পথে তেমন কোন কথাও হয়না।শুভ বাসায় আস,আম্মুর সাথে দেখা করে যাও বলে মম।আরেক দিন যাবে বলে হাটা শুরু করে শুভ।পাশেই ওর বাসা হেটেই যাওয়া যায়।শুভর চলে যাওয়া দেখে মমর মনে হচ্ছিল হৃদয়ের একটা বড় অংশ যেন ওর কাছ থেকে দুরে হারিয়ে যাচ্ছে,মনে অসাড় একটা অনুভূতি।কি করবে বুঝতে পারছিল না সে।দম বন্ধ হয়ে আসছে মমর,কিছুতেই দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিল না,ভীষণ কান্না পাচ্ছে ।সে কি আবার শুভ কে ডাকবে? শুভ একা যেও না আমাকেও সাথে নিয়ে যাও প্লিজ?আমার পৃথিবী যে এখন তোমাকে ঘিরে ।

বাসায় এসে শাওয়ার নিতে নিতে অনেক কাঁদল সে,কিছুতেই কান্না থামাতে পারছিল না,এমন কেন হচ্ছে,ও তো ভালই ছিল,কেন ভালবাসতে গেল,সে তো কার জন্য কাঁদতে চায় না,চায় না কারো ভালবাসায় হারাতে তবুও এমন কেন হয়।বালিশে মাথা গুজে কাঁদতে কাঁদতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল।

ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় আসল সে।বিষণ্ণ বিকেল।এই সময় টা ওর মন খারাপ থাকে খুব,নিজেকে খুব একা মনে হয়।ঝুপ করে সন্ধ্যা নামলেও মন কিন্তু আর ভাল হয়না।রাতের ঘুম নাই হয়ে গেছে সেই কবে।নিজেকে ইদানীং জম্বি জম্বি লাগে তার,সাজতে ইচ্ছে করে না,কার জন্য সাজবে সে? কত দিন শপিং করে না।শপিং এ গেলে খালি শুভর জন্য টি শার্ট কিনতে ইচ্ছে করে,শুভর জন্য অনেক গুলো কিনে রেখেছে কিন্তু দিতে পারেনি ভয়ে,যদি ফিরিয়ে দেয়।বন্ধুদের সাথে আড্ডাও এখন পানসে মনে হয়।বই মেলায় যাবে যাবে করেও যাওয়া হচ্ছে না।

ক্ষুধা লেগেছে, ফ্রিজ থেকে খাবার বের করতে গিয়ে শুনে ওর নামে একটা গিফট এসেছে। কে দিতে পারে ভাবতে ভাবতে গিয়ে প্যাকেট টা হাতে নিল দেখে।নাম নেই।প্যাকেট খুলে দেখে অনেক সুন্দর একটা ব্রেসলেট।জিনিশটা অনেক পরিচিত লাগল। নিচে একটা ছোট্ট চিরকুট।লিখা মম প্রথম তোমাকে যেদিন দেখি কলেজে ভর্তি ফর্ম নেবার সময়,সেদিন তোমাকে মোটেও আমার ভাল লাগেনি।একটা মেয়ে এতটা চঞ্চল হয় কিভাবে? আমার যে চুপচাপ শান্ত মেয়ে ভালো লাগত। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার দিন তুমি যখন আমার সামনের কোনে বসে চুপচাপ পরীক্ষা দিচ্ছিলে তখন আমি পরীক্ষা ভুলে তোমার দিকে স্মমোহনের মত তাকিয়ে ছিলাম।সেদিন থেকে তোমার কথা বলা,বন্ধুদের সাথে তর্ক,তোমার হাসি, তোমার স্নিগ্ধটা, তোমার সব কিছুই আমার আমার ভীষণ ভাল লাগতে শুরু করে।তখন আমার মনে হয়েছিল তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না।তোমার হাত ধরে তোমার কথা শুনেই সারাটা জীবন আমি কাটিয়ে দিতে পারব।আমি জানিনা তুমি আমাকে কতটুকু পছন্দ কর বা সেটা শুধু ক্লাসমেট হিসেবেই নাকি অন্য কিছু সেই ভয়ে কখনো বলা হয়নি।আমার যে হারাবার ভয় বেশী।আচ্ছা ব্রেসলেট টা পছন্দ হয়েছে?মনে আছে আমারা সব ক্লাস মেটরা সেদিন বসুন্ধরা সিটি গিয়েছিলাম,একটা দোকানে তুমি ব্রেসলেট টা পছন্দ করেছিলে,টাকা ছিল না বলে কিনতে পারনি,সেদিনই আমি কিনে রেখেছিলাম কিন্তু ভয়ে দিতে পারিনি যদি আমাকে ফিরিয়ে দাও,যদি জিজ্ঞেস কর কোন অধিকারে তোমাকে দিতে গেলাম।মম কত রাত যে কেটে গেছে তোমার ভাবনায়।প্রতিটা মুহূর্তে ভাবি শুধু তোমায়। তুমি যদি সামনে থাক তাহলে আমার পৃথিবী আলোকিত থাকে,চলে গেলেই মন খারাপের দেশে হারিয়ে ফেলি নিজেকে।মম এর নাম যদি ভালবাসা হয়,মনের অজান্তে আমি তোমাকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি।আমি জানিনা না তোমাকে পাব কিনা তবুও আমি তোমার বাসার নিচে অপেক্ষা করছি প্লিজ একটু আস।নাইবা ভালবাসলে তবুও আজকের মত তোমাকে দেখি।নিচে লেখা নামটা দেখে ভীষণ বিরক্ত হয় মম।সাজেদুল ইসলাম।ক্লাসে সাজেদ নামে দুইজন আছে দুটাই পেইন সারাক্ষণ ভ্যান ভ্যান করে।কোন গাধা টা এটা দিল ভাবছে সে।এই গাধাটা কি জানে না সে যে শুভকে পছন্দ করে? ক্লাসের সবাই যেখানে জানে সেখানে না জানার তো কথা না।নাকি শুভকে যে পছন্দ করে সেটাকে মজা হিসেবে ভেবেছে।এখন নিচে গিয়ে বুঝিয়ে বলে আসতে হবে।কারো ভালবাসা ফিরিয়ে দিতে খারাপ ই লাগবে ওর।

সিঁড়ি থেকে নেমে দেখে টি শার্ট পরা একটা ছেলে উল্টো দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে পার্কিং লটে,আশে পাশে আর কেউ নেই।ওর দিকে মুখ ফিরে তাকাতেই কি যেন হয়ে যায় মম দৌড়ে ছেলেটার বুকে ঝাঁপিয়ে পরে,দু হাতে শুক্ত করে জড়িয়ে ধরে।মমর প্রথম ভালবাসা আজ পাশে এসেছে।অভিমানে বলে এত দিন বলনি কেন?আমি যে তোমার অপেক্ষায় ছিলাম।আমাকে এত কষ্ট দিতে পারলে তুমি।হতভম্ব ছেলেটা আলিঙ্গন থেকে বের হতে চায়,মম আরও শুক্ত করে জড়িয়ে রাখে।কেউ দেখলে দেখুক।এই ছেলেটা ওকে অনেক কষ্ট দিয়েছে,সেই শাস্তি আজ তাকে পেতেই হবে।কোন ভাবেই ছাড়বে না সে।এখন মনে পড়ল শুভর ভালো নাম সাজেদুল ইসলাম।অপ্রত্যাশিত আনন্দে মমর চোখে পানি চলে আসে।অবাক হয়ে দেখে লাজুক ছেলেটার চোখেও পানি।এই গাধা তুমি কাঁদছ কেন? শুভ জবাব দেয় আমার বাবুই টা যে কাঁদছে। মমর বিকেলটা এখন আর বিষণ্ণ নেই,মেঘমুক্ত ভালবাসাময়।
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×