somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সস্তা আর পরিবেশবান্ধব বিদ্যুতের জন্য ব্লুম বক্স

১১ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ধরুন একটি ফ্রিজ-সাইজ ব্যাক্তিগত বিদ্যুত প্লান্ট বিদ্যুত তৈরি করছে খুব সস্তায় পরিবেশের কোন ক্ষতি না করেই এবং যেটার কর্মদক্ষতা (কনভার্সন ইফিসিয়েন্সি) ট্রাডিশনাল পাওয়ার প্লান্ট থেকে অনেক বেশি। সেটা আপনার বাড়ির সকল বিদ্যুত চাহিদা মেটাচ্ছে। সেই ক্ষুদে বিদ্যুত প্লান্টে ব্যবহার করা যাবে যে কোন হাইড্রোকার্বন জ্বালানী- গ্যাস, ডিজেল, পেট্রল, প্রানিজ জ্বালানি (বায়োফুয়েল), বায়োগ্যাস, কিংবা সৌর শক্তি। সেই ধরনের একটা ক্ষুদে পাওয়ার প্লান্টের নাম ব্লুম বক্স। আবিস্কার করেছেন ডঃ কে, আর, শ্রীধর যিনি ব্লুম এনার্জি কোম্পানির প্রতিষ্টাতা। ডঃ শ্রীধর ছিলেন ইলিনয়স বিশ্ববিদ্যালয়ের ( আরবানা-স্যাম্পেইন) ছাত্র, ইউনিভার্সিটি অফ আরিজনার স্পেস টেকনলজি ল্যাবের পরিচালক। ধারনা করা হচ্ছে সেই দিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন ব্লুম বক্স ট্রাডিশনাল পাওয়ার প্লান্টকে প্রতিস্থাপিত করব। কেন সেই আলোচনায় আমরা পরে যাব। এখন আমরা ব্লুম বক্স সম্পর্কে ধারনা নেবার চেষ্টা করি।
ব্লুম বক্স হচ্ছে একটা বাক্সের মধ্যে পাওয়ার প্লান্ট। বাক্সে থাকে অনেকগুলো ফুয়েল সেল যেগুলো হাইড্রোকার্বন ফুয়েল নিয়ে পোড়ায় না বরং ইলেকট্রোকেমিকাল বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুত তৈরি করে। ফুয়েল সেল গুলি বালির তৈরি যাকে ডিস্কেট সাইজের বর্গাকার সিরামিকে রুপান্তর করা হয়। প্রতিটি সেল একটা লাইট বাল্বকে জ্বালানোর মত শক্তি তৈরি করতে পারে। অনেকগুলো ফুয়েল সেলকে একটার উপর আরেকটা রেখে একত্র করা হয় এবং দুটো সেলের মাঝে একটি করে ধাতব প্লেট দেয়া হয়। এই জড় করা ফুয়েল সেল গুলো রাখা হয় ফ্রিজ-সাইজ একটা বক্সে যার নাম ব্লুম বক্স।
শ্রীধরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ৬৪ টা ফুয়েল সেল স্টারবাকস ফ্রানসাইজের মত ছোট ব্যবসা প্রতিষ্টানের জন্য যথেষ্ট। ব্লুম বক্স এখন বিদ্যুতায়ন করছে ফেডেক্স, গুগল, ওয়ালমার্ট, ই-বে এর মত বড় বড় কম্পানিকে। ই-বে ব্লুম বক্স স্থাপন করে নয় মাসে এক লাখ ডলার বি্দ্যুত বিল বাচিয়েছে। ই-বের হেড কোয়ার্টারে স্থাপন করা ব্লুম বক্স ০.৫ মেগাওয়াটের যা প্রায় ২৫০ টা বাড়িকে বিদ্যুত দিতে সক্ষম।
খরচের কথা বলতে গেলে – ১০০ কিলোওয়াট প্লান্টের জন্য খরচ সাত থেকে আট লাখ ডলার। ১ কিলোওয়াট সাথারণ বাড়ি সাইজের জন্য খরচ পড়বে ৩ হাজার ডলার অর্থাৎ দুই লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে ব্যবহার বাড়লে খরচ কমে যাবে। ডঃ শ্রীধর প্লান্ট খরচ অর্ধেক করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যাবে যে কোন হাইড্রোকার্বন জ্বালানী- গ্যাস, ডিজেল, পেট্রল, প্রানিজ জ্বালানি (বায়োফুয়েল), বায়োগ্যাস, কিংবা সৌর শক্তি। এখন পর্যন্ত স্থাপিত অধিকাংশ বক্স গুলোতে সাধারণত ব্যবহার করা হয় বায়োগ্যাস কিংবা সৌর শক্তি।
ট্রাডিশনাল প্লান্ট থেকে এটার প্রধান পার্থক্য হচ্ছে – ট্রাডিশনাল প্লান্টে বিদ্যুত পেতে অনেক গুলো শক্তির রুপান্তরের প্রয়োজন হয় যেখানে প্রচুর শক্তির অপচয় ঘটে। কিন্তু ব্লুম বক্সে রাসায়নিক শক্তি একধাপে বিদ্যুত শক্তিতে রুপান্তর হয়। এর ফলে অপচয় তুলনামুলক অনেক কম হয়। ব্লুম বক্স বাড়িতে স্থাপনযোগ্য বলে বিদ্যুত স্থানান্তরের ফলে যে লস তাও এড়ানো সম্ভব হয়।
সুত্রঃ
১। Click This Link
২। Click This Link
৩। http://en.wikipedia.org/wiki/Bloom_Energy
৪। http://www.bloomenergy.com
৫। http://en.wikipedia.org/wiki/K._R._Sridhar
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৫৫
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×